রনি ‘আশঙ্কামুক্ত নন’, সুস্থতা নিয়ে আশাবাদী চিকিৎসকরা

আবু হেনা রনি। ছবি: সংগৃহীত

গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের (জিএমপি) চতুর্থ বর্ষপূর্তি উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে বিস্ফোরণে দগ্ধ কৌতুক অভিনেতা আবু হেনা রনি ও পুলিশের এক সদস্যের অবস্থা আশঙ্কামুক্ত নয় এবং তাদের ২ জনেই শ্বাসনালী সামান্য দগ্ধ হয়েছে।

আজ শনিবার শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটের সমন্বয়ক ডা. সামন্ত লাল সেন দ্য ডেইলি স্টারকে এ তথ্য জানান।

দুপুর সাড়ে ৩টায় টেলিফোনে আলাপকালে দ্য ডেইলি স্টারকে তিনি বলেন, 'আজ সকাল ১০টার দিকে দগ্ধ ২ জনের শরীরে ড্রেসিং করা হয়েছে। আমি সেখানে উপস্থিত ছিলাম। তাদের ২ জনেরই শ্বাসনালী দগ্ধ হয়েছে।'

ডা. সামন্ত লাল সেন জানান, আবু হেনা রনির ২ হাত, কান ও মুখের কিছু অংশসহ শরীরের ২৫ শতাংশ দগ্ধ হয়েছে এবং পুলিশ সদস্য জিল্লুর রহমানের দগ্ধ হয়েছে ১৯ শতাংশ।

তিনি বলেন, 'অপারেশন থিয়েটারে ড্রেসিংয়ের পর তাদেরকে হাই ডিপেন্ডেন্সি ইউনিটে (এইচডিইউ) রাখা হয়েছে। তারা গভীর পর্যবেক্ষণে রয়েছেন এবং পরীক্ষা-নিরীক্ষা চলছে। শ্বাসনালী সামান্য দগ্ধ হলেও দগ্ধরোগী হওয়ায় তাদেরকে শঙ্কামুক্ত বলা যাবে না।'

'তবে আমরা আশাবাদী যে তারা সুস্থ হয়ে যাবেন,' যোগ করেন ডা. সামন্ত লাল সেন।

অনুষ্ঠানে গ্যাস বেলুন বিস্ফোরণের ঘটনায় একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। গতকাল শুক্রবার রাতে জিএমপির ডিসি (অপরাধ-উত্তর) আবু তোরাব শামসুর রহমানকে প্রধান করে ৪ সদস্যবিশিষ্ট এই কমিটি গঠন করা হয়।

কমিটির অন্য সদস্যরা হলেন—এডিসি (উত্তর) রেদোয়ান আহমেদ, এসি প্রসিকিউশন ফাহিম আশজাদ ও গাজীপুর সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রফিকুল ইসলাম।

৩ কার্যদিবসের মধ্যে এই কমিটিকে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

গতকাল শুক্রবার বিকালে গাজীপুর জেলা পুলিশ লাইনস মাঠে জিএমপির ৪ বছর পূর্তির অনুষ্ঠান চলছিল। এ সময় গ্যাস বেলুন বিস্ফোরণে কৌতুক অভিনেতা রনিসহ ৫ জন দগ্ধ ও আহত হন।

এ ঘটনায় দগ্ধসহ আহত ব্যক্তিদের প্রথমে স্থানীয় শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়। দগ্ধের মাত্রা বেশি হওয়ায় সেখান থেকে শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে পাঠানো হয় রনি ও জিল্লুর রহমানকে।

Comments

The Daily Star  | English

Why is the stock market rebounding now?

The stock market has bounced back strongly within two months of falling to its lowest in the past five years, thanks to some macroeconomic-level recoveries, including a drop in inflation and the strengthening of the local currency against the greenback.

14h ago