রনির শারীরিক অবস্থা নিয়ে যা জানাল মেডিকেল বোর্ড

আবু হেনা রনি। ছবি: সংগৃহীত

গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের (জিএমপি) চতুর্থ বর্ষপূর্তি উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে বিস্ফোরণে দগ্ধ কৌতুক অভিনেতা আবু হেনা রনির শারীরিক অবস্থা অপরিবর্তিত আছে বলে জানিয়েছে মেডিকেল বোর্ড।

তার কয়েকটি রক্ত পরীক্ষা করা হয়েছে। কিছুটা ত্রুটি পাওয়া যাওয়ায় নতুন চিকিৎসা সংযোজন করা হয়েছে।

আজ রোববার দুপুরে মেডিকেল বোর্ডের সভা শেষে শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটের সমন্বয়ক ডা. সামন্ত লাল সেন দ্য ডেইলি স্টারকে এসব তথ্য জানান।

১৩ সদস্য বিশিষ্ট মেডিকেল বোর্ডের প্রধান ছিলেন জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটের পরিচালক আবুল কালাম আজাদ।

বিস্ফোরণের ঘটনায় রনি ছাড়াও আহত হয়েছেন পুলিশ সদস্য জিল্লুর রহমান।

ডা. সামন্ত লাল সেন বলেন, '১৫ শতাংশ দগ্ধ হলে আমরা সিরিয়াস মনে করি। ২ জনেরই ১৫ শতাংশের বেশি দগ্ধ আছে। সঙ্গে ইনহেলিশন বার্ন আছে। রনির কয়েক প্রকারের রক্ত পরীক্ষা করেছি। তাতে কিছু ত্রুটি আছে। নতুন চিকিৎসা সংযোজন করা হয়েছে।'

'৪৮ঘন্টা পার হলে একটি ব্যাপারে কিছু বলা যায়। কিন্তু রনির অবস্থা অপরিবর্তিত আছে। কম বার্ন হলেও ইনহেলিশন বার্ন থাকলে সেই রোগীর ব্যাপারে কিছু বলা মুশকিল। যতক্ষণ পর্যন্ত রোগী হেটে বাড়ি না যাবেন, ততক্ষণ তাকে সুস্থ বলতে পারব না', যোগ করেন তিনি। 

এক প্রশ্নের জবাবে ডা.সামন্ত লাল বলেন, 'রোগীর স্বজনরা যদি মনে করেন অন্য কোথাও নিয়ে চিকিৎসা করাবেন, সেটা তাদের ব্যাপার। তবে আমাদের এখানে যথেষ্ট বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক আছেন। চিকিৎসার কোনো ঘাটতি হবে না।'

মেডিকেল বোর্ডের চিকিৎসক সহযোগী অধ্যাপক ডা. মোহাম্মদ রবিউল করিম খান বলেন, 'যখন আমরা এই রোগী হাসপাতালে পেয়েছি, তখন রোগীর অবস্থা খারাপ ছিল। দগ্ধ হওয়ার পর মাটিতে গড়াগড়ি খেয়েছে। তাতে ইনফেকশনের ভয় থাকে।'

গত শুক্রবার বিকালে গাজীপুর জেলা পুলিশ লাইনস মাঠে জিএমপির ৪ বছর পূর্তির অনুষ্ঠান চলছিল। এ সময় গ্যাস বেলুন বিস্ফোরণে কৌতুক অভিনেতা রনিসহ ৫ জন দগ্ধ ও আহত হন।

এ ঘটনায় দগ্ধসহ আহত ব্যক্তিদের প্রথমে স্থানীয় শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়। দগ্ধের মাত্রা বেশি হওয়ায় সেখান থেকে শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে পাঠানো হয় রনি ও জিল্লুর রহমানকে।

ডিসি ডিবি নর্থ হুমায়ুন কবির জানিয়েছেন, এ ঘটনায় তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। কারও অবহেলা থাকলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

Comments

The Daily Star  | English
A bitter brew: Climate change and the decline of Sylhet’s tea gardens

A bitter brew: Climate change and the decline of Sylhet’s tea gardens

Projections by the United Nations Food and Agriculture Organization (FAO) indicate that tea cultivation areas could shrink by 2050.

7h ago