দ. কোরিয়ার কাছ থেকে সহজ শর্তে ৩ বিলিয়ন ডলার ঋণ পাচ্ছে বাংলাদেশ

চুক্তি সই অনুষ্ঠান। ছবি: সংগৃহীত

দক্ষিণ কোরিয়ার কাছ থেকে সহজ শর্তে ৩ বিলিয়ন ডলার ঋণ পেতে দেশটির সঙ্গে একটি ফ্রেমওয়ার্ক চুক্তি সই করেছে বাংলাদেশ।

চুক্তি অনুযায়ী, অর্থনৈতিক উন্নয়ন সহযোগিতা তহবিলের (ইডিসিএফ) মাধ্যমে ২০২৭ সাল পর্যন্ত ৫ বছরের জন্য এই ঋণের অর্থ বিতরণ করা হবে।

আজ বৃহস্পতিবার ঢাকায় কোরিয়ার দূতাবাসের এক বিবৃতিতে এসব তথ্য জানানো হয়েছে।

দক্ষিণ কোরিয়ার ইনচিওনে দেশটির অর্থ বিষয়ক ফার্স্ট ভাইস মিনিস্টার কিসুন বাং এবং বাংলাদেশের অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগের (ইআরডি) সচিব শরিফা খান নিজ নিজ দেশের পক্ষে চুক্তিতে সই করেন।

এশীয় উন্নয়ন ব্যাংকের (এডিবি) বোর্ড অব গভর্নরসের ৫৬তম বার্ষিক সাধারণ সভার মধ্যে এই চুক্তি সই হলো।

এ সময় ঢাকা এমআরটি লাইন ৪ এর জন্য একটি সমঝোতা স্মারক (এমওইউ) এবং সিএনজি বাস সংগ্রহ এবং রেলওয়ে সিগন্যালিং সিস্টেমের আধুনিকীকরণ সহযোগিতার বিষয়ে দুটি প্রকল্পের জন্য ইডিসিএফ ঋণ চুক্তি সই হয়।

এই চুক্তিটি কোরিয়ান সরকারের পক্ষে বাংলাদেশকে ৩ বিলিয়ন ডলার ঋণ দেওয়ার ক্ষেত্রে আইনি ভিত্তি হিসেবে কাজ করবে।

চুক্তি অনুযায়ী, ইডিসিএফ ঋণ পরিশোধের সময়কাল ১৫ বছরের গ্রেস পিরিয়ডসহ ৪০ বছর। ঋণের বিপরীতে বার্ষিক সুদের হার হবে শূন্য দশমিক ০১ থেকে শূন্য দশমিক ০৫ শতাংশ (০.০১-০.০৫ শতাংশ)।

দুই দেশের সরকার আলোচনার মাধ্যমে এই ঋণের আওতায় পরবর্তী প্রকল্পগুলো নির্ধারণ করবে।

এই চুক্তি সইয়ের মাধ্যমে দক্ষিণ কোরিয়ার সরকারি সহযোগিতা পাওয়ার ক্ষেত্রে দ্বিতীয় বৃহত্তম দেশ হলো বাংলাদেশ ।

এর আগের ইডিসিএফ ঋণ ফ্রেমওয়ার্কের আওতায় ২০২১-২৫ সময়ে বাংলাদেশের সর্বোচ্চ ৭০০ মিলিয়ন ঋণ পাওয়ার কথা। নতুন চুক্তিরা আওতায় ঋণের পরিমাণ ৪ গুণ বাড়ল।

এ পর্যন্ত কোরিয়া সরকার ইডিসিএফের আওতায় বাংলাদেশে ৩০টি উন্নয়ন প্রকল্পে ১ দশমিক ৭ বিলিয়ন ডলার সহায়তা দিয়েছে।

এ ঋণ চুক্তি প্রসঙ্গে ঢাকায় নিযুক্ত কোরিয়ার রাষ্ট্রদূত লি জ্যাং-কিউন বলেন, 'দুই দেশের কূটনৈতিক সম্পর্কের ৫০তম বার্ষিকীতে নতুন এই ইডিসিএফ ফ্রেমওয়ার্ক চুক্তি সই বিশেষ অর্থ বহন করে।'

তিনি বলেন, 'বাংলাদেশের জন্য রেয়াতযোগ্য ঋণের পরিমাণ বাড়ানোর ফলে বাংলাদেশে কোরিয়া মেগা প্রকল্পে সহায়তা করতে সক্ষম হবে।'

এই ৩ বিলিয়ন ডলার বাংলাদেশের জনগণের জন্য পরিবহন, স্বাস্থ্য ও শিক্ষা ক্ষেত্রে অনুঘটক হিসেবে কাজ করবে বলে আশা প্রকাশ করেন রাষ্ট্রদূত।

Comments

The Daily Star  | English

Victory day today: A nation born out of blood and grit

The tide of war had turned by mid-December in 1971. The promise of freedom was no longer a dream. It had hardened into tangible certainty.

7h ago