বাড়িতে দেওয়া তেলাপোকা-ছারপোকা মারার ওষুধের বিষক্রিয়ায় ২ ভাইয়ের মৃত্যু

বাড়িতে দেওয়া তেলাপোকা-ছারপোকা মারার ওষুধের বিষক্রিয়ায় ২ ভাইয়ের মৃত্যু
শায়েন মোবারত জাহিন ও শাহিল মোবারত জায়ান। ছবি: সংগৃহীত

রাজধানী ঢাকার বসুন্ধরা আবাসিক এলাকার একটি বাসায় তেলাপোকা-ছারপোকা মারার ওষুধের বিষক্রিয়ায় স্কুলপড়ুয়া ২ ভাইয়ের মৃত্যু হয়েছে।

তারা হলেন বসুন্ধরা আবাসিক এলাকার ১ নম্বর ব্লকের মোবারক হোসেনের ছেলে অষ্টম শ্রেণি পড়ুয়া শায়েন মোবারত জাহিনের (১৫) ও তৃতীয় শ্রেণির ছাত্র শাহিল মোবারত জায়ান (৯)।

ভাটারা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এ বি এম আসাদুজ্জামান আজ সোমবার দ্য ডেইলি স্টারকে এ তথ্য নিশ্চিত করেন।

ওসি আসাদুজ্জামান বলেন, প্রাথমিকভাবে জানা গেছে তেলাপোকা-ছারপোকা মারার ওষুধের বিষক্রিয়ায় ২ ভাইয়ের মৃত্যু হয়েছে।

পরিবারের সদস্যদের বরাত দিয়ে ভাটারা থানার পরিদর্শক (তদন্ত) শরিফুল ইসলাম ডেইলি স্টারকে জানান, মোবারক হোসেন তার বাসায় তেলাপোকা-ছারপোকা মারার জন্য ডিসিএস অর্গানাইজেশন লিমিটেডকে ভাড়া করেন।

শুক্রবার ডিসিএসের কর্মীরা মোবারক হোসেনের বাড়িতে কীটনাশক প্রয়োগ করে এবং ২ থেকে ৩ ঘণ্টা পর তাদের বাড়িতে প্রবেশ করতে বলেন। তবে পরিবারের সদস্যরা অতিরিক্ত সতর্কতা অবলম্বন করে প্রায় ১০ ঘণ্টা পরে বাড়িতে ফিরেন।

শরিফুল ইসলাম জানান, পরিবারের সবাই অসুস্থ হয়ে পড়লেও শিশুদের দ্রুত নিকটস্থ একটি বেসরকারি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। গতকাল রোববার সকালে সেখানে জায়ান এবং রাতে জাহিনের মৃত্যু হয়। কীটনাশক থেকে বিষক্রিয়ায় তাদের মৃত্যুর কারণ বলে ধারণা করা হচ্ছে।

তাদের বোন এখনো হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।

মোবারক হোসেন ডেইলি স্টারকে বলেন, 'শুক্রবার বিকেল ৩টা থেকে ৬টায় পর্যন্ত আমাদের বাসায় কিটনাশক প্রয়োগ করা হয়। এ সময় আমি মাস্ক পরে তাদের সঙ্গে ছিলাম এবং পরিবারের অন্যান্য সদস্যরা বাইরে ছিল। আমার ২ ছেলে মারা গেছে। বিষয়ে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী তদন্ত করছে।'

পরিবারের সদস্য এবং স্বজনরা অভিযোগ করেছেন, কীটপতঙ্গ নিয়ন্ত্রণ পরিষেবার 'অযোগ্য' কর্মীদের কারণে এই ঘটনা ঘটেছে।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক ব্যক্তি জানান, ওই বাড়িতে কাজ করা প্রতিষ্ঠানটির একটি টিম এখন ভাটারা থানায় আছে। ওই ঘটনায় মামলা দায়েরের প্রক্রিয়া চলছে।

Comments

The Daily Star  | English

‘This fire wasn’t an accident’: Small business owner’s big dreams destroyed

Once a garment worker, now an entrepreneur, Beauty had an export order ready

2h ago