মশা মারার দায়িত্ব মন্ত্রণালয়ের একার না: স্থানীয় সরকারমন্ত্রী

মশা মারার দায়িত্ব মন্ত্রণালয়ের একার না: স্থানীয় সরকারমন্ত্রী
স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায়মন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম | ছবি: টেলিভিশন থেকে নেওয়া

এডিস মশা নিধন প্রসঙ্গে স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায়মন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম বলেছেন, মশা মারার দায়িত্ব মন্ত্রণালয়ের একার না। জনগণকে সম্পৃক্ত করে এই কাজ করা হয়।

আজ বৃহস্পতিবার বিকেলে সচিবালয়ে গণমাধ্যমকর্মীদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এ কথা বলেন।

তাজুল ইসলাম বলেন, 'স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেছেন চিকিৎসার দায়িত্ব ওনার, কথাটা ওনি ঠিকই বলেছেন। মশা মারার ব্যাপারে আমরা এবং জনগণ; আমরা একা না। নেতৃত্ব স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের। আমরা জনগণকে সম্পৃক্ত করে এই কাজটা করি এবং করছি। মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে উদ্যোগ ও আন্তরিকতার কোথাও ঘাটতি নেই।'

তিনি বলেন, 'মানুষ আক্রান্ত হবে স্বাভাবিকভাবে এবং চিকিৎসা নেবে। চিকিৎসা তো ওনারাই করবেন। আমাদের পক্ষ থেকে মশা নিধনের জন্য আমাদের কার্যক্রম অব্যাহত আছে।'

'এটা স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব যেমন, তেমন এই দায়িত্বটা পালনের জন্য জনসম্পৃক্ততা অপরিহার্য। জনগণের অংশগ্রহণের মাধ্যম দিয়ে মশা নিধন কার্যক্রমের সফলতা অর্জন করা যেতে পারে। জনগণ যদি ঢাকা শহরে অংশগ্রহণ না করতো তাহলে ঢাকা শহরে (শনাক্ত রোগী) ২০ লাখ হতো, এটা আমার ধারণা,' যোগ করেন তিনি।

সবাই যদি অংশগ্রহণ করে তাহলে (ডেঙ্গু) এটা নির্মূল করা সম্ভব বলেও এ সময় মন্তব্য করেন তিনি।

ভাত দেওয়ার মুরোদ নেই কিল দেওয়ার গোসাঁই—আমরা জনপ্রতিনিধিদের খালি গালি দেবো উল্লেখ করে তিনি বলেন, 'জনপ্রতিনিধিদের দায়িত্বটা কী আর না করলে তাকে সব সময় জবাবদিহিতার ভেতরে নিয়ে আসা; এ রকম একটা ব্যবস্থা মনে হয় আমাদের করলে, জনপ্রতিনিধিরা কিন্তু সারা পৃথিবীতে দেশের পরিবর্তন করেছে।'

স্থানীয় সরকারমন্ত্রী বলেন, 'একজন মেম্বার তিন হাজার লোকের প্রতিনিধিত্ব করে। এখানে স্বেচ্ছাসেবী হিসেবে তার সঙ্গে কাজ করে প্রায় ৩০০-৪০০ লোক, প্রতিটি ওয়ার্ডে। কোনো না কোনোভাবে করায়। ওরা দুর্যোগ, দুঃসময়, দুর্দিন, বিপদে-আপদে করে। ওদের জনপ্রতিনিধিদের মধ্যে আবার কিছু সংখ্যক ত্রুটি-বিচ্যুতি থাকতে পারে! আমরা যদি এগুলোকে...যেমন কোভিডের সময় ত্রাণ বিতরণ নিয়ে কিছু কিছু অভিযোগ উত্থাপিত হওয়া আরম্ভ হলো, আমি এক দিনে ১২ জন চেয়ারম্যান-মেম্বারকে বরখাস্ত করলাম। এরপর আস্তে আস্তে দেখা যায় এটা ঠিক হয়ে গেছে।'

'পরে দেখা গেল, দশমিক পাঁচ শতাংশের নিচে জনপ্রতিনিধি দুর্নীতির অভিযোগে অভিযুক্ত হলেও ৯০ শতাংশের বেশি জনপ্রতিনিধি মানুষের বাড়িতে খাবার পৌঁছে দিয়েছে। মানুষকে হাসপাতালে নিয়েছে। মৃত্যুর পরে সমাধিস্থ করার ব্যবস্থা করেছে। আমরা যখন একটা লোককে শাস্তি দেবো, সঙ্গে সঙ্গে আরেকজন যে ভালো কাজ করছে তাকে স্বীকৃতি দেবো। তখন যাদের খারাপ মানসিকতা আছে সেখানে পরিবর্তন আসবে,' বলেন তিনি।

Comments

The Daily Star  | English

'Some of your men are working in favour of a particular party'

Jamaat tells chief adviser; presses for constitutional recognition of July Charter

38m ago