জনগণই বিএনপির বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেবে: তথ্যমন্ত্রী

জনগণই বিএনপির বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেবে: তথ্যমন্ত্রী
আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক এবং তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী হাছান মাহমুদ | ফাইল ছবি

বিএনপি আর রাজনৈতিক দল নাই, সন্ত্রাসী দলে রূপান্তরিত হয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক এবং তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ।

তিনি আরও বলেন, আমরা এই সন্ত্রাসীদের দমন করতে, খুঁজে বের করে আইনের আওতায় আনতে বদ্ধ পরিকর।

আজ রোববার দুপুরে সচিবালয়ে গণমাধ্যমকর্মীদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এ কথা বলেন।

তথ্যমন্ত্রী বলেন, 'অবশ্যই যে কেউ রাজনৈতিক কর্মসূচি পালন করতে পারে কিন্তু এরা রাজনৈতিক কর্মসূচি পালন করছে না। এরা অবরোধের নামে মানুষের সহায়-সম্পত্তি, মানুষের ওপর হামলা পরিচালনা করছে। তাদের হাত থেকে কেউ রেহাই পাচ্ছে না।

'ইসরায়েলি বাহিনীর হাত থেকে যেমন অ্যাম্বুলেন্স রেহাই পাচ্ছে না, হাসপাতাল রেহাই পাচ্ছে না; বিএনপির হাত থেকেও অ্যাম্বুলেন্স-হাসপাতাল  কোনোটাই রেহাই পাচ্ছে না। আপনারা জানেন, কীভাবে ২৮ তারিখ হাসপাতালের ওপর হামলা পরিচালনা করে অ্যাম্বুলেন্সসহ বহু গাড়ি-ঘোড়া জ্বালিয়ে দেওয়া হয়েছিল, ভাঙচুর করা হয়েছিল। এর পরে আবারও অ্যাম্বুলেন্সের ওপর বিভিন্ন জায়গায় হামলা হয়েছে। রোগীবাহী অ্যাম্বুলেন্স ভাঙচুর করে জ্বালিয়ে দেওয়া হয়েছে,' বলেন তিনি।

তথ্যমন্ত্রী বলেন, 'শিক্ষার্থীবাহী বাসে আগুন দেওয়া হয়েছে। যেমন ইসরায়েলি বাহিনী গাজায় স্কুলে আক্রমণ চালাচ্ছে, অ্যাম্বুলেন্সের ওপর আক্রমণ চালাচ্ছে, শিক্ষার্থীবাহী গাড়ির ওপর আক্রমণ চালাচ্ছে—এখানেও বিএনপি-জামায়াত একই কায়দায় এই কাজগুলো করছে।'

হাছান মাহমুদ বলেন, 'তারা ভেবেছে, একের পর এক অবরোধ ডেকে দেশকে অস্থিতিশীল করবে, তারা খুব সহসাই দেখতে পাবে যে, জনগণ তাদের বিরুদ্ধে ক্ষোভের বহিঃপ্রকাশ ঘটিয়ে; সরকারের ব্যবস্থা নিতে হবে না—জনগণই তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করবে এবং আমরা জনগণের সঙ্গে থাকব।'

যারা গুজব রটাচ্ছে তাদের শনাক্ত করার কাজ চলছে বলেও এ সময় জানান তথ্যমন্ত্রী।

গুঞ্জন শোনা যাচ্ছে, বিএনপির জ্যেষ্ঠ নেতা যারা গ্রেপ্তার হয়েছেন, জেলখানায় সরকার তাদের সঙ্গে আলোচনা করছে। এ ধরনের কোনো আলোচনা হয়েছে কি না জানতে চাইলে তথ্যমন্ত্রী বলেন, 'প্রশ্নই আসে না! বিএনপির যেসব নেতা গ্রেপ্তার হয়েছেন, তারা এই নৈরাজ্যের হুকুমদাতা হিসেবে গ্রেপ্তার হয়েছেন। অর্থদাতা হিসেবে, নৈরাজ্যের হোতা হিসেবে গ্রেপ্তার হয়েছেন। তাদের সঙ্গে আলোচনার প্রশ্নই আসে না!'

Comments

The Daily Star  | English

Dozens of zombie firms still trading as if nothing is wrong

Nearly four dozen companies have been languishing in the junk category of the Dhaka Stock Exchange (DSE) for at least five years, yet their shares continue to trade on the country’s main market and sometimes even appear among the top gainers. 

6h ago