নভেম্বরে দেশে ফিরতে পারেন তারেক রহমান, এ মাসেই ২০০ প্রার্থীকে গ্রিন সিগন্যাল
আগামী মাসেই বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান দেশে ফিরতে পারেন বলে জানিয়েছেন দলটির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমদ।
আজ শুক্রবার রাজধানীর গুলশানে নিজ বাসভবনে গণমাধ্যমকর্মীদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এ কথা জানান।
সালাহউদ্দিন বলেন, 'আশা করি নভেম্বরের মধ্যেই তিনি ফিরবেন।'
ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বিএনপি চেয়ারপারসন অংশ নেবেন কি না জানতে চাইলে সালাহউদ্দিন বলেন, 'শারীরিক অবস্থা বিবেচনায় দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া নিজে সিদ্ধান্ত নেবেন নির্বাচন করবেন কি না। আমরা তো চাই তিনি নির্বাচনে অংশগ্রহণ করুন।'
চলতি মাসেই অন্তত ২০০ নির্বাচনী এলাকায় বিএনপি একক প্রার্থী চূড়ান্ত করবে বলেও জানান তিনি। বলেন, 'আমরা এই মাসের মধ্যেই দলের পক্ষ থেকে কম-বেশি ২০০ নির্বাচনী এলাকায় একক প্রার্থীকে হয়তো আমরা গ্রিন সিগন্যাল দেবো। সেই প্রক্রিয়ায় আছি আমরা, শেষের দিকে, যাতে করে নির্বাচনের মাঠে একক প্রার্থী হিসেবে তারা কাজ করতে পারেন।'
জোট করলেও রাজনৈতিক দলগুলোকে নিজ নিজ প্রতীকে নির্বাচনে অংশ নিতে হবে—এমন বিধান যুক্ত করে নির্বাচনসংক্রান্ত আইন গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ (সংশোধন) অধ্যাদেশের খসড়া অনুমোদন নিয়ে এ সময় কথা বলেন বিএনপির এই নেতা।
এ বিষয়টি পুনর্বিবেচনার আহ্বান জানিয়ে বিএনপি নির্বাচন কমিশন ও আইন উপদেষ্টাকে চিঠি দেবে উল্লেখ করেন সালাহউদ্দিন।
তিনি বলেন, 'রাজনৈতিক দল হিসেবে আকারে ছোট, তারা জোটভুক্ত নির্বাচন করতে চায় যাতে কিছু সিট তারা জিততে পারে। সে বিধানটা সবাই সমর্থন করেছে, এটা পরিবর্তনের জন্য আমাদের কোনো সম্মতি ছিল না। অধিকাংশ রাজনৈতিক দলের সম্মতি ছিল না।'
সালাহউদ্দিন বলেন, 'প্রেস ব্রিফিংয়ের পরে আমি আইন উপদেষ্টার সঙ্গে ফোনে কথা বলেছিলাম। তিনি বলেছেন, হ্যাঁ, আলোচনা তো হয়েছিল আপনাদের সঙ্গে কিন্তু এটা নির্বাচন কমিশনের পক্ষ থেকে এভাবে উত্থাপন করা হয়েছে। এখানে কেউ আপত্তি দেয়নি।'
এই সংশোধনীতে বিএনপি ও অন্য দলগুলোর সম্মতি নেই উল্লেখ করে তিনি বলেন, 'এখন যেভাবে সংশোধনীটা কেবিনেটে পাস হয়েছে, কয়দিন পর অধ্যাদেশ আকারে পাস হবে, সেটা হলে যারা জোটভুক্ত হয়ে নির্বাচন করতে চাইবেন—অনেক ছোট দলগুলো, এটা আমি কাউকে অসম্মান জানানোর জন্য ছোট দল বলছি না, রাজনীতির মাঠে আকারে ছোট-বড় অনেক দল থাকে, যাদের জনসমর্থনের ভিত্তিতে এটা বলা হয়, তারা জোট হতে উৎসাহিত হবে না। তাদের সম্মতি নেই, আমাদেরও সম্মতি নেই। এটা একতরফাভাবে নির্বাচন কমিশন থেকে এভাবে কেন উত্থাপন করা হলো জানি না।'
'কারণ আচরণবিধি এবং আরপিওর বিষয়ে আমাদের কাছে অধ্যাদেশের খসড়ার ওপরে মতামত চেয়েছিল নির্বাচন কমিশন, আমরা জানিয়েছিলাম অধিকাংশের সঙ্গেই আমরা একমত কিন্তু জোটভুক্ত হলেও দলগুলোর নিজস্ব প্রতীকের বাইরে জোটের অন্য প্রতীক নিতে পারবে না এ বিষয়ে আমরা সম্মত হইনি কখনো। আমার মনে হয় একটা সুষ্ঠু রাজনীতির স্বার্থে, নির্বাচনের স্বার্থে এটা পুনর্বিবেচনা করা প্রয়োজন। এই কথা আমি আমাদের দলের পক্ষ থেকে জানিয়েছি, আমরা হয়তো আনুষ্ঠানিক চিঠিও দেবো নির্বাচন কমিশন এবং আইন উপদেষ্টার কাছে,' যোগ করেন তিনি।
বিএনপির এই নেতা আরও বলেন, 'আমাদের দেশে বহুদলীয় গণতন্ত্রের রাজনীতির ইতিহাসে দেখা গেছে, যেসব ছোটখাটো দলের গুরুত্বপূর্ণ নেতারা পার্লামেন্টে আসলে জাতীয় সংসদটা সমৃদ্ধ হয়, তাদের নির্বাচিত হওয়ার একটা সুযোগ হচ্ছে এভাবে জোটভুক্ত ইলেকশন। তাদেরকে বঞ্চিত করা উচিত হবে বলে আমরা মনে করি না।'


Comments