চট্টগ্রামে বিএনপি প্রার্থীর সমর্থকদের সঙ্গে পুলিশের ধস্তাধস্তি
চট্টগ্রাম-১০ আসনে বিএনপির প্রার্থী সাঈদ আল নোমানের মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার সময় আচরণবিধি লঙ্ঘন করে শোডাউন এবং পুলিশের সঙ্গে তার সমর্থকদের ধস্তাধস্তির ঘটনা ঘটেছে। আজ সোমবার দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে চট্টগ্রাম বিভাগীয় কমিশনারের কার্যালয়ে এ ঘটনা ঘটে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, বিএনপির প্রয়াত ভাইস চেয়ারম্যান আবদুল্লাহ আল নোমানের ছেলে সাঈদ আল নোমান শতাধিক নেতাকর্মী নিয়ে বিভাগীয় কমিশনারের কার্যালয়ে মনোনয়নপত্র জমা দিতে আসেন। এ সময় বিপুলসংখ্যক নেতাকর্মী প্রার্থীর সঙ্গে ভেতরে ঢুকতে চাইলে পুলিশ বাধা দেয়। এতে পুলিশের সঙ্গে বিএনপি কর্মীদের ধস্তাধস্তি ও উত্তেজনার সৃষ্টি হয়। একপর্যায়ে পুলিশ প্রধান ফটক আটকে দেয় এবং পরে প্রার্থী হাতে গোনা কয়েকজনকে নিয়ে ভেতরে প্রবেশ করেন।
জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আচরণবিধি [৯ (ঘ) ধারা] অনুযায়ী, মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার সময় কোনো প্রকার শোভাযাত্রা বা শোডাউন করা যাবে না এবং রিটার্নিং কর্মকর্তার কাছে প্রার্থীর সঙ্গে পাঁচজনের বেশি লোক থাকতে পারবে না।
আচরণবিধি লঙ্ঘনের বিষয়ে জানতে চাইলে সাঈদ আল নোমান বলেন, 'মানুষের এমন ভালোবাসা ও আবেগ চট্টগ্রামের ঐতিহ্য। এটা আমি বাবার সময় থেকে দেখে আসছি। এটি একদিকে যেমন প্রাপ্তি, অন্যদিকে বিব্রতকরও।' পরিস্থিতির জন্য বিব্রতবোধ করছেন জানিয়ে তিনি বলেন, 'রাজনীতি বা নির্বাচন ক্ষমতার জন্য নয়, বরং এটি কাঁধে বড় দায়িত্ব। আমি জয়-পরাজয় নিয়ে ভাবছি না, মানুষের সেবা করে যেতে চাই।'
পরে তিনি বিভাগীয় কমিশনার মো. জিয়াউদ্দিনের কাছে মনোনয়নপত্র জমা দেন।
আজ সোমবার ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার শেষ দিন। সকাল থেকেই চট্টগ্রামের রিটার্নিং কর্মকর্তার কার্যালয়গুলোতে প্রার্থীদের ভিড় দেখা গেছে।
চট্টগ্রামের ১৬টি সংসদীয় আসনের মধ্যে ৫টির (চট্টগ্রাম-৪, ৫, ৮, ৯ ও ১০) রিটার্নিং কর্মকর্তার দায়িত্ব পালন করছেন বিভাগীয় কমিশনার মো. জিয়াউদ্দিন। বাকি ১০টি আসনের দায়িত্বে আছেন জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ জাহিদুল ইসলাম মিয়া। এ ছাড়া সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তার কার্যালয়েও প্রার্থীরা মনোনয়নপত্র জমা দিচ্ছেন।


Comments