ঠাকুরগাঁও

আটকের ১২ ঘণ্টা পর পুলিশ হেফাজতে যুবদল নেতার মৃত্যু

মৃত মো. আকরাম হোসেন। ছবি: সংগৃহীত

ঠাকুরগাঁওয়ের হরিপুরে আটকের ১২ ঘণ্টা পর পুলিশ হেফাজতে এক যুবদল নেতা মারা গেছেন।

মৃত হরিপুর উপজেলার হাটপুকুর গ্রামের মো. আকরাম হোসেন (৪০) উপজেলা যুবদলের সদস্য সচিব ছিলেন।

হরিপুর থানার পরিদর্শক মিজানুর রহমানের নেতৃত্বে পুলিশের একটি দল রোববার দিবাগত রাত সোয়া ২টার দিকে আকরামসহ তিনজনকে আটক করে। আজ সোমবার দুপুরে আকরাম মারা যান।

পুলিশ জানায়, থানা থেকে আদালতে নেওয়ার সময় আকরাম অসুস্থ হয়ে পড়লে দুপুর ২টার দিকে তাকে হরিপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়া হয় এবং সেখানে তিনি মারা যান।

তবে যোগাযোগ করা হলে হাসপাতালের মেডিকেল অফিসার মো. শামীমুজ্জামান দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, 'হাসপাতালে পৌঁছানোর আগেই আকরাম মারা যান। ময়নাতদন্তের আগে তার মৃত্যুর কারণ নিশ্চিত করা সম্ভব হবে না।'

হরিপুর উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আবু তাহের ডেইলি স্টারকে বলেন, 'আকরামকে আটকের পর স্বজনদের সঙ্গে দেখা করতে দেওয়া হয়নি। তিনি অসুস্থ হওয়ার পর পুলিশ যথাযথ ব্যবস্থা নেয়নি।'

জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মির্জা ফয়সাল আমিন এটিকে পুলিশি হেফাজতে রাজনৈতিক হত্যাকাণ্ড দাবি করে বলেন, 'পুলিশ হেফাজতে অসুস্থ হয়ে পড়লেও, পুলিশ আকরামের চিকিৎসার ব্যবস্থা করেনি।'

মৃতের স্ত্রী রুমা আক্তার ডেইলি স্টারকে জানান, তার স্বামী দীর্ঘদিন ধরে ডায়াবেটিস, উচ্চ রক্তচাপ ও হৃদরোগে ভুগছিলেন।

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্র জানায়, গতকাল রাত ২টার দিকে গ্রামে অভিযান চালিয়ে আকরাম, শফিকুল ইসলাম ও আবু হানিফকে পুলিশ আটক করে এবং তাদের কাছ থেকে মাদক জব্দ করে।

পরে তাদের বিরুদ্ধে হরিপুর থানায় একটি মামলা করা হয়।

জানতে চাইলে জেলা পুলিশ সুপার উত্তম প্রসাদ পাঠক ডেইলি স্টারকে বলেন, 'থানা থেকে আদালতে নেওয়ার সময় আকরাম সুস্থ ছিলেন। পথে তিনি অসুস্থ হয়ে পড়লে তাকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়া হয় এবং সেখানে তিনি মারা যান।'

Comments

The Daily Star  | English

14 killed as police open fire on Gen Z protest in Nepal

Police used live ammunition, tear gas, and water cannons against protesters demonstrating against social media restrictions and corruption

2h ago