ঢাকা মহানগরের সব থানায় এনসিপির মানববন্ধন বৃহস্পতিবার

গোপালগঞ্জে নেতাকর্মীদের ওপর হামলার প্রতিবাদে এবং জড়িতদের গ্রেপ্তার ও বিচার দাবিতে বৃহস্পতিবার ঢাকা মহানগরের সব থানায় একযোগে মানববন্ধন ও স্মারকলিপি প্রদান কর্মসূচি পালন করবে জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি)।
বুধবার দিবাগত রাতে দলটির কেন্দ্রীয় সংগঠক এম এম শোয়াইব এই কর্মসূচির কথা জানিয়েছেন।
হামলার প্রতিবাদে ঢাকায় অনুষ্ঠিত এনসিপির মশাল মিছিল থেকে আকরাম হোসাইন এই কর্মসূচি ঘোষণা করেন।
বিক্ষোভ মিছিলটি বাংলামোটর মোড় থেকে শুরু হয়ে কারওয়ান বাজার সার্ক ফোয়ারায় গিয়ে শেষ হয়।
তিনি বলেন, বৃহস্পতিবার একযোগে মহানগর উত্তর ও দক্ষিণের প্রতিটি থানার সামনে বিকেল ৪টায় প্রতিবাদী মানববন্ধন ও স্মারকলিপি প্রদান করা হবে।
কেন্দ্রীয় যুগ্ম সদস্যসচিব ও ঢাকা মহানগর উত্তরের প্রধান সমন্বয়কারী আকরাম হোসাইন বলেন, 'এনসিপির জুলাই পদযাত্রা উপলক্ষে বুধবার গোপালগঞ্জে সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে। এই সমাবেশকে ঘিরে নিষিদ্ধ সন্ত্রাসী সংগঠন আওয়ামী লীগ বহুমুখী ষড়যন্ত্র করেছে।'
তিনি বলেন, 'শুধু তাই নয়, জুলাই বিপ্লবীদেরকে হত্যার উদ্দেশ্যে তারা সারা দেশ থেকে লুকিয়ে থাকা নিষিদ্ধ আওয়ামী লীগের সন্ত্রাসী ও সশস্ত্র ক্যাডারদের গোপালগঞ্জে একত্রিত করতে থাকে। যখন জুলাই পদযাত্রার বহর গোপালগঞ্জে পৌঁছে, তখনই গাড়ি বহরের ওপর সশস্ত্র হামলা করে নিষিদ্ধ আওয়ামী লীগের সন্ত্রাসী ও ক্যাডাররা। জাতীয় নাগরিক পার্টি এই হুমকি ও হামলাকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে বিপ্লবী গোপালগঞ্জ বাসীকে সঙ্গে নিয়ে সমাবেশ সফল করে। ঠিক তখনই তারা সমাবেশে সশস্ত্র হামলা করে।'
দুজন কেন্দ্রীয় সংগঠক আহত হয়েছেন উল্লেখ করে তিনি এই হামলার নিন্দা ও প্রতিবাদ জানান।
তিনি হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে বলেন, আগামী ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে সন্ত্রাসীদের গ্রেপ্তার ও বিচারের আওতায় আনতে হবে। অন্যথায় জুলাই অভ্যুত্থানের বিপ্লবীরা আবারও রাজপথে নেমে আসবে এবং মুজিববাদের চিরস্থায়ী কবর রচনা করবে।
কেন্দ্রীয় যুগ্ম সদস্যসচিব ও ঢাকা মহানগর দক্ষিণের প্রধান সমন্বয়কারী নিজাম উদ্দিন বলেন, আজকে যে হামলা হয়েছে তা মুজিববাদী চরিত্রের বহিঃপ্রকাশ। আওয়ামী লীগ সন্ত্রাসী সংগঠন হিসেবে নিষিদ্ধ হওয়ার পরেও তারা কীভাবে এমন সশস্ত্র ক্যাডারদের দিয়ে হামলা করে তা আমাদের নতুন করে ভাবাচ্ছে। অন্তর্বর্তীকালীন সরকার এই দায় কখনোই এড়াতে পারে না। নিষিদ্ধ আওয়ামী লীগকে গ্রেপ্তার ও বিচারের আওতায় না আনতে পারলে ছাত্র-জনতা আবারও জুলাই কায়েম করবে।
কেন্দ্রীয় যুগ্ম মুখ্য সংগঠক এস এম শাহরিয়ার বলেন, জুলাইয়ের সন্তানদের ওপর হামলার মধ্য দিয়ে প্রমাণিত হলো এখনো আমরা জুলাই গণহত্যার জন্য আওয়ামী লীগের বিচার শুরুই করতে পারিনি, ইন্টেরিম আজকের ঘটনায় নিরাপত্তা দিতে সম্পূর্ন ব্যর্থ। তারা ভোটের নিরাপত্তা দেওয়ার জন্য মোটেও ফিট না।
কেন্দ্রীয় সংগঠক মোস্তাক আহমেদ শিশির বলেন, জুলাই গণঅভ্যুত্থান পরবর্তী আওয়ামী লীগের এই হামলা আমাদের পুনরায় ফ্যাসিবাদের আস্ফালন মাথাচাড়া দিয়ে উঠতে চায়। জুলাই ছাত্র-জনতা যতদিন বেঁচে থাকবে, ততদিন সন্ত্রাসী লীগের এই আস্ফালন সহ্য করা হবে না।
Comments