নরসিংদীতে বিএনপির দুই গ্রুপের সংঘর্ষে গুলিতে নিহত ১, আহত ৫

নরসিংদীতে আজ ভোরে বিএনপির দুই গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। ছবি: সংগৃহীত

নরসিংদী সদর উপজেলার আলোকবালীতে আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে বিএনপির দুই গ্রুপের সংঘর্ষে গুলিবিদ্ধ হয়ে একজন নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন অন্তত পাঁচ জন।

আজ বৃহস্পতিবার ভোর ৫টার দিকে এ ঘটনা ঘটে বলে জানায় পুলিশ। 

স্থানীয়রা জানায়, আলোকবালী ইউনিয়ন বিএনপি আহ্বায়ক শাহ আলম চৌধুরী ও বহিষ্কৃত সদস্য সচিব আব্দুল কাইয়ুম মিয়া গ্রুপের মধ্যে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। উভয় গ্রুপের মধ্যেই আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীরা রয়েছেন।

সংঘর্ষে নিহত ইদন মিয়া (৫৫) মুরাদনগর গ্রামের বাসিন্দা ও ৭ নং ওয়ার্ড জামায়াতের আমির আল-আমিন মারুফের বাবা।

প্রাথমিকভাবে আহতদের সম্পর্কে বিস্তারিত জানা যায়নি।

স্থানীয়রা জানায়, গতবছর ৫ আগস্টের পর দুই গ্রুপের মধ্যে আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে দলীয় বিভাজন তৈরি হয়।

জানা যায়, নদী থেকে বালু উত্তোলন, দখল ও আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে আলোকবালী ইউনিয়ন বিএনপি আহবায়ক শাহ আলম চৌধুরী ও সম্প্রতি দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গের অভিযোগে বহিষ্কার একই কমিটির সদস্য সচিব আব্দুল কাইয়ুম মিয়া পরস্পর বিরোধে জড়ায়। পাশাপাশি দলীয় কর্মসূচিও তারা আলাদা পালন করেন।

ইউনিয়ন বিএনপির আহ্বায়ক শাহ আলম চৌধুরী বলেন, 'ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগের দোসর বিএনপির বহিষ্কৃত সদস্য সচিব কাইয়ুমের নেতৃত্বে মুরাদনগর গ্রামে অস্ত্র, ভাড়াটে সন্ত্রাসী ও আওয়ামী লীগের লোকজন দিয়ে হামলা করা হয়। হামলার প্রতিবাদে এলাকাবাসী প্রতিরোধ গড়ে তুলেছে।'

অভিযোগ নিয়ে জানতে ইউনিয়ন বিএনপি সাবেক সদস্য সচিব কাইয়ুম মিয়াকে কল দেয়া হলে তিনি ধরেননি।

নরসিংদী সদর থানা স্বেচ্ছাসেবক দল ও আলোকবালী ইউনিয়ন বিএনপির যুগ্ম আহবায়ক নায়েব আলী বলেন, 'নিহত ইদন মিয়া আমার কর্মী। আওয়ামী লীগের লোকজন ও বহিরাগত ভাড়াটে সন্ত্রাসীদের নিয়ে ঘুমন্ত অবস্থায় ভোর ৪টার দিকে হামলা চালিয়ে গুলি করা হয়। গুরুতর আহত দুই জনকে ঢাকায় পাঠানো হয়েছে। ঘটনায় জড়িত সবার বিচার দাবি করছি।'

নরসিংদী সদর হাসপাতালের আবাসিক চিকিৎসক ফরিদা গুলশানারা কবির জানান, ইদন মিয়াকে মৃত অবস্থায় নিয়ে আসা হয়েছে হাসপাতালে। তার বুকে তিনটা গুলির আঘাত ছিল। ময়নাতদন্তের পর মৃত্যুর কারণ নিশ্চিত হওয়া যাবে।

নরসিংদী সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ এমদাদুল হক বলেন, 'আমরা ঘটনাস্থলে আছি। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। সংঘর্ষের ঘটনায় গুলিতে একজন নিহত হয়েছেন। নিহতের লাশ ময়নাতদন্তের জন্য সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে।'

Comments

The Daily Star  | English

Water lily tug-of-war continues

The Election Commission and National Citizen Party remain locked in a heated debate over the party’s choice of electoral symbol, the water lily -- a dispute that began in June..Despite several exchanges of letters and multiple meetings between NCP and the chief election commissioner, other

1h ago