ফৌজদারহাট-বায়েজিদ লিংক রোড: দুই ঘণ্টার পথ কমে এসেছে ৩০-৪০ মিনিটে

ফৌজদারহাট-বায়েজিদ লিংক রোড
গত ১৪ নভেম্বর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ফৌজদারহাট-বায়েজিদ লিংক রোড উদ্বোধন করেন। ছবি: রাজীব রায়হান/স্টার

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গত ১৪ নভেম্বর ফৌজদারহাট-বায়েজিদ লিংক রোড উদ্বোধন করেন। এটি এখন বন্দরনগরী চট্টগ্রামের একটি গুরুত্বপূর্ণ বাইপাস সড়কে পরিণত হয়েছে।

নগরীর যানজট নিরসনে এবং ঢাকাগামী যানবাহন সহজে চট্টগ্রাম থেকে বের হতে ৩৫৩ কোটি টাকা ব্যয়ে প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করেছে চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (চউক)।

চউকের সহকারী প্রকৌশলী ও প্রকল্প পরিচালক আসাদ বিন আনোয়ার দ্য ডেইলি স্টারকে জানান, ৬ কিলোমিটার এ বাইপাস সড়কটির নামকরণ করা হয়েছে বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেসা মুজিব সড়ক।

এ সড়ক দিয়ে ঢাকা থেকে রাঙ্গামাটি ও খাগড়াছড়ি উদ্দেশে যানবাহনগুলো চট্টগ্রামে প্রবেশ না করে বাইপাস হয়ে যেতে পারবে। একইভাবে দুই পার্বত্য জেলার যানবাহন বন্দরনগরীতে প্রবেশ না করেই চট্টগ্রাম-ঢাকা মহাসড়কের দিকে যেতে পারবে।

বাইপাসের পশ্চিম অংশ শুরু হয়েছে সীতাকুণ্ডের ফৌজদারহাট এলাকায়। আর পূর্ব অংশে আছে শহরের বায়েজিদ বোস্তামী এলাকা।

নগরীর শেরশাহ এলাকার বাসিন্দা আসাদ হায়দার ব্যবসার কাজে প্রতিদিন সীতাকুণ্ডে যাতায়াত করেন। 

তিনি ডেইলি স্টারকে বলেন, 'আগে কাজে যেতে হলে আমাকে ষোলশহর দুই নম্বর গেট পেরিয়ে জিইসি মোড়ে যেতে হতো। এতে দুই ঘণ্টা সময় লাগত। এখন বাইপাস দিয়ে যেতে সময় লাগে ৩০-৪০ মিনিট।'

চউক সূত্র জানায়, ১৯৯৬ সালে ৪০ কোটি টাকা ব্যয়ে এ প্রকল্প শুরু হয়। কিন্তু বারবার হোঁচট খাওয়ার পর অনেক চড়াই-উৎরাই পেরিয়ে ২০১৩ সালের ৫ নভেম্বর প্রকল্পটি আবার হাতে নেওয়া হয়।

২০১৬ সালে প্রকল্প-ব্যয় ধরা হয়েছিল প্রায় ৩২০ কোটি টাকা। এরপর গত বছরের আগস্টে প্রকল্প-ব্যয় বেড়ে দাঁড়ায় ৩৫৩ কোটি টাকায়। 

এর মধ্যে ৩৩ কোটি টাকা চউকের নিজস্ব তহবিল থেকে পরিশোধের নির্দেশ দেয় অর্থ মন্ত্রণালয়। 

এ কারণে চউক এই সড়ক থেকে টোল আদায়ের সিদ্ধান্ত নিয়েছে বলে জানান প্রকল্প পরিচালক।  

প্রকৌশলী আসাদ বলেন, 'টোলের হার এখনো নির্ধারণ হয়নি। টোলের হার চূড়ান্ত না হওয়া পর্যন্ত বাইপাস দিয়ে টোল ছাড়াই চলাচল করতে পারবে যানবাহন।'

Comments

The Daily Star  | English

Dozens of zombie firms still trading as if nothing is wrong

Nearly four dozen companies have been languishing in the junk category of the Dhaka Stock Exchange (DSE) for at least five years, yet their shares continue to trade on the country’s main market and sometimes even appear among the top gainers. 

1h ago