চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়

শিক্ষককে ‘ফ্যাসিবাদের দোসর’ আখ্যা দিয়ে বিক্ষোভ, পদোন্নতি সভা বাতিল

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়
ছবি: সংগৃহীত

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে (চবি) পদোন্নতি সভায় এক শিক্ষকের উপস্থিতি নিয়ে বিক্ষোভ করেছে শিক্ষার্থীরা। ওই শিক্ষক 'ফ্যাসিবাদের দোসর' এবং তিনি হত্যাচেষ্টা মামলায় অভিযুক্ত দাবি করে শিক্ষার্থীরা প্রশাসনিক ভবনের প্রধান ফটক লাগিয়ে দেয়।

পরে ওই শিক্ষকের পদোন্নতি সভার জন্য গঠিত বোর্ড বাতিল করা হয়। তবে অন্য শিক্ষকদের বোর্ড যথাসময়ে অনুষ্ঠিত হয়।

আজ শুক্রবার বিকেল ৩টার দিকে চবি সংস্কৃত বিভাগের সহকারী অধ্যাপক কুশল বরণ চক্রবর্তীর বিরুদ্ধে বিক্ষোভ করে শিক্ষার্থীরা। 

সহযোগী অধ্যাপক হিসেবে তার পদোন্নতির জন্য বিকেলে উপাচার্যের সম্মেলন কক্ষে বোর্ড সভা বসার কথা ছিল।

বিক্ষোভরত শিক্ষার্থীদের অভিযোগ, গুরুতর অভিযোগ থাকা সত্ত্বেও বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন ড. কুশল বরণ চক্রবর্তীর পদোন্নতির জন্য বোর্ড আহ্বান করেছে, যা জুলাই আন্দোলনের চেতনার সঙ্গে 'বিশ্বাসঘাতকতা'।

জানতে চাইলে চবি বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতা আশিকুর রহমান দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, 'আমরা জানতে পেরেছি হত্যাচেষ্টা মামলায় অভিযুক্ত কুশল বরণের পদোন্নতির জন্য আজ বোর্ড বসানো হয়। আমরা এর প্রতিবাদেই বিক্ষোভ করেছি। প্রশাসন যেভাবে একজন অভিযুক্তকে পদোন্নতি দিতে চাইছে, তা ছাত্রদের রক্তে গড়া জুলাই আন্দোলনের চেতনার সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতা।'

তিনি আরও বলেন, 'আমরা উপাচার্যের সঙ্গে দেখা করতে গেলে বলা হয়, ড. কুশলের অনুমতি ছাড়া আমরা ভেতরে ঢুকতে পারবো না।'

ইসলামী ছাত্রশিবির চবি শাখার প্রচার সম্পাদক ইসহাক ভূঁইয়া বলেন, 'কুশল বরণ পদোন্নতি বোর্ডে অংশ নিতে গেলে আমরা প্রশাসনিক ভবন ঘেরাও করি। পরে প্রশাসন জানায়, তার পদোন্নতি বোর্ড বাতিল করা হয়েছে।'

প্রশাসনের পক্ষ থেকে ড. কুশল বরণের পদোন্নতি বোর্ড বাতিলের কথা জানানো হলে প্রায় ৩ ঘণ্টা বিক্ষোভের পর শিক্ষার্থীরা সরে যায়।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে ড. কুশল বরণ ডেইলি স্টারকে বলেন, 'আমার বিরুদ্ধে শিক্ষার্থীরা যে অভিযোগ করছে, তা সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন। আমি কখনো কোনো প্রশাসনের সুবিধা নেইনি। মনে হচ্ছে, কেউ শিক্ষার্থীদের উস্কে দিচ্ছে। আমি মামলার বাদীকেও চিনি না।'

এ বিষয়ে জানতে চাইলে চবি উপ-উপাচার্য (শিক্ষা) অধ্যাপক ড. শামীম উদ্দিন ডেইলি স্টারকে বলেন, 'সংস্কৃত বিভাগের এক শিক্ষকের পদোন্নতির বোর্ড বিকেল ৩টায় হওয়ার কথা ছিল। পরে জানতে পারি তিনি একটি হত্যাচেষ্টা মামলার আসামি। সেসময় শিক্ষার্থীরা প্রশাসনিক ভবন ঘেরাও করলে, পরিস্থিতি বিবেচনায় বোর্ড বাতিল করা হয়। তবে অন্য শিক্ষকের বোর্ড যথাসময়ে অনুষ্ঠিত হয়।'

Comments

The Daily Star  | English
Bangladesh Purchasing Managers’ Index

Bangladesh’s economy might have expanded in August: PMI

Growth stalls in agriculture, construction, as input costs and employment decline

1h ago