৪ লাখ লিটার ডিজেলের খোঁজে যমুনা অয়েলে দুদকের অভিযান

সরকারি মালিকানাধীন তেলের ডিপোতে প্রায় চার লাখ লিটার ডিজেলের হিসেব গরমিল হওয়াকে রাষ্ট্রীয় সম্পদের ক্ষতিসাধন উল্লেখ করে চট্টগ্রামে যমুনা অয়েল কোম্পানির বিভিন্ন স্থাপনায় অভিযান চালিয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) একটি দল।

আজ বুধবার দিনব্যাপী দুদক চট্টগ্রাম জেলা কার্যালয়-১ এর এনফোর্সমেন্ট টিম যমুনা অয়েল কোম্পানি লিমিটেডের পতেঙ্গা টার্মিনাল ও নগরীর আগ্রাবাদের প্রধান কার্যালয়ে অভিযান চালায়।

দুদকের সহকারী পরিচালক সাইদ মোহাম্মদ ইমরানের নেতৃত্বে তিন সদস্যের একটি টিম অভিযানে অংশ নেয়।

অভিযানকালে পতেঙ্গায় অবস্থিত যমুনা টার্মিনালে উপস্থিত হয়ে দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তাদের কাছ থেকে তেল সরবরাহ সংক্রান্ত রেকর্ডপত্র তলব করা হয়। টার্মিনালের এজিএম (টার্মিনাল) মোহাম্মদ মাকছুদুর রহমান সংশ্লিষ্ট রেকর্ডপত্র টিমের হাতে তুলে দেন।

প্রাথমিকভাবে রেকর্ড পর্যালোচনায় দেখা যায়, বিভিন্ন সময় চট্টগ্রাম টার্মিনাল থেকে ফতুল্লা ও কুমিল্লা ডিপোতে পাঠানো তেলের বিপরীতে মোট ঘাটতি পাওয়া গেছে প্রায় ৩ লাখ ৮০ হাজার লিটার।

এর মধ্যে প্রথম পার্সেলে ২ লাখ ৬৮ হাজার ৬৯২ লিটার, দ্বিতীয় পার্সেলে ৫ হাজার ৮৮৮ লিটার অতিরিক্ত পাওয়া গেলেও চূড়ান্ত ঘাটতি দাঁড়ায় ২ লাখ ৬২ হাজার ৮০৪ লিটার।

এ ছাড়া, চলতি বছরের সেপ্টেম্বরে আরও ১ লাখ ১২ হাজার ৫৬১ লিটার তেল ঘাটতির প্রমাণ পাওয়া গেছে।

পতেঙ্গা টার্মিনাল থেকে ডেলিভারি পয়েন্ট পর্যায়ে ডিজেল কারচুপির বিষয়টি যাচাই করতে দুদক আরও রেকর্ডপত্র চেয়েছেন যমুনা অয়েলের কর্মকর্তাদের কাছে।

পরে দুদক টিম আগ্রাবাদের যমুনা অয়েল কোম্পানির প্রধান কার্যালয়ে গিয়ে কর্তৃপক্ষ ও তদন্ত কমিটির বক্তব্য গ্রহণ করে।

সংগৃহীত তথ্য ও নথি যাচাই-বাছাই করে কমিশনের কাছে প্রতিবেদন দাখিল করা হবে বলে জানানো হয়েছে।

যোগাযোগ করা হলে যমুনা অয়েলের মহাব্যবস্থাপক (অপারেশন) সৈয়দ শহীদুল ইসলাম বলেন, 'দুদক থেকে একটি টিম এসেছিল। তাদেরকে টার্মিনাল থেকে নথিপত্র দেওয়া হয়েছে।'

দুদক চট্টগ্রাম জেলা কার্যালয়-১ এর উপপরিচালক মো. সুবেল আহমদ বলেন, 'দুদক প্রধান কার্যালয়ের নির্দেশে অভিযোগের বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে। কমিশন বিষয়টি পর্যালোচনা করে পরবর্তী সিদ্ধান্ত গ্রহণ করবে।'

Comments

The Daily Star  | English

Sugar, edible oil imports surge as dollar supply improves

Bangladesh’s imports of key essential commodities rose in the first quarter of fiscal year 2025-26 (FY26), supported by improved availability of foreign exchange and lower prices in the international market.

5h ago