সাগর-রুনি হত্যা মামলা: আরও ৬ মাস সময় পেল টাস্কফোর্স 

সাগর সরওয়ার ও মেহেরুন রুনি। ছবি: সংগৃহীত

সাংবাদিক দম্পতি সাগর সরওয়ার ও মেহেরুন রুনি হত্যা মামলা তদন্তে গঠিত টাস্কফোর্স আবারও হাইকোর্টে পূর্ণাঙ্গ প্রতিবেদন জমা দিতে ব্যর্থ হয়েছে।
 
আজ বৃহস্পতিবার টাস্কফোর্স মামলার তদন্ত সম্পন্ন করে প্রতিবেদন জমা দেওয়ার জন্য হাইকোর্টের কাছে আরও ছয় মাস সময় চায়। শুনানিতে রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল মো. আরশাদুর রউফ। 

বিচারপতি ফাতেমা নজীবের নেতৃত্বাধীন হাইকোর্ট বেঞ্চকে রউফ বলেন, টাস্কফোর্স মামলাটি তদন্ত করছে এবং তারা কিছু অগ্রগতিও পেয়েছে। তদন্ত শেষ করতে আরও ছয় মাস সময় লাগবে। 

পরে আদালত টাস্কফোর্সকে তদন্ত শেষ করার জন্য ছয় মাস সময় দেন।

এদিকে, টাস্কফোর্সের সময় আবেদনের তীব্র বিরোধিতা করেন বাদীপক্ষের আইনজীবী শিশির মনির।

তিনি তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেওয়ার জন্য টাস্কফোর্সকে তিন মাস সময় দেওয়ার এবং তদন্তের বিষয়ে তাদের অবস্থান ব্যাখ্যা করার জন্য টাস্কফোর্স প্রধানকে তলব করার জন্য আবেদন জানান।

এর আগে ২২ এপ্রিল হাইকোর্ট টাস্কফোর্সকে তদন্ত সম্পন্ন করতে এবং প্রতিবেদন জমা দিতে অতিরিক্ত ছয় মাস সময় মঞ্জুর করেন। পরে আদালত শুনানির জন্য ২২ অক্টোবর দিন ধার্য করেন।

টাস্কফোর্সের নেতৃত্বে থাকা অতিরিক্ত পুলিশ মহাপরিদর্শক এবং পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনের (পিবিআই) প্রধান মো. মুস্তফা কামাল সম্প্রতি দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, আমরা এই মামলার তদন্তের অগ্রগতি সম্পর্কে হাইকোর্টকে অবহিত করব। এখনও জানানোর মতো খুব বেশি ইতিবাচক খবর নেই।

গত বছরের ৩০ সেপ্টেম্বর আদালত এই মামলা তদন্তে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়কে একটি টাস্কফোর্স গঠনের নির্দেশ দেন। এর আগে তদন্তভার ছিল র‍্যাবের ওপর। 

টাস্কফোর্সকে ছয় মাসের মধ্যে তদন্ত সম্পন্ন করে আদালতে প্রতিবেদন জমা দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়। এই সময়সীমা এই বছরের ৩১ মার্চ শেষ হয়ে যায়।

বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেল মাছরাঙার বার্তা সম্পাদক সাগর ও তার স্ত্রী এটিএন বাংলার সিনিয়র রিপোর্টার রুনি ২০১২ সালের ১১ ফেব্রুয়ারি পশ্চিম রাজাবাজারে তাদের ভাড়া বাসায় হত্যার শিকার হন।

রুনির ভাই পরের দিন শেরেবাংলা নগর থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। তবে কোনো সন্দেহভাজনের নাম উল্লেখ করেননি।

Comments

The Daily Star  | English
Yunus, Charter, and Our Future

Yunus, Charter, and Our Future

Can the vision for 'New Bangladesh' ignore the poor, farmers, workers, youth, women, or employment and climate crises?

3h ago