গাজায় বন্ধ হয়নি হামলা, জেরুজালেমে নেতানিয়াহুবিরোধী বিক্ষোভ

জেরুজালেমে নেতানিয়াহুবিরোধী বিক্ষোভ | ছবি: এএফপি

যুদ্ধবিরতি ভেঙে মঙ্গলবার থেকে গাজায় শুরু হওয়া ইসরায়েলি হামলায় অন্তত ৪৩৬ জন ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন, যার মধ্যে ১৮৩ শিশুর প্রাণ ঝরেছে। বিমান হামলায় জাতিসংঘের একজন কর্মীও নিহত হয়েছেন।

আজ বুধবার জেরুজালেমে ইসরায়েলের পার্লামেন্ট ভবনের সামনে প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর বিরুদ্ধে বিক্ষোভে অংশ নিয়েছেন হাজারো ইসরায়েলি।

সংবাদমাধ্যম আল জাজিরা ও সিএনএন প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে।

গাজায় জাতিসংঘের একটি ভবনে ইসরায়েলি বিমান হামলায় একজন বিদেশি কর্মী নিহত ও অন্তত ছয়জন গুরুতর আহত হয়েছেন বলে জানিয়েছে গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়। জাতিসংঘও তথ্য নিশ্চিত করেছে।

গাজায় নতুন করে শুরু হওয়া ইসরায়েলি হামলা নিয়ে যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী কিয়ার স্টারমার, ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল মাখোঁ, জার্মানির চ্যান্সেলর ওলাফ শলৎজসহ অনেক পশ্চিমা নেতাও উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন।

তুরস্ক একে ইসরায়েলি 'গণহত্যার নতুন অধ্যায়' বলে আখ্যা দিয়েছে।

এদিকে জেরুজালেমের বিক্ষোভে আজ কিছু আন্দোলনকারীকে 'জোটের ভবিষ্যৎ নাকি ইসরায়েলের ভবিষ্যৎ?' লেখা ব্যানার হাতে দেখা যায়।

বিক্ষোভকারীদের মতে, জোট সরকারের কিছু ব্যক্তিকে সন্তুষ্ট করতে দেশের নিরাপত্তা ও ইসরায়েলি জিম্মিদের জীবন ঝুঁকির মধ্যে ফেলছেন নেতানিয়াহু।

নেতানিয়াহুকে নিয়ে ইসরায়েলি আদালতে চলমান দুর্নীতি মামলা ও ইসরায়েলের বাজেট সংক্রান্ত ভোটের আগে গাজায় নতুন করে শুরু হওয়া গণহত্যা তার সরকারের জোটকে আবার শক্তিশালী করতে সাহায্য করছে।

গাজায় বিমান হামলার শুরুর পরপরই নিরাপত্তামন্ত্রীর দায়িত্বে ফিরে এসেছেন ইতামার বেন গভির। জানুয়ারিতে ইসরায়েল যুদ্ধবিরতি চুক্তিতে রাজি হওয়ায় পদত্যাগ করেছিলেন তিনি। তখনই তিনি বলেছিলেন, গাজায় আবার হামলা শুরু করা হলেই কেবল তিনি দায়িত্বে ফিরবেন।

বেন গভিরের মতো কট্টরপন্থি নেতাদের সমর্থন জোট সরকারকে টিকিয়ে রাখার জন্য জরুরি ছিল।
পার্লামেন্ট ভবন নেসেটের সামনে বিক্ষোভ করা ইসরায়েলি সংস্থা 'মুভমেন্ট ফর কোয়ালিটি গভর্নমেন্ট'-এর চেয়ারম্যান ইলিয়াস শ্রাগার মতে, ক্ষমতায় টিকে থাকার জন্যই গাজায় হামলা চালিয়ে যাচ্ছেন নেতানিয়াহু।

'নেতানিয়াহু বিচার থেকে পালাতে চান। এ কারণেই আমরা এখন সরকারে পরিবর্তন দেখছি, রক্তাক্ত যুদ্ধ দেখছি,' বলেন শ্রাগা।

মঙ্গলবারই দুর্নীতি মামলায় সাক্ষ্য দেওয়ার কথা ছিল নেতানিয়াহুর। কিন্তু আদালতে তার হাজিরার কয়েক ঘণ্টা আগে গাজায় হামলা শুরু করে ইসরায়েল। যে কারণে নেতানিয়াহুর সাক্ষ্যগ্রহণ স্থগিত করা হয়।

শ্রাগা আরও বলেন, 'বিচার থেকে পালাতে চাওয়ার একটি কারণ হচ্ছে, তিনি তার জোট সরকারকে টিকিয়ে রাখতে চান। এ জন্য ইসরায়েলিদের বলি দিতেও প্রস্তুত তিনি।'

Comments

The Daily Star  | English

Hopes run high as DU goes to vote today

The much-anticipated Ducsu and hall union elections are set to be held today after a six-year pause, bringing renewed hope for campus democracy.

5h ago