ফখরের ১৮০ রানে রেকর্ড গড়ে নিউজিল্যান্ডকে হারাল পাকিস্তান

ছবি: এএফপি

টানা দ্বিতীয় সেঞ্চুরি হাঁকিয়ে ক্যারিয়ারসেরা ইনিংস খেললেন ড্যারিল মিচেল। তাকে দারুণ সঙ্গ দিলেন চ্যাড বাওয়েস ও অধিনায়ক টম ল্যাথাম। তাতে পাকিস্তানের মাটিতে নিজেদের দলীয় সর্বোচ্চ পুঁজি পেল নিউজিল্যান্ড। কিন্তু সেসব ম্লান করে দিলেন দুর্দান্ত ছন্দে থাকা ফখর জামান। টানা তৃতীয় সেঞ্চুরির স্বাদ নিয়ে অপরাজিত থাকলেন তিনি। তার তাণ্ডবে রেকর্ড গড়ে জিতল পাকিস্তান।

শনিবার রাওয়ালপিন্ডিতে সিরিজের দ্বিতীয় ওয়ানডেতে ৭ উইকেটে জিতেছে স্বাগতিকরা। টস হেরে আগে ব্যাটিংয়ে নেমে নির্ধারিত ৫০ ওভারে ৫ উইকেটে ৩৩৬ রান তোলে কিউইরা। জবাবে ১০ বল হাতে রেখে ৩ উইকেটে ৩৩৭ রান করে জয়ের উল্লাসে মাতে বাবর আজমের নেতৃত্বাধীন দল। এই জয়ে পাঁচ ম্যাচের সিরিজে পাকিস্তান এগিয়ে গেছে ২-০ ব্যবধানে।

ওয়ানডেতে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে এবারই প্রথম তিনশ ছাড়ানো লক্ষ্য তাড়া করে জিতল পাকিস্তান। এর আগে ২০০৩ সালে লাহোরে ২৯২ রানের লক্ষ্যে ১২ বল হাতে রেখে তারা জিতেছিল ৩ উইকেটের ব্যবধানে। ওই ম্যাচে কিউইদের করা ৫ উইকেটে ২৯১ রান এতদিন ছিল পাকিস্তানের মাটিতে তাদের সর্বোচ্চ সংগ্রহ।

ম্যাচসেরা বাঁহাতি ফখর ওপেনিংয়ে নেমে ১৮০ রানের বিস্ফোরক ইনিংস। ১৪৪ বল মোকাবিলায় ১২৫ স্ট্রাইক রেটে তিনি ১৭টি চার ও ৬টি ছক্কা মারেন। তার পাশাপাশি ব্যাট হাতে অবদান রাখেন বাবর ও মোহাম্মদ রিজওয়ান। দুজনই করেন হাফসেঞ্চুরি। অধিনায়ক বাবর তিনে নেমে ৬৬ বলে ৬৫ রান করেন ৫টি চার ও একটি ছয়ের সাহায্যে। পাঁচে নামা রিজওয়ান অপরাজিত থাকেন ৫৪ রানে। ৪১ বলে ৬টি চার আসে তার ব্যাট থেকে।

জবাব দিতে নেমে উদ্বোধনী জুটিতে ৬৬ রান পায় পাকিস্তান। ম্যাট হেনরির বল আকাশে তুলে ইমাম-উল-হক শর্ট মিডউইকেটে মিচেলের তালুবন্দি হলে পতন হয় প্রথম উইকেটের। দ্বিতীয় উইকেটে ১২২ বলে ১৩৫ রান যোগ করে দলকে জয়ের কক্ষপথে রাখেন অধিনায়ক বাবর ও ফখর। বাবর ইশ সোধির শিকার হওয়ার পর আবদুল্লাহ শফিককে টিকতে দেননি হেনরি শিপলি। তবে পথ হারায়নি পাকিস্তান। অবিচ্ছিন্ন চতুর্থ উইকেট জুটিতে ৮৬ বলে ১১৯ রান তুলে ম্যাচ শেষ করেন ফখর ও রিজওয়ান।

৪৪ বলে ফিফটি ছোঁয়া ফখর সেঞ্চুরি পূরণ করেন ৮৩ বলে। ৬৭ ওয়ানডের ক্যারিয়ারে এটি তার টানা তৃতীয় ও সব মিলিয়ে দশম শতরান। টানা তিনটি সেঞ্চুরিই তিনি করলেন নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে। আগের ওয়ানডেতে ১১৭ রান করার আগে গত জানুয়ারিতে তিনি খেলেছিলেন ১০১ রানের ইনিংস। সেঞ্চুরির পর একই ধাঁচে খেলতে থাকেন ফখর। দেড়শ স্পর্শ করেন ১২৫ বলে। নিজের শেষ ৩০ রান তিনি আনেন ১৯ বলে।

এর আগে সফরকারীদের পক্ষে মিচেল খেলেন ১২৯ রানের আক্রমণাত্মক ইনিংস। ১১৯ বল খেলে তিনি মারেন ৮টি চার ও ৩টি ছক্কা। ২৩ ওয়ানডের ক্যারিয়ারে এটি তার টানা দ্বিতীয় ও সব মিলিয়ে তৃতীয় সেঞ্চুরি। আগের ম্যাচে তিনি করেছিলেন ১১৩ রান। এদিন বাওয়েসের সঙ্গে দ্বিতীয় উইকেটে ৮০ বলে ৮৬ ও ল্যাথামের সঙ্গে তৃতীয় উইকেটে ১৫৯ বলে ১৮৩ রানের জুটি গড়েন মিচেল। বাওয়েস ৭টি চারে ৫১ বলে ৫১ রান করেন। অধিনায়ক ল্যাথামের ব্যাট থেকে ৮৫ বলে ৮টি চার ও একটি ছক্কায় আসে ৯৮ রান।

ইনিংসের শেষ ৫ ওভারে নিউজিল্যান্ড যোগ করতে পারে কেবল ৩৭ রান। সেসময় পাকিস্তানের দুই পেসার হারিস রউফ ও নাসিম শাহ দারুণ আঁটসাঁট বল করেন। হারিস অবশ্য আগে মার খান। তিনি ৪ উইকেট নিতে ১০ ওভারে দেন ৭৮ রান। নাসিম সমান ওভারে ১ উইকেট পান ৪৯ রান খরচায়।

Comments

The Daily Star  | English

Secretariat staff observe one-hour work abstention

The protest, held from 10am to 11am, was organised by the Bangladesh Secretariat Officers and Employees Unity Forum

12m ago