আফিফের হ্যাটট্রিক, রান পাননি মুশফিক
আফিফ হোসেনের মূল কাজ ব্যাটিং, সেখানে তিনি ছিলেন চরম ব্যর্থ। তবে বল হাতে নিয়ে সবটা পুষিয়ে দিয়েছেন এই তারকা। অফ স্পিনে ছয় উইকেট নেওয়ার পথে হ্যাটট্রিক করেছেন তিনি। এদিকে শততম টেস্টে সামনে রেখে জাতীয় লিগ খেলতে নেমে রান পাননি মুশফিকুর রহিম।
বরিশালের ইনিংসের শেষ তিন উইকেট আফিফ নেন ৪২তম ওভারে—শামসুল ইসলাম অনিক, ইয়াসির আরাফাত মিশু ও রুয়েল মিয়া—তিনজনই এলবিডব্লিউ হন। এর মাধ্যমে বরিশালের ইনিংস গুটিয়ে যায় ১২৬ রানে। ৩১৩ রান করা খুলনা বরিশালকে ফলোঅনে পাঠিয়েও তুলে নেয় ৪ উইকেট (১১৯/৪)
এর আগে আফিফ ফিরিয়ে দেন সালমান হোসেন ইমন, শামসুর রহমান শুভ ও ফজলে মাহমুদ রাব্বিকে। এই কৃতিত্বের ফলে আফিফ প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটে নিজের দ্বিতীয় পাঁচ উইকেট শিকার সম্পন্ন করেন। বাঁহাতি স্পিনার ১০.৫ ওভারে ৩১ রানে ৬ উইকেট নেন।
প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটে হ্যাটট্রিক নেওয়া ১৯তম বাংলাদেশি বোলার হলেন আফিফ। এর আগে ১৮ জন বাংলাদেশি এই কৃতিত্ব অর্জন করেছেন, যাদের মধ্যে ইলিয়াস সানি, সোহাগ গাজী ও মোহাম্মদ আশরাফুলের দুটি করে হ্যাটট্রিক আছে। ২০১৮ সালের এনসিএলের আসরে রাজশাহীর বিপক্ষে আফিফ ৭ উইকেট নিয়েছিলেন ৬৬ রানে, যা এখনও তার প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটে ক্যারিয়ারসেরা বোলিং ফিগার।
সিলেটে রান পাননি মুশফিক
জাতীয় লিগের এই রাউন্ডে সবার নজর ছিল মুশফিকের দিকে। তবে প্রথম দফায় হতাশ করেছেন তিনি। প্রথমবার জাতীয় লিগ খেলতে নামা ময়মনসিংহ বিভাগ ৪০১ রান করে। আগের দিন আরিফুল ইসলামের সেঞ্চুরির পর এদিন আবু হায়দার রনি করেন ১০৫ বলে ১০৭ রান। জবাব দিতে নেমে ৫ উইকেট হারিয়ে ১৯৮ রান তুলেছে সিলেট বিভাগ।
নিজ বিভাগ ছেড়ে সিলেটের হয়ে নেমে মুশফিক ২৬ বলে করেন ২০ রান। ময়মনসিংহের হয়ে ৬৮ রান দিয়ে ৫ উইকেট নেন বাঁহাতি স্পিনার রাকিবুল হাসান।


Comments