বিজয়ের টানা দ্বিতীয় সেঞ্চুরি, নাঈমের ৬ রানের আক্ষেপ

ছবি: সংগৃহীত

এনামুল হক বিজয়ের ব্যাট ফের হয়ে উঠল উত্তাল। চার-ছক্কার ফুলঝুরি ছুটিয়ে তিনি তুলে নিলেন টানা দ্বিতীয় শতরান। ওপেনিংয়ে তার সঙ্গী নাঈম শেখ সেঞ্চুরিবঞ্চিত হলেন অল্পের জন্য। তাদের গড়া শক্ত ভিতের কল্যাণে আবাহনী লিমিটেড গড়ল বড় সংগ্রহ। এরপর পেসার তানজিম হাসান সাকিব জ্বলে ওঠায় দলটি পেল অনায়াস জয়।

মঙ্গলবার সাভারের বিকেএসপির তিন নম্বর মাঠে প্রাইম ব্যাংক ক্রিকেট ক্লাবকে ১৪১ রানের বিশাল ব্যবধানে হারিয়েছে আবাহনী। চলমান ঢাকা প্রিমিয়ার ডিভিশন ক্রিকেট লিগে এটি তাদের টানা সপ্তম জয়। সাত ম্যাচে পূর্ণ ১৪ পয়েন্ট নিয়ে আকাশি-নীল জার্সিধারীরা রয়েছে আসরের পয়েন্ট তালিকার শীর্ষে।

টস হেরে আগে ব্যাটিংয়ে নেমে নির্ধারিত ৫০ ওভারে ৬ উইকেটে ৩৩৬ রান তোলে আবাহনী। জবাবে ৭৩ বল বাকি থাকতে ১৯৫ রানে গুটিয়ে যায় প্রাইম ব্যাংক।

ম্যাচসেরা বিজয় খেলেন ১৫৩ রানের বিস্ফোরক ইনিংস। ১২৭ বল মোকাবিলায় তিনি মারেন ১৩ চার ও ৫ ছক্কা। ৬২ বলে ফিফটি স্পর্শ করার পর তার ব্যাট হয়ে ওঠে ঝড়ো। ৯৯ বলে তিনি স্বাদ নেন সেঞ্চুরির, ১২৫ বলে দেড়শর। তার মতোই চলমান প্রিমিয়ার লিগে রানের ফোয়ারা ছুটিয়ে চলা নাঈম থামেন ৯৪ রানে। ১০২ বল খেলে তিনি মারেন ৯ চার ও ৫ ছক্কা।

উদ্বোধনী জুটিতে দুজন মিলে ৩১.৫ ওভারে আনেন ১৮৩ রান। আফগান করিম জানাত এই জুটি ভাঙেন নাঈমকে ফিরিয়ে। এরপর বিজয় ও আফিফ হোসেন দ্বিতীয় উইকেটে যোগ করেন ১০৯ রান। রুবেল হোসেনের শিকার হয়ে বিজয় সাজঘরে ফেরার পর আফিফ পান হাফসেঞ্চুরির দেখা। ৪ চার ও ২ ছক্কায় ৪৭ বলে ৫৩ রান আসে তার ব্যাট থেকে। শেষদিকে অধিনায়ক মোসাদ্দেক হোসেন সৈকত, পাকিস্তানি দানিশ আজিজ ও মোহাম্মদ সাইফউদ্দিন টিকতে পারেননি।

প্রাইম ব্যাংকের হয়ে জানাত ৬৩ রানে নেন ৪ উইকেট। অভিজ্ঞ পেসার রুবেল ২ উইকেট পান ৬৯ রানে। অলক কাপালি ৪ ওভারেই ৪৮ রান দিয়ে থাকেন উইকেটশূন্য।

বিশাল লক্ষ্য তাড়ায় প্রাইম ব্যাংক পারেনি পঞ্চাশ রানের কোনো জুটি গড়তেও। নিয়মিত বিরতিতে পড়ে তাদের উইকেট। এর প্রথম তিনটিই যায় তানজিমের ঝুলিতে। ৩৬ রানের উদ্বোধনী জুটির পর আর ১০ রান স্কোরবোর্ডে যোগ হতেই বিদায় নেন বিশাল চৌধুরী, শাহাদাত হোসেন দিপু ও অধিনায়ক মোহাম্মদ মিঠুন। নাসির হোসেন ফেরেন থিতু হয়ে। ছয়ে নামা ইয়াসির আলী রাব্বির লড়াই থামে ৪৫ রানে। তিনি ৪৮ বল খেলেন মারেন ৬ চার ও ১ ছক্কা।

আবাহনীর হয়ে ডানহাতি তানজিম ৮ ওভারে ১ মেডেনসহ ৪ উইকেট নেন মাত্র ৩৪ রান খরচায়। তাদের ব্যবহৃত ছয় বোলারের বাকি পাঁচজন পান ১ উইকেট করে।

Comments

The Daily Star  | English

Voting in Ducsu election underway

Students started casting their votes at 8:00am across polling centres set up in residential halls amid tight security. The balloting will continue until 4:00pm.

1h ago