রিয়াল মাদ্রিদ বনাম ম্যান সিটি: চাপ, সংকট ও উচ্চঝুঁকির লড়াই
রিয়াল মাদ্রিদ বনাম ম্যানচেস্টার সিটি। চ্যাম্পিয়ন্স লিগে আরেকটি ক্লাসিক মুখোমুখি লড়াই। সাম্প্রতিক বছরগুলোতে এই ম্যাচই হয়ে উঠেছে প্রতিযোগিতার সবচেয়ে আলোচিত ফিক্সচার, যেখানে থাকে নাটকীয়তা, মহারণ ও আলোচনার ঝড়। এবারের দ্বৈরথও তার ব্যতিক্রম নয়।
রিয়াল মাদ্রিদ আজ রাতে নামছে বিপর্যস্ত এক স্কোয়াড নিয়ে -একদিকে ইনজুরি, অন্যদিকে সাসপেনশন। সবচেয়ে বড় অনিশ্চয়তা কিলিয়ান এমবাপেকে ঘিরে, যিনি চ্যাম্পিয়ন্স লিগ ও লা লিগার বর্তমান সর্বোচ্চ গোলদাতা হলেও মঙ্গলবারের অনুশীলনে অংশ নিতে পারেননি। এরই সঙ্গে কোচ জাবি আলোনসোর ওপর চাপ ক্রমেই বাড়ছে; স্প্যানিশ গণমাধ্যমে জোর গুঞ্জন, সিটির বিপক্ষে হারলে তার চাকরি ঝুলে যেতে পারে।
অন্যদিকে, পেপ গার্দিওলার ম্যানচেস্টার সিটি এসে পৌঁছেছে দুর্দান্ত ফর্মে। রিয়ালের দুর্বলতাকে পুরোপুরি কাজে লাগাতে চাইবে টানা তিন ম্যাচে জয় পকেটে নিয়ে থাকা সিটি। দুই দলের লিগ পরিস্থিতিও বলছে ভিন্ন গল্প, সপ্তাহান্তে সেল্টা ভিগোর কাছে ২-০ গোলে হার রিয়ালকে লা লিগার শীর্ষে থাকা বার্সেলোনার চেয়ে চার পয়েন্ট পিছিয়ে দিয়েছে।
আজকের ম্যাচে আরও জমতে পারে একটি গুরুত্বপূর্ণ পুনর্মিলন। গার্দিওলা প্রথমবারের মতো মুখোমুখি হবেন রিয়াল কোচ আলোনসোর, যাকে তিনি খেলোয়াড় হিসেবে বায়ার্ন মিউনিখে প্রশিক্ষণ দিয়েছিলেন।
এই ম্যাচ হবে দুই দলের মধ্যে চ্যাম্পিয়নস লিগে ১৫তম সাক্ষাৎ। ২০১২-১৩ মৌসুম থেকে এখন পর্যন্ত প্রতিযোগিতার সবচেয়ে বেশি খেলা ফিক্সচার এটি।
সিটি ভরসা রাখবে তাদের গোলমেশিন আর্লিং হালান্ডের ওপর, যিনি ইতোমধ্যে সব প্রতিযোগিতা মিলিয়ে করেছেন ২০ গোল। ইউরোপের শীর্ষ পাঁচ লিগে তার চেয়ে বেশি গোল আছে শুধু এমবাপে (২৫) ও হ্যারি কেইনের (২৮)।
চ্যাম্পিয়ন্স লিগের ৩৬ দলীয় তালিকায় সিটি এখন নবম স্থানে, রিয়াল পঞ্চম। দুই দলেরই একটি করে হার রয়েছে, তবে রিয়ালের জয়ের সংখ্যা চার, আর সিটির তিন। আজ রিয়ালের জয় তাদের শীর্ষ-আট অবস্থান আরও মজবুত করতে পারে।
তবে ফর্মে থাকা সিটির সামনে একটি ছোট সমস্যা আছে। তারা রিয়ালের বিপক্ষে শেষ দুই ম্যাচেই হেরেছে, ঘরের মাঠে ও বাইরে গত মৌসুমের প্লে-অফ রাউন্ডে।


Comments