পেলেকে ছাড়িয়ে রেকর্ড ১৮ কোটি টাকায় বিক্রি মেসির কার্ড

ছবি: সংগৃহীত

রুকি কার্ড হলো কোনো ফুটবলারের প্রথম অফিসিয়াল লাইসেন্সপ্রাপ্ত ট্রেডিং কার্ড। এটি সাধারণত ওই খেলোয়াড়ের পেশাদার ক্যারিয়ারের প্রথম মৌসুমে প্রকাশ করা হয়। যদি খেলোয়াড়টি ভবিষ্যতে বিশ্বখ্যাত ফুটবলার হয়ে যান, তাহলে তার রুকি কার্ডের দাম অনেক বেড়ে যায়। সংগ্রাহকদের কাছে তাই এটি খুবই মূল্যবান।

ফুটবলের শীর্ষ স্তরে লিওনেল মেসির অভিষেক হয়েছিল ২০০৪-০৫ মৌসুমে, স্প্যানিশ লা লিগায় বার্সেলোনার জার্সিতে। তখন রুকি কার্ড প্রকাশ করেছিল ইতালিয়ান প্রতিষ্ঠান পানিনি।

আর্জেন্টাইন মহাতারকার ছবির পাশাপাশি তার তৎকালীন ক্লাব বার্সার নাম লেখা ছিল সেখানে। দুই দশকের ব্যবধানে সেই কার্ড বিক্রি হয়েছে রেকর্ড ১৫ লাখ ডলারে, বাংলাদেশি মুদ্রায় যার পরিমাণ প্রায় ১৮ কোটি ২৬ লাখ টাকা।

২০০৪-০৫ পানিনি মেগা ক্র্যাকস লিওনেল মেসি রুকি কার্ডটি বিক্রি হয়েছে রোববার। ব্যক্তিগত লেনদেনের যে নতুন নেটওয়ার্কের মাধ্যমে তা বিক্রি হয়েছে সেটা হলো ফ্যানাটিকস কালেক্ট।

কার্ডটি একেবারে নতুনের মতো থাকায় সর্বোচ্চ গ্রেড (১০) পেয়েছে প্রফেশনাল স্পোর্টস অথেনটিকেটরের (পিএসএ) কাছ থেকে। তারা ট্রেডিং কার্ডের অবস্থা মূল্যায়ন করে থাকে।

এটি এখন ইতিহাসের সবচেয়ে দামি ফুটবল কার্ড। আগের রেকর্ডটি ছিল প্রয়াত ব্রাজিলিয়ান কিংবদন্তি পেলের দখলে।

১৯৫৮ সালে সুইডিশ প্রতিষ্ঠান আলিফাবোলাগেট পেলের একটি রুকি কার্ড তৈরি করেছিল। ওই কার্ড ২০২২ সালে বিক্রি হয় ১৩ লাখ ৩০ হাজার ডলারে, বাংলাদেশি মুদ্রায় যা দাঁড়ায় প্রায় ১৬ কোটি ১৯ লাখ টাকা।

মাঠের ভেতরে বল পায়ে নৈপুণ্যে বহু বিশ্বরেকর্ড গড়েছেন বিশ্বকাপজয়ী ফরোয়ার্ড মেসি। এবার মাঠের বাইরেও ভিন্ন কারণে তার নাম জড়িয়ে গেছে রেকর্ডে।

Comments

The Daily Star  | English

Victory day today: A nation born out of blood and grit

The tide of war had turned by mid-December in 1971. The promise of freedom was no longer a dream. It had hardened into tangible certainty.

8h ago