শ্রীমঙ্গলে নিজের বাড়িতে গিয়ে শমিত বললেন, ‘বাংলাদেশের ফুটবলের ভবিষ্যৎ ভালো’
ছোটবেলা থেকে শ্রীমঙ্গলে যখন আসতেন শমিত সোমের পরিচয় ছিলো ভিন্ন। তখন পারিবারিক পরিমণ্ডলেই কাটত ছুটির সময়। গত কয়েকমাসে বাংলাদেশে শমিত এলেন তিনবার, তবে এবার ভিন্ন পরিচয়, ব্যস্ততাও ভিন্ন মাত্রায় হওয়ায় নিজ বাড়িতে যাওয়ার সুযোগ হয়নি। অবশেষে ভারতকে হারানোর পরদিন শ্রীমঙ্গল ফিরে অন্যরকম অনুভূতিতে ভাসলেন জাতীয় দলের মিডফিল্ডার।
কানাডায় জন্ম, বেড়ে ওঠা শমিত সেই দেশের জাতীয় দলের হয়েও খেলেন প্রীতি ম্যাচ। কানাডা লিগের ক্লাব ক্যাভালরি এফসিতে খেলেন অনেকদিন ধরে। বাবা-মায়ের সূত্রে বাংলাদেশের নাগরিকত্ব সহজেই পেয়ে চলতি বছর লাল-সবুজ জার্সিতে অভিষেক হয়ে যায় শমিতের। কানাডার শমিত এখন তাই বাংলাদেশের।
মঙ্গলবার জাতীয় স্টেডিয়ামে এশিয়ান কাপ বাছাইপর্বের ম্যাচে ভারতকে ১-০ গোলে হারানোর ম্যাচে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন শমিত।
পরদিন কাজিনের সঙ্গে প্লেনে করে গেলেন সিলেটে, সেখান থেকে গাড়িতে করে পৌঁছান নিজের বাড়িতে।
শমিত আসছেন জেনে স্থানীয় গণমাধ্যমের ভিড়, স্বজন, বন্ধুদের ভিড় বাড়ে তার বাড়িতে। সেখানেই মেটান সবার অবদার। জানান প্রতিক্রিয়া, 'শ্রীমঙ্গল এসে অনেক ভালো লাগছে। আমি তো তিনবার (জাতীয় দলে সুযোগ পাওয়ার পর) আসলাম বাংলাদেশে। এখানে আসতে পারি নাই আগে। এবার এখানে সময় কাটাতে পেরে খুশি লাগছে।'
এবার এশিয়ান কাপ বাছাইপর্ব পেরুতে পারেনি বাংলাদেশ। তবে হামজা চৌধুরী, শমিতরা আসায় নতুন উদ্দীপনা ঠিকই তৈরি হয়েছে ফুটবলে। শমিতের কন্ঠেও ইতিবাচক সুর, 'আমরা একটু একটু করে প্রতি ম্যাচে উন্নতি করছি। পারফরম্যান্স ভালো হলেও রেজাল্ট আমাদের পক্ষে আসছিল না। শেষমেশ গতকাল আমরা জিতেছি। আমরা কোনো গোল হজম করিনি। তো আগামী বছরের দিকে তাকিয়ে এগুলো ইতিবাচক দিক।'
'সামনে সাফ চ্যাম্পিয়নশিপ আসছে, সেখানে যেন আমরা ভালো করতে পারি। এরপর আবার এশিয়ান কাপ, বিশ্বকাপ... সেগুলোতে কোয়ালিফাই করার জন্য যেন আমরা একটা প্রতিদ্বন্দিতাপূর্ণ দল হয়ে উঠতে পারি। বাংলাদেশের ফুটবলের ভবিষ্যৎ আমি মনে করি ভালো। সাফল্য আসবে।'


Comments