ধাক্কা সামলে ভারতকে এগিয়ে নিচ্ছেন কোহলি-অক্ষর

ছবি: এএফপি

উড়ন্ত শুরুর আভাস দেওয়া ভারতের লাগাম দ্রুত টেনে ধরল দক্ষিণ আফ্রিকা। ১১ রানের মধ্যে তারা তুলে নিল ৩ উইকেট। সেই ধাক্কা সামলে দলকে এগিয়ে নিচ্ছেন ফর্ম হারিয়ে নিজেকে খুঁজতে থাকা ওপেনার বিরাট কোহলি। তার সঙ্গে জুটি বেঁধে আক্রমণাত্মক রূপে আছেন ব্যাটিং অর্ডারের ওপরে উঠে আসা অক্ষর প্যাটেল।

শনিবার বার্বাডোজের কেনসিংটন ওভালে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের নবম আসরের ফাইনালে মুখোমুখি হয়েছে ভারত ও দক্ষিণ আফ্রিকা। এই প্রতিবেদন লেখার সময়, টস জিতে আগে ব্যাটিংয়ে নেমে ইনিংস মেরামত করছে ভারতীয়রা।

১২ ওভার শেষে ভারতের সংগ্রহ ৩ উইকেটে ৯৩ রান। দেখেশুনে ব্যাট চালাতে থাকা ওপেনার কোহলি ৩৫ বলে ৪১ রান খেলছেন। মারমুখী অক্ষরের রান ২৬ বলে ৩৮। তাদের অবিচ্ছিন্ন চতুর্থ উইকেট জুটির সংগ্রহ ৫৯ রান।

এর আগে ম্যাচের প্রথম ওভারে বাঁহাতি পেসার মার্কো ইয়ানসেনকে তিনটি চার মারেন কোহলি। এরপর দ্বিতীয় ওভারেই আক্রমণে স্পিন নিয়ে আসে দক্ষিণ আফ্রিকা। তাতে সুফল মেলে হাতেনাতে। টানা দুটি চার হজমের পর দ্রুত ঘুরে দাঁড়িয়ে রোহিত শর্মাকে আউট করে দেন কেশব মহারাজ। এক বল পর বাঁহাতি স্পিনারের শিকার হন রিশভ পান্ত। খানিক বাদে সূর্যকুমার যাদবকে সাজঘরের পথ দেখান ডানহাতি পেসার কাগিসো রাবাদা।

প্রথম ওভারে কোহলির নৈপুণ্যে ১৫ রান তোলা ভারত দ্বিতীয় ওভারের দ্বিতীয় বলে রোহিতের কল্যাণে পৌঁছে যায় বিনা উইকেটে ২৩ রানে। এরপর ঘটে ছন্দপতন। মহারাজের অফ স্টাম্পের অনেক বাইরের বল সুইপ করার চেষ্টায় কাটা পড়েন ছন্দে থাকা রোহিত। স্কয়ার লেগে তার নিচু ক্যাচ নেন হেইনরিখ ক্লাসেন। ভারতের অধিনায়কের সংগ্রহ ৫ বলে ৯ রান।

বিপজ্জনক পান্ত টিকতেই পারেননি। তিনিও সুইপ করতে গিয়ে বিপদ ডেকে আনেন। ব্যাটের কানায় লেগে পেছনে চলে যাওয়া বল মাথার ওপর থেকে গ্লাভসে জমান কুইন্টন ডি কক। ২ বল খেলে পান্ত রানের খাতা খুলতে ব্যর্থ হন।

পঞ্চম ওভারে দলীয় ৩৪ রানে পতন হয় ভারতের তৃতীয় উইকেটের। পান্তের মতো আরেক বিপজ্জনক ব্যাটার সূর্যকুমারকেও থিতু হতে দেয়নি দক্ষিণ আফ্রিকা। তার শাফল করে মারা শট সীমানার আগেই আটকে যায়। ব্যাকওয়ার্ড স্কয়ার লেগে বল মুঠোয় জমান ক্লাসেন। ৪ বলে ৩ রানে থামেন সূর্যকুমার।

Comments

The Daily Star  | English

Sugar, edible oil imports surge as dollar supply improves

Bangladesh’s imports of key essential commodities rose in the first quarter of fiscal year 2025-26 (FY26), supported by improved availability of foreign exchange and lower prices in the international market.

1h ago