সুপ্তার ফিফটির পর স্বর্ণার রেকর্ড, প্রোটিয়াদের চ্যালেঞ্জিং লক্ষ্য দিল বাংলাদেশ

স্বর্ণা আক্তার। ছবি: বিসিবি

উদ্বোধনী জুটির শক্ত ভিতকে কাজে লাগিয়ে ফিফটি করলেন শারমিন আক্তার সুপ্তা। শেষদিকে চার ও ছক্কায় উত্তাল হয়ে উঠল স্বর্ণা আক্তারের ব্যাট। ওয়ানডেতে বাংলাদেশের হয়ে দ্রুততম ফিফটির রেকর্ড গড়লেন তিনি। এতে দুইশ ছাড়িয়ে পুঁজি গেল আরও উঁচুতে। ফলে দক্ষিণ আফ্রিকাকে চ্যালেঞ্জিং লক্ষ্য ছুঁড়ে দিল টাইগ্রেসরা।

সোমবার বিশাখাপত্তনমে আইসিসি নারী বিশ্বকাপের ম্যাচে টস জিতে আগে ব্যাট করেছে বাংলাদেশ। নির্ধারিত ৫০ ওভারে তারা তুলেছে ৬ উইকেটে ২৩২ রান। ৩০ ওভারে একশ ছোঁয়া দল পরে চালিয়ে খেলে গতি বাড়ায়। শেষ ১০ ওভারে ৩ উইকেট হারালেও ৮২ রান যোগ হয় স্কোরবোর্ডে।

নারী ওয়ানডে বিশ্বকাপে এই নিয়ে দ্বিতীয়বারের মতো বাংলাদেশ পেল দুইশ বা এর চেয়ে বেশি রানের সংগ্রহ। ২০২২ সালে নিজেদের অভিষেক আসরে পাকিস্তানের বিপক্ষে হ্যামিল্টনে ৭ উইকেটে ২৩৪ রান তুলেছিল তারা। ওই ম্যাচে তারা জিতেছিল ৯ রানে, যা ছিল বিশ্বকাপে তাদের প্রথম জয়।

রানের চাকায় দম দেওয়ার মূল কৃতিত্ব ৩৪ বলে ফিফটি স্পর্শ করা স্বর্ণার। পাঁচে নেমে বিস্ফোরক ব্যাটিংয়ে তিনি অপরাজিত থাকেন ৫১ রানে। ৩৫ বল মোকাবিলায় তিনটি চারের পাশাপাশি বাংলাদেশের ইনিংসের তিনটি ছক্কাই মারেন তিনি। স্বর্ণা ভেঙে দিলেন নিগার সুলতানা জ্যোতির রেকর্ড। গত এপ্রিলে বাংলাদেশের অধিনায়ক লাহোরে স্কটল্যান্ডের বিপক্ষে ফিফটি করেছিলেন ৩৯ বলে।

আন্তর্জাতিক ক্যারিয়ারে লেগ স্পিনিং অলরাউন্ডার স্বর্ণার এটি প্রথম ফিফটি। ২১ ওয়ানডে ও ৩৫ টি-টোয়েন্টি খেলার পর তিনি পেলেন এই স্বাদ। তার অপেক্ষার অবসান ঘটল নারী ক্রিকেটের সর্বোচ্চ মঞ্চে।

বাংলাদেশের শুরুটা ছিল ধীর গতির। প্রথম ১০ ওভারে আসে বিনা উইকেটে ২৮ রান। ১৭তম ওভারে উদ্বোধনী জুটি ভাঙ্গে ৫৩ রানে। রুবাইয়া হায়দার ঝিলিক ৫২ বলে ২৫ রানে ক্যাচ দিয়ে ফেরেন। এলবিডব্লিউ হওয়ার আগে আরেক ওপেনার ফারজানা হক ৭৬ বলে করেন ৩০ রান। এরপর দায়িত্বশীল ব্যাটিংয়ে দলকে টানেন সুপ্তা ও জ্যোতি। তারা তৃতীয় উইকেটে যোগ করেন ৯১ বলে ৭৭ রান।

জ্যোতির ব্যাট থেকে আসে ৪২ বলে ৩২ রান। ওয়ানডে ক্যারিয়ারে নবম ফিফটি পাওয়া সুপ্তা রানআউট হয়ে যান মাইলফলক ছুঁয়েই। ৭৭ বলে ৫০ রান করতে তিনি মারেন ছয়টি চার। ক্রিজে গিয়েই মারতে থাকেন স্বর্ণা। সোবহানা মোস্তারি ও রাবেয়া খান টিকতে না পারলেও তাকে দারুণ সঙ্গ দেন ঋতু মনি। তিনি ৮ বলে তিনটি চারের সাহায্যে অপরাজিত থাকেন ১৯ রানে।

৪১তম ওভারে ক্রিজে গিয়ে মুখোমুখি হওয়া দ্বিতীয় বলে সুইপ করে বল বাউন্ডারিতে পাঠান স্বর্ণা। এরপর ৪৬তম ওভারে টুমি সেখুখুনের ওপর চড়াও হন তিনি। টানা তিন বলে একটি ছক্কা ও দুটি চার মারেন। আর ইনিংসের শেষ ওভারে রেকর্ড গড়ে ফিফটিতে পৌঁছান তিনি।

Comments