পাকিস্তান অধিনায়কের অভিযোগ, ‘ক্রিকেটকে অসম্মান’ করছে ভারত

ছবি: এএফপি

পাকিস্তানের অধিনায়ক সালমান আলী আগা অভিযোগ করলেন, ভারত 'ক্রিকেটকে অসম্মান' করে চলেছে। দুই চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী দলের কর্মকাণ্ডে মাঠে ও মাঠের বাইরে চলমান নানা বিতর্কের মধ্যে এই মন্তব্যে পরিস্থিতি আরও ঘোলাটে হলো।

রোববার দুবাইতে প্রথমবার এশিয়া কাপের ফাইনালে মুখোমুখি হয়েছিল ভারত-পাকিস্তান। রোমাঞ্চকর লড়াইয়ে পাকিস্তানের দেওয়া ১৪৭ রানের সাদামাটা লক্ষ্য ২ বল আগে টপকে ৫ উইকেটে জিতে চ্যাম্পিয়ন হয় ভারত।

খেলার আলোচনা পরে চাপা পড়ে যায় পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠান ঘিরে হওয়া নাটকে। প্রথমে ভারত দল মাঠে থাকলেও পাকিস্তান দল ছিল ভেতরে। তারা পরে মাঠে প্রবেশ করলে অতিথিরাও মঞ্চে ওঠেন। সব মিলিয়ে অনুষ্ঠান শুরু করতে লেগে যায় এক ঘণ্টার ওপর।

তবে ব্যক্তিগত পুরস্কারগুলো দেওয়ার পর চ্যাম্পিয়ন ভারতকে ট্রফি না দিয়েই মঞ্চ ছেড়ে চলে যান অতিথিরা। ট্রফি ছাড়াই উদযাপন করে সূর্যকুমার যাদবের দল। ভারত মূলত এশিয়ান ক্রিকেট কাউন্সিলের (এসিসি) চেয়ারম্যান মহসিন নাকভির হাত থেকে ট্রফি নিতে অস্বীকৃতি জানায়। তিনি পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ডেরও (পিসিবি) প্রধান।

ফাইনালে ভারতের কাছে হারের পর সংবাদ সম্মেলনে সালমান বলেন, 'এই টুর্নামেন্টে যা ঘটেছে, আমি মনে করি, তা খুব হতাশাজনক। তারা (ভারত) ভাবছে যে, আমাদের সঙ্গে হাত না মিলিয়ে আমাদের অসম্মান করছে, কিন্তু আসলে তারা ক্রিকেটকেই অসম্মান করছে। আর যারা ক্রিকেটকে অসম্মান করে, সেটার ফল তাদেরকে পেতে হয় এবং আমি নিশ্চিত, এবারও তাই হবে।'

পাকিস্তানের অধিনায়ক যোগ করেন, 'আজকে তারা যা করেছে, আমার মনে হয় না কোনো ভালো দল কখনো এমনটা করত। ভালো দল সেই কাজটাই করত, যা আমরা করেছি। আমরা (ফাইনাল শুরুর আগে সূর্যকুমার দাঁড়াতে রাজী না হওয়ায়) একা একা ট্রফি নিয়ে ছবি তুলেছি। আবার হারার পরও দাঁড়িয়ে থেকে মেডেল নিয়েছি। আমি খুব কঠিন কোনো শব্দ ব্যবহার করতে চাই না। কিন্তু সত্যি বলতে, এটা ক্রিকেটের প্রতি খুবই অসম্মানজনক।'

বিরোধপূর্ণ রাজনৈতিক বাস্তবতাকে ভারত ও পাকিস্তান এশিয়া কাপের খেলার মাঠে নিয়ে আসে গত ১৪ সেপ্টেম্বর। গ্রুপ পর্বের ম্যাচ শেষে ভারত সৌজন্যতা বিনিময়ে হাত না মিলিয়ে মাঠ ছাড়ে। প্রতিবাদে প্রেজেন্টেশন অনুষ্ঠান বর্জন করে পাকিস্তান। টানা দুটি সংবাদ সম্মেলনেও অংশ নেয়নি তারা।

এরপর ২১ সেপ্টেম্বর সুপার ফোরের সাক্ষাতে পাকিস্তানের সাহিবজাদা ফারহান ফিফটি করে রাইফেল তাক করার মতো করে উদযাপন করেন। হারিস রউফকেও অনাকাঙ্ক্ষিত অঙ্গভঙ্গি করতে দেখা যায়। সেদিন খেলা শেষে সংবাদ সম্মেলনে ঝাঁজ দেখান সূর্যকুমার। তবে এসিসি প্রতিক্রিয়া না দেখালেও আইসিসি তাদেরকে সতর্ক করে।

Comments