ছবিটা কল্পনা করুন। সালটা ২০৪০। সকালের কোমল রোদে ঝিলমিল করছে তিস্তা নদীর পানি। কিন্তু এ তো সেই পুরনো তিস্তা নয়, যে শুষ্ক মৌসুমে মৃতপ্রায় হয়ে যায় আর বর্ষায় হয়ে ওঠে উন্মত্ত ধ্বংসযজ্ঞের মূর্তিমান...
৩০ অক্টোবর সকাল ১১টায় রংপুর বিভাগের পাঁচ জেলার তিস্তাপাড়ের মানুষ একযোগে ১৫ মিনিট নীরবে দাঁড়িয়ে প্রতিবাদ জানাবেন। এই কর্মসূচির নাম দেওয়া হয়েছে ‘স্তব্ধ রংপুর’।
জেলা প্রশাসন এবং জেলা ত্রাণ ও পুনর্বাসন কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, গত পাঁচ দিনে (৭ থেকে ১১ অক্টোবর) তিস্তা, ধরলা, দুধকুমার ও ব্রহ্মপুত্র নদের ভাঙনে ২৩০টি পরিবার গৃহহীন হয়েছে। এর মধ্যে কুড়িগ্রামে...
বন্যার পানিতে আশপাশের ঘাসের জমিগুলো তলিয়ে রয়েছে। এ কারণে গবাদিপশুরু খাদ্য যোগাতে হিমশিম খাচ্ছেন তারা। ‘তিস্তাপাড়ে খুব কষ্ট হয়। এটে হামার জন্ম। তিস্তাপাড় ছাড়ি এ্যালা কোনটে যাই,’ তিনি বলেন।
তিস্তা নদীর ভাঙন রোধে স্থায়ী ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানিয়েছেন কুড়িগ্রামের উলিপুর উপজেলার বজরা ইউনিয়নের বাসিন্দারা।
মৎস্য অধিদপ্তরের তথ্য অনুযায়ী, ২০১০ সালেও তিস্তায় প্রায় ১৭ হাজার জেলে মাছ ধরতেন। সেই সংখ্যা এখন দুই হাজারে নেমে এসেছে। যারা এখনো পেশা ছাড়েননি, তাদের আয় কমেছে ৫০ থেকে ৮০ শতাংশ।
এ সেতুর মূল কাঠামো নির্মাণে ব্যয় হয়েছে ৩৬৭ কোটি টাকা। আর সংযোগ সড়ক, নদীশাসন, কালভার্ট ও জমি অধিগ্রহণে খরচ হয়েছে আরও ৩৬৩ কোটি ৮৫ লাখ টাকা। তিস্তা নদীর বুকে এটি তৃতীয় সড়ক সেতু এবং এটিই সবচেয়ে বড়।
বন্যার পানিতে ভেসে আসা বালু কৃষিজমিতে পুরু স্তর তৈরি করেছে। এতে আমন ধানের বড় ক্ষতি না হলেও সবজিখেত নষ্ট হয়েছে। অনেক কৃষকের ঘরবাড়ি, হাঁস-মুরগি ও গবাদিপশু ভেসে গেছে। কারও কারও বাড়ির উঠানে মাটি...
এই ধসে লালমনিরহাট-রংপুর সড়কে যোগাযোগ ব্যবস্থা মারাত্মক ঝুঁকিতে পড়েছে। পাশাপাশি আশপাশের অন্তত তিনটি গ্রামের এক হাজারেরও বেশি পরিবারের বসতভিটা ও কৃষিজমি সরাসরি ভাঙনের হুমকিতে রয়েছে।
এ সেতুর মূল কাঠামো নির্মাণে ব্যয় হয়েছে ৩৬৭ কোটি টাকা। আর সংযোগ সড়ক, নদীশাসন, কালভার্ট ও জমি অধিগ্রহণে খরচ হয়েছে আরও ৩৬৩ কোটি ৮৫ লাখ টাকা। তিস্তা নদীর বুকে এটি তৃতীয় সড়ক সেতু এবং এটিই সবচেয়ে বড়।
বন্যার পানিতে ভেসে আসা বালু কৃষিজমিতে পুরু স্তর তৈরি করেছে। এতে আমন ধানের বড় ক্ষতি না হলেও সবজিখেত নষ্ট হয়েছে। অনেক কৃষকের ঘরবাড়ি, হাঁস-মুরগি ও গবাদিপশু ভেসে গেছে। কারও কারও বাড়ির উঠানে মাটি...
এই ধসে লালমনিরহাট-রংপুর সড়কে যোগাযোগ ব্যবস্থা মারাত্মক ঝুঁকিতে পড়েছে। পাশাপাশি আশপাশের অন্তত তিনটি গ্রামের এক হাজারেরও বেশি পরিবারের বসতভিটা ও কৃষিজমি সরাসরি ভাঙনের হুমকিতে রয়েছে।
গবাদিপশু ও আসবাবপত্র নিয়ে অনেকেই আশ্রয় নিয়েছেন সরকারি রাস্তা ও পানি উন্নয়ন বোর্ডের বাঁধের ওপর। কেউ কেউ পলিথিন মোড়ানো ঝুপড়ি তৈরি করে অস্থায়ীভাবে বসবাস করছেন।
আজ সকাল ৯টায় তিস্তার পানি বিপৎসীমার পাঁচ সেন্টিমিটার ওপরে ওঠে এবং দুপুর পর্যন্ত তা স্থিতিশীল ছিল। বৃষ্টি ও উজানের ঢল অব্যাহত থাকলে আগামী ২৪ ঘণ্টায় পানির উচ্চতা আরও বাড়তে পারে।
স্থানীয়দের অভিযোগ, একটি প্রভাবশালী চক্র দীর্ঘদিন ধরে ড্রেজার মেশিন বসিয়ে তিস্তা থেকে অবৈধভাবে বালু তুলে বিক্রি করছিল। এতে নদীভাঙনের আশঙ্কায় দিন কাটছে তিস্তাপাড়ের মানুষের।
কয়েকদিন ধরে নদ-নদীর পানি বৃদ্ধিতে কুড়িগ্রাম ও লালমনিরহাটের নদীতীরবর্তী মানুষের মধ্যে উদ্বেগ বাড়ছে।
তিস্তাপাড়ের পাঁচ জেলার ১৩০ পয়েন্টে ভাঙন দেখা দিয়েছে
উজানে ভারত থেকে আসা পলিতে ভরাট হয়ে গেছে তিস্তা নদীর ১১৫ কিলোমিটার অংশ। মূল ভূখণ্ডের সঙ্গে প্রায় সমান্তরাল হয়ে উঠেছে নদীর তলদেশ, ফলে কমেছে পানির ধারণ ক্ষমতা।
কৃষকরা জানান, স্থানীয় সমিতিগুলো একর প্রতি এক হাজার টাকা দরে কৃষকদের কাছ থেকে ১২ কোটি ৩৫ লাখ টাকা আদায় করেছে। সমিতির নেতারা পাঁচ কোটি ৯২ লাখ ৮০ হাজার টাকা সরকারি ফি প্রদান করেছেন, কিন্তু অতিরিক্ত...