চ্যাটজিপিটির প্রতিদ্বন্দ্বী হতে পারে ইলন মাস্কের এক্সএআই

টেসলা ও স্পেসএক্সের প্রধান নির্বাহী ইলন মাস্ক। ফাইল ছবি: রয়টার্স
টেসলা ও স্পেসএক্সের প্রধান নির্বাহী ইলন মাস্ক। ফাইল ছবি: রয়টার্স

দীর্ঘ জল্পনা কল্পনার পর বিশ্বের অন্যতম শীর্ষ ধনী ব্যক্তি ইলন মাস্কের কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার স্টার্টআপ প্রতিষ্ঠান এক্সআই এর কার্যক্রম আনুষ্ঠানিকভাবে শুরু হয়েছে।

গতকাল বুধবার বার্তাসংস্থা রয়টার্সের এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানা গেছে।

এই স্টার্টআপের নেতৃত্ব দেবেন ইলন মাস্ক। সঙ্গে থাকছে যুক্তরাষ্ট্রের শীর্ষ প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠানগুলো থেকে আসা প্রকৌশলীদের সমন্বয়ে গঠিত একটি চৌকস কর্মীবাহিনী।

ইলন মাস্ক এর আগে বেশ কয়েকবার বলেছিলেন, কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা প্রযুক্তির উন্নয়নের রাশ টেনে ধরা দরকার এবং এ খাতের নীতিমালা প্রণয়ন ও নিয়ন্ত্রক সংস্থা নিয়োগ দেওয়া জরুরি। মাস্ক এমন কী এআইকে 'সভ্যতার ধ্বংস' ডেকে আনার অভিযোগেও অভিযুক্ত করেন।

বুধবার সন্ধ্যায় টুইটার স্পেসেস অনুষ্ঠানে মাস্ক আরও নিরাপদ এআই উন্নয়নে তার পরিকল্পনার বিষয়ে বিস্তারিত ব্যাখ্যা দেন। তিনি বলেন, এআইকে নৈতিকতার শিক্ষা না দিয়ে বরং তিনি এক্সএআইর মধ্যে 'সর্বোচ্চ পর্যায়ের কৌতূহল' তৈরি করবেন। 

মাস্ক বলেন, 'এটা যদি মহাবিশ্বের প্রকৃত রূপ বোঝার চেষ্টা করে, তাহলেই সেটা এআই'র নিরাপত্তা দৃষ্টিকোণ থেকে সবচেয়ে সেরা উদ্যোগ হবে। আমার ধারণা, এটি মানবতার পক্ষেই থাকবে, কারণ সে বুঝতে পারবে, মানবতা না থাকার চেয়ে মানবতা থাকার বিষয়টি অনেক বেশি কৌতূহলোদ্দীপক।'

সুপারএআই বা এমন একটি এআই যা, মানুষের চেয়ে বেশি বুদ্ধিমান, তা তৈরি করতে ৫ থেকে ৬ বছর সময় লাগতে পারে বলে পূর্বাভাষ দেন মাস্ক।

চ্যাটজিপিটির মূল প্রতিষ্ঠান ওপেনএআই'র অন্যতম প্রতিষ্ঠাতা ছিলেন ইলন মাস্ক। কিন্তু ২০১৮ সালে এই প্রতিষ্ঠানের কার্যনির্বাহী পরিষদ থেকে পদত্যাগ করেন তিনি।

ওপেনএআইর অন্যতম বিনিয়োগকারী প্রতিষ্ঠান মাইক্রোসফট।

এক্সএআইর কর্মকর্তাদের মধ্যে আছে গুগলের সাবেক প্রকৌশলী ইগর বাবুশকিন ও টনি উ, গবেষণা বিজ্ঞানী ক্রিশ্চিয়ান সেগেদি ও মাইক্রোসফটের  সাবেক কর্মকর্তা গ্রেগ ইয়াং।

গত বছরের নভেম্বরে ওপেনএআই'র চ্যাটজিপিটি চালু হওয়ার পর জেনারেটিভ এআই নিয়ে উৎসাহ ও আগ্রহ অনেক বেড়েছে।

মাস্কের নতুন এই প্রতিষ্ঠানটি টুইটার, টেসলা ও মাস্কের অন্যান্য প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে নিবিড়ভাবে কাজ করবে।

এক্সএআই জানিয়েছে, তারা সান ফ্রানসিসকো বে এলাকায় অভিজ্ঞ প্রকৌশলী ও গবেষকদের নিয়োগ দিচ্ছে।

Comments

The Daily Star  | English

Act now, enough of silence

The world  has been pushed to its breaking point and can no longer tolerate this barbarity. It’s the duty of every government, the United Nations, and all international and national civic, non-governmental, and rights organisations to take a firm stand now.

2h ago