এআই দিয়ে বানানো যেসব ভিডিও ইউটিউবে আর মনিটাইজ হবে না

কনটেন্ট নির্মাতাদের জন্য ইউটিউব বরাবরই বড় প্ল্যাটফর্ম। লাখো ভিডিও নির্মাতা এখান থেকে আয় করেন। তবে সম্প্রতি কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা বা এআই ব্যবহার করে ভিডিও তৈরি ব্যাপক হারে বাড়তে থাকায় ইউটিউব তাদের মনিটাইজেশন নীতিতে কিছু পরিবর্তন এনেছে।
আজ মঙ্গলবার থেকে ইউটিউব তাদের 'ইউটিউব পার্টনার প্রোগ্রামে' নতুন কিছু শর্ত যুক্ত করেছে। এর মূল লক্ষ্য বলা হচ্ছে, তুলনামূলক নিম্নমানের, পুনরায় তৈরি এবং এআই দিয়ে তৈরি 'লো-ইফোর্ট' ভিডিওকে নিরুৎসাহিত করা।
ইউটিউবে যেসব ভিডিও মনিটাইজ হবে না
নতুন নীতিমালা অনুযায়ী, শুধুমাত্র এআই টুল ব্যবহার করে তৈরি ভিডিও, যেখানে মানুষের নিজস্ব চিন্তা, ব্যাখ্যা বা সৃজনশীলতা নেই, এ ধরনের কনটেন্টকে ইউটিউব এখন থেকে মনিটাইজেশনের জন্য যোগ্য বলে বিবেচনা করবে না।
এর মধ্যে রয়েছে—
- এআই দিয়ে বানানো স্ক্রিপ্ট ও ভয়েস দিয়ে সরাসরি প্রকাশিত ভিডিও
- হুবহু একই ধরনের তথ্যভিত্তিক ভিডিও বারবার তৈরি
- বিভ্রান্তিকর এআই ভিডিও
এআই দিয়ে বানানো যেসব ভিডিও মনিটাইজ হবে
তবে ইউটিউব জানিয়েছে, এআই ব্যবহার করলেও যদি ভিডিওতে নিজস্ব ব্যাখ্যা, বিশ্লেষণ বা সৃজনশীল উপস্থাপন থাকে, তাহলে সেগুলো মনিটাইজ করা যাবে। যেমন—
- এআই দিয়ে গবেষণা সহায়ক স্ক্রিপ্ট তৈরি করে নিজের ভয়েসে উপস্থাপন
- ডকুমেন্টারি বা ব্যাখ্যামূলক কনটেন্ট, যেখানে ভিডিও সম্পাদনায় নিজস্ব স্টাইল ও ইনসাইট রয়েছে
- রিভিউ, টিউটোরিয়াল বা কমেন্টারি ভিডিও—যেখানে স্পষ্টভাবে মানুষের অবদান রয়েছে
ইউটিউব বলছে, 'এআই দিয়ে তৈরি কনটেন্ট অনুমোদিত। তবে শর্ত হচ্ছে, সেগুলোতে দর্শকদের জন্য প্রকৃত মূল্য থাকতে হবে, বিভ্রান্তিকর হওয়া যাবে না এবং এর সঙ্গে মৌলিক ব্যাখ্যা বা শিক্ষামূলক দৃষ্টিভঙ্গি থাকতে হবে।'
নির্মাতাদের করণীয়
- কনটেন্টে নিজস্ব ভয়েসওভার, বিশ্লেষণ বা মুখ দেখা যায় এমন উপস্থাপন যোগ করতে হবে।
- কেবল এআই দিয়ে তৈরি করলে সেটিকে অবশ্যই সৃজনশীলভাবে সম্পাদনা করে মানুষের ছোঁয়া দিতে হবে।
- পুরনো ভিডিওগুলো রিভিউ করে প্রয়োজনে ডিলিট বা আপডেট করতে হবে।
এআই প্রযুক্তি ব্যবহার করে কনটেন্ট তৈরি একটি ভবিষ্যতমুখী ধারা। তবে প্ল্যাটফর্ম হিসেবে ইউটিউব চায় এই প্রযুক্তির ব্যবহার যেন সৃষ্টিশীলতা ও তথ্যবহুলতার পরিপূরক হয়, বিকল্প নয়।
Comments