রুদ্ধশ্বাস ম্যাচে টাইব্রেকারে সিটিকে হারিয়ে কমিউনিটি শিল্ড আর্সেনালের

ছবি: এএফপি

শুরু থেকে আক্রমণাত্মক ফুটবল খেলা ম্যানচেস্টার সিটি এগিয়ে যায় দ্বিতীয়ার্ধে। সেই লিডের কল্যাণে শিরোপার সুবাস পেতে থাকে তারা। তবে শেষ মুহূর্তে পাল্টে যায় চিত্র। রুদ্ধশ্বাস দ্বৈরথে যোগ করা সময়ের একাদশ মিনিটে সমতা ফেরায় আর্সেনাল। এরপর টাইব্রেকারে পূর্ণাঙ্গ সফলতা নিয়ে কমিউনিটি শিল্ড জয়ের উল্লাস করে তারা।

ওয়েম্বলি স্টেডিয়ামে রোববার রাতে দুই ইংলিশ পরাশক্তির মধ্যকার রোমাঞ্চকর ম্যাচে টাইব্রেকারে ৪-১ গোলে জিতেছে মিকেল আর্তেতার শিষ্যরা। এর আগে নির্ধারিত ৯০ মিনিটের খেলা শেষ হয় ১-১ গোলে। সিটির পক্ষে কোল পালমার ৭৭তম মিনিটে জাল খুঁজে নেন। এরপর শেষ বাঁশি বাজার ঠিক আগে লেয়ান্দ্রো ত্রোসার্দ আর্সেনালের হয়ে নিশানা ভেদ করেন।

টাইব্রেকারে চারটি শট নিয়ে চারটিতেই বল জালে পাঠায় গানাররা। মার্টিন ওডেগার্ড, লিয়ান্দ্রো ত্রোসার্দ, বুকায়ো সাকা ও ফাবিও ভিয়েরা সফল হন স্পট-কিকে। সিটিজেনদের প্রথম শট নেওয়া কেভিন ডি ব্রুইনা মারেন ক্রসবারে। এরপর বার্নার্দো সিলভা গোল করলেও তৃতীয় স্পট-কিকে ফের ব্যর্থ হন রদ্রি।

নির্ধারিত সময়ে গোলমুখে আটটি শট নিয়ে চারটি লক্ষ্যে রাখে সিটি। বল দখলেও বরাবরের মতো প্রাধান্য ছিল তাদের। তবে আক্রমণগুলো ছিল ধারহীন। বিবর্ণ আর্লিং হালান্ড নিজেকে মেলে ধরতে পারেননি। ম্যাচের ৬৪তম মিনিটে তার বদলি হিসেবে নামেন পালমার। অন্যদিকে, আর্সেনাল গোলমুখে নেওয়া সাতটি শটের তিনটি ছিল লক্ষ্যে।

ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগ ও এফএ কাপের চ্যাম্পিয়নরা মুখোমুখি হয় কমিউনিটি শিল্ডের লড়াইয়ে। গত ২০২২-২৩ মৌসুমে ম্যান সিটি দুটি প্রতিযোগিতার শিরোপাই জেতায় তাদের প্রতিপক্ষ হয় লিগ রানার্সআপ হওয়া আর্সেনাল। তবে ঐতিহাসিক ট্রেবল জয়ের পর প্রথমবার প্রতিযোগিতামূলক ম্যাচে নেমে হারের তিক্ত স্বাদ নিতে হয় পেপ গার্দিওলার শিষ্যদের।

কমিউনিটি শিল্ড জেতার অপেক্ষা আরও বাড়ল সিটির। ২০১৯ সালে শেষবার প্রতিযোগিতাটিতে শেষ হাসি হেসেছিল তারা। সেটা ছিল কমিউনিটি শিল্ডে তাদের ষষ্ঠ শিরোপা। গত বছর লিভারপুলের কাছে তারা হেরেছিল ৩-১ গোলে। অন্যদিকে, আর্সেনাল ২০২০ সালের পর ফের জিতল মর্যাদাপূর্ণ কমিউনিটি শিল্ড। প্রতিযোগিতায় এটি তাদের ১৭তম শিরোপা।

Comments

The Daily Star  | English
Pharmaceutical raw material import dependency Bangladesh

Heavy import reliance leaves pharma industry vulnerable

Despite success, Bangladesh's pharma industry hinges on imported raw materials

12h ago