ভাঙচুর-অগ্নিসংযোগ-লুটে অন্তত ২০-২৫ কোটি টাকার ক্ষতি: সিটি ইউনিভার্সিটির উপাচার্য
ভাঙচুর, অগ্নিসংযোগ ও লুটের ফলে সিটি ইউনিভার্সিটির অন্তত ২০ থেকে ২৫ কোটি টাকার ক্ষতি হয়েছে বলে দাবি করেছেন বিশ্ববিদ্যালয়টির উপাচার্য ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) অধ্যাপক ড. লুৎফর রহমান।
আজ সোমবার দুপুর দেড়টার দিকে সিটি ইউনিভার্সিটিতে নিজ কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনকালে তিনি এ দাবি করেন।
অধ্যাপক ড. লুৎফর রহমান বলেন, 'গতকাল রাতে ড্যাফোডিল ইউনিভার্সিটির অসংখ্য দুষ্কৃতিকারী শিক্ষার্থী আমাদের সিটি ইউনিভার্সিটিতে আক্রমণ করে। তারা আমাদের গেইট ভাঙচুর করে, ওয়াল ভাঙচুর করে এবং আমাদের সামনের ফটকে থাকা প্রায় ১৩টার মতো গাড়ি সম্পূর্ণ পুড়িয়ে দিয়েছে।'
তিনি বলেন, 'শুধু তাই নয়, তারা পরিকল্পিতভাবে আমাদের অফিস রুমে প্রবেশ করে এবং ভিসি, প্রভিসি, ট্রেজারার, রেজিস্ট্রার প্রত্যেকের রুমে প্রবেশ করে কম্পিউটার লুট ও ভাঙচুর করেছে, নথি নিয়ে গেছে।'
তিনি আরও অভিযোগ করেন, 'আগে আমরা ফার্স্ট সিকিউরিটি ইসলামী ব্যাংকের মাধ্যমে লেনদেন করতাম। কিন্তু ইদানীং ব্যাংকটি একটু দূরে যাওয়ায় আমরা ক্যাশ লেনদেন করে পরের দিন টাকাটা পাঠাই মধুমতী ব্যাংকে। গতকাল আমাদের অ্যাকাউন্টস সেকশনে যত আর্থিক লেনদেন হয়েছে, সেই টাকাগুলো আমাদের কাছেই ছিল। তারা সেগুলো ভেঙেছে।'
তিনি বলেন, 'আমাদের সবচেয়ে বেশি ক্ষতি হয়েছে নথি নিয়ে যাওয়ায়। এগুলো আমার চাইলেই তৈরি করে ফেলতে পারব না।'
'একটা ইউনিভার্সিটির শিক্ষার্থী আরেকটি ইউনিভার্সিটিতে ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ করতে পারে এটা আমার কল্পনার বাইরে' মন্তব্য করে তিনি বলেন, 'আমি ড্যাফোডিল ইউনিভার্সিটির উপাচার্যের সঙ্গে কথা বলেছি। স্যার আমাকে আশ্বাস দিয়েছেন যে, ক্ষতিপূরণটা তারা দিয়ে দেবেন।'
ড্যাফোডিল ইউনিভার্সিটির উপাচার্যকে প্রতিনিধি দল পাঠিয়ে ক্ষতির পরিমাণ নির্ধারণের অনুরোধ জানিয়েছেন উল্লেখ করে তিনি বলেন, 'ড্যাফোডিলের সঙ্গে আমাদের ভালো সম্পর্ক আছে। দেখা যাক তারা কী করে। তারা যদি তেমন কোনো উদ্যোগ না নেয়, আমরা অবশ্যই আইনের আশ্রয় নেবো।'


Comments