নরেন্দ্রপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়: দুর্ভোগের মধ্যেই চলছে ক্লাস

টিনশেড নিচু এই ঘরেই ক্লাশ করতে হচ্ছে শিক্ষার্থীদের, যেখানে কোনো ফ্যানও লাগানো যায় না। ছবি: সংগৃহীত

ময়মনসিংহের নান্দাইল উপজেলার নরেন্দ্রপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শতাধিক শিক্ষার্থীকে এখনো ক্লাস করতে হচ্ছে পুরোনো টিনশেড ঘরে। নির্ধারিত সময় পার হয়ে গেলেও বিদ্যালয়ের নতুন ভবনের নির্মাণকাজ শেষ না হওয়ায় এখনো হস্তান্তর করা হয়নি।

বিদ্যালয়টিতে ১৬০ জন শিক্ষার্থী রয়েছে। টিনশেড ঘরের নিচু ছাদের কারণে ক্লাসগুলোতে ফ্যান বসানো সম্ভব হয় না। ফলে প্রচণ্ড গরমের মধ্যেই ক্লাস করতে বাধ্য হয় শিক্ষার্থীরা।

নির্মাণাধীন স্কুল ভবন। নির্মাণের সময়সীমা পার হলেও এখনো হস্তানন্ত করা হয়নি। ছবি: সংগৃহীত

২০১১ সালে নরেন্দ্রপুর গ্রামে বিদ্যালয়টি প্রতিষ্ঠিত হয় এবং ২০১৩ সালে এটি জাতীয়করণ করা হয়। নারিন্দ্রপুর ও ফুলবাড়িয়া গ্রামের একমাত্র শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান এই বিদ্যালয়টি।

বিদ্যালয় সূত্রে জানা যায়, স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর (এলজিইডি) ২০২২ সালের ডিসেম্বরে নতুন ভবনের নির্মাণকাজ শুরু করে। ২০২৩ সালের ডিসেম্বরে কাজ শেষ হওয়ার কথা থাকলেও এখনো ভবন হস্তান্তর করা হয়নি।

টিনশেড ভবনটিতে চারটি শ্রেণিকক্ষ আছে, যার মধ্যে একটি প্রাক-প্রাথমিকের জন্য। জায়গার অভাব ও ভিড়ের কারণে পড়াশোনা মারাত্মকভাবে ব্যাহত হচ্ছে।

বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক সুলতানা রাজিয়া বলেন, 'শ্রেণিকক্ষের অভাবে স্বাভাবিকভাবে পাঠদান সম্ভব হচ্ছে না। প্রচণ্ড গরমে শিক্ষার্থীরা ভোগান্তিতে আছে।'

তিনি বলেন, 'বৃষ্টির সময় বিদ্যালয়ের মাঠে পানি জমে যায়। সেসময় শিক্ষার্থীরা মাঠে খেলতে পারে না। বিভিন্ন সময়ে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের এসব সমস্যার কথা জানানো হয়েছে, কিন্তু কোনো সমাধান হয়নি।'

শিক্ষার্থীদের ভাষ্য, আমাদের ভবন আছে, কিন্তু হস্তান্তর না হওয়ায় তাদের কষ্ট করে সেই টিনের ঘরেই ক্লাস করতে হচ্ছে।

উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা ফজিলাতুন নেসা বলেন, 'ভবন নির্মাণের দায়িত্বে ছিল এলজিইডি। কিন্তু নির্ধারিত সময় পার হলেও কাজ শেষ হয়নি। আমরা বারবার তাগাদা দিলেও এখনো বিলম্বের সুনির্দিষ্ট কারণ জানানো হয়নি।'

তবে অবহেলার অভিযোগ অস্বীকার করে নান্দাইল এলজিইডির উপজেলা প্রকৌশলী মো. আব্দুল মালেক বিশ্বাস বলেন, 'সংশ্লিষ্ট ঠিকাদারকে দ্রুত কাজ শেষ করে এক মাসের মধ্যে ভবন হস্তান্তরের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।'

নান্দাইল উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সারমিনা সাত্তার বলেন, সম্প্রতি বিষয়টি তাকে জানানো হয়েছে এবং দ্রুত ভবন হস্তান্তরের জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

Comments

The Daily Star  | English

Shibli Rubayat, Reaz Islam banned for life in market over scam

In 2022, asset management firm LR Global invested Tk 23.6 crore to acquire a 51 percent stake in Padma Printers, a delisted company, from six mutual funds it manages

1h ago