নারী শিক্ষার্থীদের কুরুচিকর মন্তব্যকারী নেতাকে আজীবন বহিষ্কার রাবি ছাত্রদলের

এ আর মিলন খান ও ছাত্রদল থেকে কার আজীবন বহিষ্কারের প্রেস বিবৃতি। ছবি: সংগৃহীত

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) জুলাই ৩৬ হলের ৯১ নারী শিক্ষার্থীকে নিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে কুরুচিকর মন্তব্য করা শাহ মখদুম হলের সহসভাপতি এ আর মিলন খানকে আজীবন বহিষ্কার করেছে ছাত্রদল।

আজ বৃহস্পতিবার সকালে রাবি ছাত্রদলের দপ্তর সম্পাদক নাফিউল ইসলাম জীবনের পাঠানো সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।

এর আগে গত ২ সেপ্টেম্বর এ আর মিলন খান দাবি করেন, তার ফেসবুক অ্যাকাউন্ট অন্য কারো নিয়ন্ত্রণে চলে গিয়েছিল।

এ ঘটনায় সাংগঠনিক পদ স্থগিত করে সত্যতা যাচাই করার জন্য দুই সদস্য বিশিষ্ট একটি তদন্ত কমিটি গঠন করে রাবি ছাত্রদল। তদন্ত কমিটির সদস্য ছিলেন রাবি ছাত্রদলের সিনিয়র সহসভাপতি শাকিলুর রহমান সোহাগ ও সিনিয়র যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক শফিকুল ইসলাম শফিক।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, জুলাই ৩৬ হলের প্রভোস্ট কর্তৃক ৯১ জন শিক্ষার্থীকে অযাচিতভাবে তলব করার প্রতিবাদে ছাত্রদলের সহসভাপতি ও শিক্ষার্থী জান্নাতুল নাঈমা তুহিনার ব্যক্তিগত ফেসবুক স্ট্যাটাসে এ আর মিলন খান কুরুচিপূর্ণ মন্তব্য করেছেন বলে অভিযোগ উঠেছিল। এ ঘটনায় গঠিত তদন্ত কমিটির সদস্যরা এ আর মিলন খানের সঙ্গে একাধিকবার যোগাযোগ করলে তিনি সন্তোষজনক কোনো জবাব না দিয়ে ফোন বন্ধ করে দেন।

এতে আরও বলা হয়, এর মাধ্যমে প্রমাণিত হয় যে উক্ত কুরুচিপূর্ণ মন্তব্য তিনিই ইচ্ছাকৃতভাবে করেছেন। ফলে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রদল এ আর মিলন খানকে প্রাথমিক সদস্য পদসহ হল সহসভাপতির পদ থেকে আজীবনের জন্য বহিষ্কার করছে।

একইসঙ্গে সংগঠনের সব নেতাকর্মীদের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে, এ আর মিলন খানের সঙ্গে কোনো প্রকার সাংগঠনিক যোগাযোগ না রাখার জন্য। বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের কাছে আহ্বান জানানো হয়েছে, বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রচলিত আইন ও শৃঙ্খলা বিধি অনুযায়ী তার বিরুদ্ধে উপযুক্ত আইনি ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য।

রাবি ছাত্রদল সভাপতি সুলতান আহমেদ রাহী ও সাধারণ সম্পাদক সরদার জহুরুল ইসলাম এ সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।

এ ঘটনায় এ আর মিলন খানের নামে রাজশাহীর মতিহার থানায় ছাত্রদলের পক্ষ থেকে একটি লিখিত অভিযোগ দেওয়া হয়েছে।

মতিহার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুল মালেক দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, 'আমরা একটি লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। মামলার বিষয়টি প্রক্রিয়াধীন।' 

এর আগে গতকাল রাতে জুলাই ৩৬ হলের শিক্ষার্থীরা বিক্ষোভ সমাবেশ করেন। সেখানে তারা তিনটি দাবি উত্থাপন করে। সেগুলো হলো—বিশ্ববিদ্যালয় থেকে এ আর মিলন খানকে স্থায়ী বহিষ্কার করতে হবে, রাকসুতে তার মনোনয়নপত্র বাতিল ও প্রকাশ্যে ক্ষমা চাইতে হবে এবং বিশ্ববিদ্যালয়ে কার্যকরী সাইবার বুলিং সেল গঠন করতে হবে।

 

Comments

The Daily Star  | English
government action on illegal political gatherings

Local administration told to go tough, surveillance to be tightened on flash processions

Directives follow high-level meeting at chief adviser’s residence, says press secretary

51m ago