ঐতিহাসিক জয় নিয়ে ফেরা মুমিনুল তাকিয়ে আগামীর চ্যালেঞ্জে

Mominul Haque
বিমানবন্দরে মুমিনুল হক। ছবি: ফিরোজ আহমেদ

নিউজিল্যান্ড সফরে যাওয়ার আগে টানা হারে কাহিল ছিল বাংলাদেশ টেস্ট দল। নিউজিল্যান্ডে এর আগে কখনো জিততে না পারার কারণে প্রত্যাশার মাত্রাও ছিল ছিল অনেক কম। তবে সবাইকে অবাক করে একটি টেস্ট জিতে দেশে ফিরলেন মুমিনুল হকরা। নিউজিল্যান্ডের কঠিন কন্ডিশনে প্রথমবার সিরিজ ড্র করার অর্জন নিয়ে দেশে ফিরলেও মুমিনুল তাকিয়ে আগামীর চ্যালেঞ্জে।

শনিবার বিকেল সাড়ে ৫টায় দুবাই হয়ে নিউজিল্যান্ড থেকে দেশে ফিরেছে বাংলাদেশ ক্রিকেট দল। দলের দুদিন আগেই আলাদাভাবে দেশে ফিরে এসেছিলেন টিম ডিরেক্টর খালেদ মাহমুদ সুজন ও মুশফিকুর রহিম। বাকি ক্রিকেটার ও দেশি সাপোর্ট স্টাফ আসেন এদিন। প্রধান কোচসহ বিদেশি সাপোর্ট স্টাফরা ছুটিতে যাবেন নিজ নিজ দেশে।

দেড় মাস আগে পাকিস্তানের বিপক্ষে ঘরের মাঠে হোয়াইটওয়াশের যন্ত্রণা নিয়ে নীরবেই নিউজিল্যান্ডে গিয়েছিলেন তারা। ইতিহাস গড়া জয় নিয়ে ফেরা হলো সরবে।  বিমানবন্দরে ছিল ভক্ত, সমর্থকদের ভিড়।

Mominul Haque

হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে নেমে বাংলাদেশ টেস্ট অধিনায়ক জানান, নিউজিল্যান্ডে পাওয়া জয়ের পর বেড়ে যাওয়া প্রত্যাশার পারদ টের পাচ্ছেন তারা। বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের আসরে আগামী সিরিজগুলোর চ্যালেঞ্জ তাই এখনো ভাবাচ্ছে তাকে,  'আমার মনে হয় আপনারাও প্রত্যাশা করেননি (নিউজিল্যান্ডে জেতা), আমার দলেরও কেউ কেউ হয়ত  করে নাই। হয়ত আমি প্রত্যাশা করেছি। একটা টেস্ট ম্যাচ জিতেছি, ওটার চেয়েও আমি উদ্বিগ্ন পরের সিরিজগুলো নিয়ে। আমাদের সামনে অনেক বড় সিরিজ, ভারতের বিপক্ষে সিরিজ, দক্ষিণ আফ্রিকা সিরিজ, শ্রীলঙ্কা সিরিজ, ওয়েস্ট ইন্ডিজ সিরিজ আছে। ওই সিরিজগুলো আমাদের জন্য খুবই চ্যালেঞ্জিং। যেটা আমি অধিনায়ক হিসেবে মনে করি। আমাদের দিনে দিনে আরও উন্নতি করতে হবে।'

Liton Das
সিরিজে বাংলাদেশের হয়ে সর্বোচ্চ রান করেন লিটন দাস। ছবি: ফিরোজ আহমেদ

নিউজিল্যান্ডে মাউন্ট মাঙ্গানুইতে প্রথম টেস্টে বাংলাদেশ জিতে যায় ৮ উইকেটে। দলের জয়ে অবদান রাখেন বেশ কয়েকজন। অধিনায়ক মুমিনুল করেন ৮৮, লিটন দাস ৮৬, মাহমুদুল হাসান জয় ৭৮, নাজমুল হোসেন শান্তর ব্যাট থেকে আসে ৬৮ রান।

বল হাতে অবদান রাখেন শরিফুল ইসলাম, তাসকিন আহমেদ, মেহেদী হাসান মিরাজরা। তবে  সবাইকে ছাপিয়ে নায়ক পেসার ইবাদত হোসেন। ৪৬ রানে ৬ উইকেট নিয়ে নিউজিল্যান্ডের দ্বিতীয় ইনিংস ধসিয়ে দেন তিনি। বাংলাদেশ পায় ঐতিহাসিক জয়।  অধিনায়ক মুমিনুল মনে করছেন কোন মিরাকল নয়, সম্মিলিত প্রয়াসেই এসেছে এমন সাফল্য,  'কোন কারিশমা না, কোন যাদুমন্ত্র না। আমরা আমাদের প্রক্রিয়াটা ঠিক রাখার চেষ্টা করেছি। দল হিসেবে খেলতে পেরেছি। বাংলাদেশ দল যখনই দল হিসেবে সবাই মিলে ভাল করে তখনই ফলাফল পক্ষে। একজন, দুইজন ভাল করলে হয় না।'

প্রথম টেস্ট জিতলেও পরের টেস্টে বাংলাদেশ ইনিংস ব্যবধানে হেরে যায় তিনদিনেই। দারুণ প্রাপ্তির সঙ্গে তাই মিশে থাকছে আক্ষেপও, 'আলহামুল্লিলাহ একটা টেস্ট জিতেছি। তবে দ্বিতীয় টেস্টটা ভাল হয়নি, সেটাও ভাল হলে আরও ভাল লাগত।'

Comments

The Daily Star  | English

Expatriates' remittance helps Bangladesh make turnaround: Yunus

It is the expatriates who help sustain the country, says the chief adviser

7h ago