‘সবাই এই চ্যালেঞ্জ নিতে পারে না’, অধিনায়কত্ব নিয়ে মুমিনুল

Mominul Haque
বাংলাদেশ টেস্ট মুমিনুক হক। ছবি: ফিরোজ আহমেদ

একের পর এক হার। সেসব হারের ধরণও খুব পীড়াদায়ক। টেস্ট ক্রিকেটে বাংলাদেশের জমিন এমনিতেই নড়বড়ে। সেই টালমাটাল ভূমিতে নেতার ভূমিকা কতটা কঠিন লাগছে মুমিনুল হকের? বাংলাদেশ টেস্ট অধিনায়ক জানালেন, সামনে আরও কঠিন চ্যালেঞ্জের জন্যও প্রস্তুত তিনি।

সাকিব আল হাসান নিষিদ্ধ হওয়ায় ২০১৯ সালে ভারত সফরের আগে আকস্মিকভাবেই টেস্ট দলের দায়িত্ব পান মুমিনুল। তার নেতৃত্বে এখন পর্যন্ত বাংলাদেশ খেলেছে ১১ টেস্ট, হেরেছে ৮টিতে। এরমধ্যে চারটিই আবার ইনিংস ব্যবধানে। ড্র এক ম্যাচে। জয় দুটি। দুটি জয়ই অবশ্য অপেক্ষাকৃত অনেক দুর্বল প্রতিপক্ষ জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে।

বুধবার চরম ব্যাটিং ব্যর্থতায় এসেছে আরেকটি ইনিংস হার। বৃষ্টিতে আড়াইদিন ভেসে যাওয়ার পরও ব্যাখ্যাতীত ব্যাটিং ব্যর্থতায় হতাশায় ডুবে বাংলাদেশ। পাকিস্তানের বিপক্ষে হয় হোয়াইটওয়াশ।

তবে এমন বিবর্ণ দশাতেই অধিনায়কত্ব কঠিন লাগছে না মুমিনুলের, বরং আরও চ্যালেঞ্জ নিতে উদগ্রীব তিনি,  'না না কঠিন না, কঠিন না। আমার মনে হয় চ্যালেঞ্জিং। দেখেন আমি চ্যালেঞ্জ নিয়েছি বলে এই সিটে বসে আপনার সঙ্গে কথা বলছি। সবাই এই চ্যালেঞ্জ নিতে পারে না। দল যখন এরকম অবস্থায় যায় তখন গুরুত্বপূর্ণ কীভাবে আপনি এটা দেখেন, কীভাবে রিয়েক্ট করেন। এটা আমার জন্য চ্যালেঞ্জের, সামনে হয়ত আরও চ্যালেঞ্জ আছে। আমি ইতিবাচকভাবে দেখি।'

পাকিস্তানের বিপক্ষে টেস্ট সিরিজ শেষ করেই আরেকটি কঠিন চ্যালেঞ্জের পথে পাড়ি দিচ্ছে বাংলাদেশ দল। দুই টেস্টের সিরিজ খেলতে রাতেই নিউজিল্যান্ডের উদ্দেশ্যে রওয়ানা হচ্ছেন তারা।

এবার বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপে আগামী সূচিও বেশ কঠিন। নিউজিল্যান্ডের পর বাংলাদেশ বাংলাদেশের টেস্ট সিরিজ আছে দক্ষিণ আফ্রিকার মাঠে। যেখানেও নেই সাফল্য। এই চক্রে খেলতে হবে ওয়েস্ট ইন্ডিজে গিয়েও। সেটাও বেশ কঠিন।

ঘরের মাঠে প্রতিপক্ষ হিসেবে এশিয়ার আরও দুই প্রতিপক্ষ ভারত ও শ্রীলঙ্কাকে পাবে বাংলাদেশ। কন্ডিশন অনুযায়ী প্রতিপক্ষের স্কিল বিচারে বাংলাদেশের জন্য রীতিমতো অগ্নিপরীক্ষা।

Comments

The Daily Star  | English

Bangladesh, Japan for concluding EPA soon to boost economic, trade ties

Japanese PM Ishiba described Bangladesh as a long-standing friend and said that Japan would stand by Bangladesh in its endeavour for a democratic transition

1h ago