ধ্বংসস্তূপে দাঁড়িয়ে লিটনের চোখ ধাঁধানো সেঞ্চুরি

Liton Das
ফিফটির পথে লিটনের শট। ছবি: টুইটার

ফলোঅনে পড়ে মাথায় বিশাল রানের বোঝা। এমন অবস্থায় ১০৫ রানে ৩ উইকেট পড়লে ক্রিজে এসেছিলেন লিটন দাস। তিনি আসার খানিক পর পড়ে যায় আরও দুই উইকেট। এরপর নুরুল হাসান সোহানকে এক পাশে রেখে গড়েন শতরানের জুটি। নান্দনিক ব্যাটিংয়ে স্ট্রোকের পসরা মেলে ধরেন তিনি। ধ্বংসস্তূপে দাঁড়িয়ে চলে তার শৈল্পিক পথচলা। এক পাশে সঙ্গী হারনো চললেও লিটন ঠিকই পেয়ে গেলেন তার দ্বিতীয় টেস্ট শতক। 

ক্রাইস্টচার্চে মঙ্গলবার লিটন শুরুতে ছিলেন সতর্ক, ছুটছিলেন ধীরলয়ে। পরে মেলে ধরেন ডানা।  সেঞ্চুরি এল অনেকটা ওয়ানডে গতিতেই। কাইল জেমিসনের বলে  ১০৬ বলে তিন অঙ্ক স্পর্শ করেন লিটন।

সেঞ্চুরি করার খানিক পরই অবশ্য আউট হয়ে গেছেন লিটন। জেমিসনের ভেতরে ঢোকা বলে ১০২ রানে থামেন লিটন। ১১৪ বলের ইনিংসে ডানহাতি এই ব্যাটসম্যান মেরেছেন দৃষ্টিননন্দন ১৪ চার ও ১ ছক্কা। 

লিটন দারুণ সেঞ্চুরি করলেও বাংলাদেশ আছে হারের পথেই। নিউজিল্যান্ডের করা ৫২১ রানের জবাবে প্রথম ইনিংসে মাত্র ১২৬ রানে গুটিয়ে ফলোঅনে পড়ে মুমিনুল হকের দল। ফলোঅনে পড়া অবস্থায় নেমে দলের চরম বিপদে লিটনের ব্যাট হয়ে উঠে চওড়া। পাঁচ নম্বরে নেমে করলেন সেঞ্চুরি। কিন্তু বাকিরা তার মতন ভরসা যোগাতে পারলেন না। 

সেঞ্চুরি করে লিটনের বিদায়ে ২৬৯ রানে ৮ উইকেট হারিয়েছে বাংলাদেশ। ইনিংস হার এড়াতে এখনো দরকার ১২৬ রান। শেষ দুই উইকেট নিয়ে যা প্রায় অসম্ভব বলা চলে। 

এদিন লিটনের ইনিংসকে ভাগ করা যায় দুই ভাগে। প্রথম ১৫ রান করেন ৪৭ বলে। পরের ৮৫ রান এলো কেবল ৬০ বলে। দ্রুত গতিতে রান এলেও কোন শটেই ছিল না বাড়তি ঝুঁকি। খেলেছেন ক্রিকেটীয় সব শটই। কম্পাস টেনে দেওয়ার মতো স্ট্রেট ড্রাইভ, চাবুকের মতো পুল, নিখুঁত স্কয়ার কাট, মোহনীয় কাভার ড্রাইভে রাঙিয়ে গেছেন নিজের ইনিংস। 

সেঞ্চুরির পথে ৬ষ্ঠ উইকেটে লিটনকে সঙ্গ সোহান। জুটিতে ১০৫ বলে আসে ১০১ রান। যাতে সোহানের অবদান ৫৪ বলে ৩৬। সোহান ফেরার পরই উলটোপথে হাঁটে বাংলাদেশ। মেহেদী হাসান মিরাজ করেন মাত্র ৩ রান। পরে তাসকিন আহমেদকে একপাশে রেখে সেঞ্চুরি তুলেন লিটন। 

Comments

The Daily Star  | English

‘This fire wasn’t an accident’: Small business owner’s big dreams destroyed

Once a garment worker, now an entrepreneur, Beauty had an export order ready

5h ago