শেষ পর্যন্ত জয়ী হয়েছে ক্রিকেট: নারাইন

ছবি: ফিরোজ আহমেদ

ক্ষণে ক্ষণে পরিবর্তন হলো ম্যাচের রং। সুনীল নারাইন যখন ব্যাটিং করছিলেন, তখন মনে হয়েছিল, বড় সংগ্রহই পেতে যাচ্ছে কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্স। আবার লক্ষ্য তাড়ায় সৈকত আলী ও ক্রিস গেইল যখন ক্রিজে ছিলেন, তখন কে ভেবেছিল এই ম্যাচ হারতে পারে ফরচুন বরিশাল! কিন্তু রোমাঞ্চকর লড়াইয়ে শেষ পর্যন্ত হেরেই যায় তারা। নাটকীয় ফাইনাল জিতে তৃতীয়বারের মতো বিপিএল চ্যাম্পিয়ন হলো কুমিল্লা। এমন দুর্দান্ত দ্বৈরথে সবকিছু ছাপিয়ে ক্রিকেটের জয়ই দেখছেন ম্যাচসেরা নারাইন।

এবারের আসরের লিগ পর্বে দর্শকদের মাঠে আসায় ছিল নিষেধাজ্ঞা। তবে নক-আউট পর্ব থেকে অনুমতি মেলে। আগের তিনটি ম্যাচে সে অর্থে দর্শক দেখা যায়নি। ফাইনালে দেখা মিলল কয়েক হাজার দর্শকের। আর সমর্থকদের পয়সাও উসুল হলো একেবারে ষোলো আনা। ঠিক যেমন ম্যাচ চেয়েছিলেন, তেমন ফাইনাল-ই যেন দেখতে পারলেন তারা। এ কারণেই ক্রিকেটের জয়গান গেয়েছেন ওয়েস্ট ইন্ডিজের অলরাউন্ডার নারাইন।

ম্যাচ শেষে পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে এই ক্যারিবিয়ান তারকা বলেছেন, 'আমি মনে করি, এই (অর্জন) সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। আপনি এখানেই শেষ করতে চাইবেন। কৃতিত্ব সব ছেলেদের। উইকেট কিছুটা সহায়তা করেছে এবং ম্যাচের চাপও কিছুটা সাহায্য করেছে। ছেলেরা ভালো প্রচেষ্টা চালিয়েছে, এটা তাদের প্রাপ্য। ম্যাচে খুব হাড্ডাহাড্ডি লড়াই হয়েছে। তবে দর্শকরা যা চেয়েছিলেন, তা-ই পেয়েছেন এবং শেষ পর্যন্ত ক্রিকেটই জয়ী হয়েছে।'

শুক্রবার মিরপুর শেরে বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে বরিশালকে মাত্র ১ রানে হারিয়েছে কুমিল্লা। ফাইনালের ফয়সালা হতে অপেক্ষা করতে হয়েছে শেষ বল পর্যন্ত। প্রথমে ব্যাট করতে নেমে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৯ উইকেটে ১৫১ রান করে কুমিল্লা। এরপর সে লক্ষ্য তাড়ায় পুরো ওভার খেলে ৮ উইকেটে ১৫০ রানের বেশি করতে পারেনি সাকিব আল হাসানের বরিশাল।

এদিন শুরুতে ঝড় তুলে কুমিল্লাকে ভিত গড়ে দিয়েছিলেন নারাইন। যদিও পরের দিকের ব্যাটাররা তেমন কিছু করতে পারেননি। এরপর মঈন আলীর ব্যাটে লড়াইয়ের পুঁজি পেয়ে যায় বরিশাল। সৈকতের ব্যাটে এক সময় জয় দেখছিল বরিশাল। তবে তানভীর ইসলাম ও নারাইনের ঘূর্ণির মায়াজালের পাশাপাশি শহিদুল ইসলামের দুর্দান্ত বোলিংয়ে আটকে যায় দলটি। শেষদিকে স্নায়ুচাপ সামলাতে পারেনি তারা। ব্যাটে-বলে অসাধারণ পারফর্ম করা নারাইনই হন ম্যাচসেরা।

Comments

The Daily Star  | English

Dozens of zombie firms still trading as if nothing is wrong

Nearly four dozen companies have been languishing in the junk category of the Dhaka Stock Exchange (DSE) for at least five years, yet their shares continue to trade on the country’s main market and sometimes even appear among the top gainers. 

1h ago