‘অধ্যক্ষকে মারধরের ঘটনা ফ্যাসিস্ট শাসনের একটি নিকৃষ্ট প্রকাশ’

প্রতীকি ছবি।

রাজশাহী-১ আসনের (গোদাগাড়ী-তানোর) আসনের সরকার দলীয় সংসদ সদস্য ওমর ফারুক চৌধুরীর বিরুদ্ধে কলেজের এক অধ্যক্ষকে মারধরের যে অভিযোগ উঠেছে, সেটাকে ফ্যাসিস্ট শাসনের একটি নিকৃষ্ট প্রকাশ হিসেবে অভিহিত করেছে বামপন্থী ছাত্রসংগঠন গণতান্ত্রিক ছাত্র কাউন্সিল।

আজ বৃহস্পতিবার সংগঠনের কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি আরিফ মঈনুদ্দিন ও সাধারণ সম্পাদক উজ্জ্বল বিশ্বাস এক যৌথ বিবৃতিতে বলেন, 'এ দেশে শিক্ষক নিপীড়নের ঘটনা নিত্যদিনের ঘটনায় পরিণত হয়েছে৷ প্রবল ক্ষমতাকেন্দ্রিক ফ্যাসিস্ট শাসন ও অগণতান্ত্রিক উগ্র মনন একজন আইন প্রণেতাকে শিক্ষক পেটানোর মত ভয়াবহ অপরাধ সংগঠিত করার সাহস জুগিয়েছে৷'

বিবৃতিতে আরও বলা হয়, 'ফারুক চৌধুরীর বেপরোয়া লাথি, কিল-ঘুষি ও হকিস্টিকের আঘাতে তার (অধ্যক্ষের) শরীরের বিভিন্ন স্থানে কালশিরা পড়েছে। অপমান ও আঘাতে বিপর্যস্ত শিক্ষক কাউকে অভিযোগ করার সাহস পর্যন্ত পাননি। এই ঘটনা বর্তমান ফ্যাসিস্ট শাসনের একটি নিকৃষ্ট প্রকাশ।'

সম্প্রতি দেশের বিভিন্ন জায়গায় শিক্ষক নিগ্রহের ঘটনাগুলো উল্লেখ করে সংগঠনটির নেতারা বলেন, 'দেশের সার্বিক বিচারহীনতা ও ক্ষমতার অপপ্রয়োগের ভয়াবহ প্রকাশ আজ শিক্ষকদের রাষ্ট্রীয় সন্ত্রাসের মুখোমুখি দাঁড় করিয়েছে । এর বিরুদ্ধে গণপ্রতিরোধ গড়ে তোলার বিকল্প নেই৷'

এ ছাড়া বিবৃতিতে সংসদ সদস্য ফারুক চৌধুরীর দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানান এই ছাত্রনেতারা।

সংসদ সদস্য ওমর ফারুক চৌধুরীর বিরুদ্ধে গত সপ্তাহে তার কার্যালয়ে রাজবাড়ী ডিগ্রি কলেজের অধ্যক্ষ সেলিম রেজাকে 'মারধরের' অভিযোগ ওঠে।

তবে সংসদ সদস্য দ্য ডেইলি স্টারের কাছে এই অভিযোগ অস্বীকার করেছেন।

কিন্তু রাজশাহী জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক আসাদুজ্জামান আসাদ ডেইলি স্টারকে জানান, তিনি গত সোমবার রাজবাড়ী ডিগ্রি কলেজের আহত অধ্যক্ষ সেলিম রেজার বাড়িতে তাকে দেখতে যান এবং তখন তার শরীরের বিভিন্নস্থানে আঘাতের চিহ্ন দেখতে পান।

সংসদ সদস্য ক্ষমতাসীন দলের সুনাম নষ্ট করছেন বলেও মন্তব্য করেন তিনি।

এদিকে, অভিযোগ তদন্তে গতকাল বুধবার কমিটি গঠন করেছে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়। ৩ সদস্যের কমিটির আহ্বায়ক জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার মোল্লা মাহফুজ আল-হোসেনকে যত দ্রুত সম্ভব ঘটনাস্থল পরিদর্শন করতে বলা হয়েছে।

Comments

The Daily Star  | English

Dozens of zombie firms still trading as if nothing is wrong

Nearly four dozen companies have been languishing in the junk category of the Dhaka Stock Exchange (DSE) for at least five years, yet their shares continue to trade on the country’s main market and sometimes even appear among the top gainers. 

1h ago