তিস্তা-ধরলার পানি বিপৎসীমা ছুঁই ছুঁই

তিস্তা ব্যারেজ। ছবি: এস দিলীপ রায়/স্টার

প্রবল বৃষ্টি ও উজান থেকে আসা পানিতে তিস্তা ও ধরলা নদীর পানি বেড়ে বিপৎসীমায় প্রবাহিত হচ্ছে।

আজ বৃহস্পতিবার সকাল ৯টায় লালমনিরহাটের হাতীবান্ধা উপজেলার ডালিয়ায় তিস্তা ব্যারেজ পয়েন্টে তিস্তার পানি বিপৎসীমা ৫২ মিটার ৬০ সেন্টিমিটার ছুঁয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।

অপরদিকে, একই সময়ে লালমনিরহাট সদর উপজেলার শিমুলবাড়ী পয়েন্টে ধরলার পানি বিপৎসীমা ৩১ মিটার ০৯ সেন্টিমিটারের এক সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।

লালমনিরহাট পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মিজানুর রহমান দ্য ডেইলি স্টারকে এ তথ্য জানিয়েছেন।

লালমনিরহাট সদর উপজেলায় তিস্তা তীরবর্তী কালমাটি গ্রামে বাড়ি-ঘরে পানি ঢুকছে। ছবি: এস দিলীপ রায়/স্টার

তিনি বলেন, 'উজানে ভারত থেকে পানি আসা অব্যাহত থাকায় তিস্তা ও ধরলা নদীতে পানি বাড়ছে। বন্যার আশঙ্কা করা হচ্ছে। নদীর তীরবর্তী নিম্নাঞ্চল ও চরাঞ্চল থেকে লোকজনকে নিরাপদে সরে আসার আহ্বান করা হয়েছে। পানি উন্নয়ন বোর্ড নদী ২টির পানিবৃদ্ধি নিবিড়ভাবে পযর্বেক্ষণ করছে।'

তিনি জানান, তবে, কুড়িগ্রামে ননুখাওয়া ঘাট ও চিলমারী পয়েন্টে ব্রহ্মপুত্রের পানি বিপৎসীমার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।

কুড়িগ্রাম পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী আব্দুল্লাহ আল মামুন ডেইলি স্টারকে বলেন, 'ব্রহ্মপুত্র নদের পানিও বাড়ছে। যেকোনো সময় তা বিপৎসীমা দিয়ে প্রবাহিত হতে পারে বলে।'

তিনি জানান, জেলার রৌমারী উপজেলায় বন্যা পরিস্থিতির উন্নতি হয়েছে। উপজেলার কালুর, জিনজিরাম ও ধরনী নদীর পানি স্বাভাবিক অবস্থায় প্রবাহিত হচ্ছে।

রৌমারীর বকবান্ধা গ্রামের কৃষক নজর আলী (৬২) ডেইলি স্টারকে বলেন, 'গতকাল বুধবার রাতে বন্যার পানি নেমে গেছে। বাড়ির পাশে ফসলের খেতে এখনো বন্যার পানি রয়েছে। জমির ঘাস নষ্ট হওয়ায় গো খাদ্য সঙ্কটে আছি।'

লালমনিরহাটের হাতীবান্ধা উপজেলার গড্ডিমারী ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান আবু বক্কর সিদ্দিক শ্যামল ডেইলি স্টারকে বলেন, 'তিস্তা ব্যারেজ সংলগ্ন হওয়ায় ইউনিয়নটি সবচেয়ে বেশি ঝুঁকিতে থাকে। তিস্তার পানি বাড়লেই ইউনিয়নে বন্যা দেখা দেয়। তিস্তার তীরে ঝুঁকিপূর্ণ এলাকা থেকে মানুষজনকে নিরাপদে আনা হচ্ছে।'

Comments

The Daily Star  | English

Sugar, edible oil imports surge as dollar supply improves

Bangladesh’s imports of key essential commodities rose in the first quarter of fiscal year 2025-26 (FY26), supported by improved availability of foreign exchange and lower prices in the international market.

4h ago