পাটুরিয়ায় ৩ কিলোমিটার দীর্ঘ ছোট গাড়ির লাইন

পাটুরিয়া ঘাটে ছোট গাড়ির দীর্ঘ লাইন। ছবি: স্টার

মানিকগঞ্জের পাটুরিয়া ফেরিঘাটে ছোট গাড়ির চাপ রয়েছে। আজ শুক্রবার সকাল ১০টায় ৩ কিলোমিটার দীর্ঘ ছোট গাড়ির লাইন দেখা গেছে।

২ থেকে ৩ ঘণ্টা অপেক্ষার পর গাড়ি নিয়ে ফেরিতে উঠতে পারছেন বলে জানিয়েছেন যাত্রী ও ছোট গাড়ির চালকরা।

ঈদে যাত্রী ও যানবাহন বেড়ে যাওয়ায় ছোট এবং বড় গাড়ি যাতায়াতের জন্য আলাদা লেন করা হয়েছে। গতকাল সকাল থেকে পাটুরিয়া ঘাটের ১০ কিলোমিটার আগে ঢাকা-আরিচা মহাসড়কের টেপড়া এলাকায় ছোট গাড়ি থামিয়ে ৫ নম্বর ফেরিঘাটের সড়কে পাঠানো হচ্ছে।

কুষ্টিয়ার জসিম উদ্দিন দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, 'ঢাকা-আরিচা মহাসড়কের টেপড়া এলাকা থেকে ছোট গাড়ির লাইনে ঢুকিয়ে দিয়েছেন পুলিশ সদস্যরা। পাটুরিয়া ঘাট পর্যন্ত ১০ কিলোমিটার পথে আসতে সময় লেগেছে ২ ঘণ্টারও বেশি।'

ফরিদপুরের মহসিন সাদেক ডেইলি স্টারকে বলেন, 'আমি ছোট গাড়ির লাইনে না ঢুকে সরাসরি পাটুরিয়া ঘাটে এসেছি। সেখান থেকে আধা কিলোমিটার পথ পেরিয়ে ৫ নম্বর ফেরিঘাটে আসতে সময় লেগেছে প্রায় ১ ঘণ্টা।'

রাজবাড়ির গোয়ালন্দের আমির হামজা ডেইলি স্টারকে বলেন, 'এবার মহাসড়কে যানজটে পড়িনি। খুব দ্রুত পাটুরিয়া ঘাটে এসেই লঞ্চে উঠতে পেরেছি। আশা করি আধাঘণ্টার মধ্যে বাড়ি পৌঁছাতে পারব।'

ছোট গাড়ির চাপ কিছুটা বাড়তি থাকলেও বড় গাড়ির চাপ নেই পাটুরিয়া ঘাটে। দূরপাল্লার বাস ঘাটে আসামাত্র ফেরিতে উঠে সহজেই রাজবাড়ির দৌলতদিয়া ঘাট হয়ে গন্তব্যে যেতে পারছে।

বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌ-পরিবহন সংস্থা (বিআইডব্লিউটিসি) আরিচা আঞ্চলিক কার্যালয়ের উপ-মহাব্যবস্থাপক (বাণিজ্য) শাহ মো. খালেদ নেওয়াজ ডেইলি স্টারকে বলেন, 'পাটুরিয়া-দৌলতদিয়া নৌপথে ২১টি ফেরি সচল রয়েছে। গতকাল ১১ হাজার ২০০টি গাড়ি পারাপার করা হয়েছে। আরিচা-কাজিরহাট নৌপথে ৩টি ফেরি দিয়েই চলছে যাত্রী ও যানবাহন পারাপারের কাজ। গতকাল আরিচা-কাজিরহাট নৌপথে পারাপার করা হয়েছে ৯০৮টি গাড়ি। ফেরি পারাপার স্বাভাবিক রয়েছে।'

তিনি আরও বলেন, 'সরকারি নির্দেশনা অনুযায়ী সাধারণ পণ্যবাহী ট্রাক চলাচল বন্ধ রয়েছে। তবে জরুরি পণ্যবাহী গাড়ি যথারীতি চলাচল করছে।'

পাটুরিয়া-দৌলতদিয়া এবং আরিচা-কাজিরহাট নৌপথে যাত্রী চাপ রয়েছে। তবে ৩৪টি লঞ্চ সচল থাকায় যাত্রী পারাপারে সমস্যা হচ্ছে না।

Comments

The Daily Star  | English

Dozens of zombie firms still trading as if nothing is wrong

Nearly four dozen companies have been languishing in the junk category of the Dhaka Stock Exchange (DSE) for at least five years, yet their shares continue to trade on the country’s main market and sometimes even appear among the top gainers. 

1h ago