জেরুজালেমকে ইসরায়েলের রাজধানীর স্বীকৃতি অস্ট্রেলিয়ার প্রত্যাহার

জেরুজালেম
জেরুজালেম। ছবি: রয়টার্স ফাইল ফটো

অস্ট্রেলিয়া আর পশ্চিম জেরুজালেমকে ইসরায়েলের রাজধানী হিসেবে স্বীকৃতি দেবে না বলে ঘোষণা দিয়েছেন অস্ট্রেলিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী পেনি ওং।

আজ মঙ্গলবার তিনি এ ঘোষণা দেন।

লেবার পার্টি প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল, দলটি নির্বাচিত হলে পশ্চিম জেরুজালেমকে ইসরায়েলের রাজধানী হিসেবে আগের সরকারের দেওয়া স্বীকৃতি ফিরিয়ে দেবে।

পশ্চিম জেরুজালেমকে স্বীকৃতি দেওয়ার সিদ্ধান্তটি ২০১৮ সালে তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী স্কট মরিসন নিয়েছিলেন।

পররাষ্ট্রমন্ত্রী পেনি ওং বলেন, ২০১৮ সালের সিদ্ধান্ত ছিল 'নিষ্ঠুর ও রাজনৈতিক'।

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ২০১৭ সালে জেরুজালেমকে ইসরায়েলের রাজধানী হিসেবে আনুষ্ঠানিক ঘোষণা দিয়ে তেল আবিব থেকে মার্কিন দূতাবাস পশ্চিম জেরুজালেমে সরিয়ে নিয়েছিলেন।

তাকে অনুসরণ করেছিলেন কট্টরপন্থী হিসেবে পরিচিত অস্ট্রেলিয়ার সাবেক প্রধানমন্ত্রী স্কট মরিসন। ২০১৮ সালে তিনিও জেরুজালেমকে ইসরায়েলের রাজধানী হিসেবে স্বীকৃতি দেন।

পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, '২০১৮ সালেও লেবার পার্টির দৃষ্টিভঙ্গি ছিল যে জেরুজালেম একটি 'চূড়ান্ত অবস্থার সমস্যা' হিসেবে রয়ে গেছে যা ফিলিস্তিন ও ইসরায়েলের মধ্যে সমাধান করা উচিত।'

ফিলিস্তিন ও ইসরায়েল উভয়ই জেরুজালেমকে তাদের রাজধানী বলে দাবি করছে।

পররাষ্ট্রমন্ত্রী আজ গণমাধ্যমকে বলেন, 'এটি এমন একটি সমস্যা যা ইসরায়েল ও ফিলিস্তিনিদের মধ্যে যে কোনো শান্তি আলোচনার অংশ হিসেবে সমাধান করা উচিত।'

তিনি আরও বলেন, 'আমরা দায়িত্বশীল অগ্রগতিতে আন্তর্জাতিক প্রচেষ্টার জন্য প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। ন্যায়সঙ্গত ও স্থায়ী দ্বি-রাষ্ট্রীয় সমাধানে অগ্রগতির দিকে দায়িত্বশীল ভূমিকা রাখতে চাই।'

'ফিলিস্তিনিদের প্রতি আমাদের সমর্থনে অটুট আছে,' যোগ করেন পেনি ওং।

তিনি জানান, অস্ট্রেলিয়ার দূতাবাস সবসময় তেল আবিবে ছিল এবং থাকবে।

আকিদুল ইসলাম: অস্ট্রেলিয়াপ্রবাসী লেখক, সাংবাদিক

Comments

The Daily Star  | English

Victory day today: A nation born out of blood and grit

The tide of war had turned by mid-December in 1971. The promise of freedom was no longer a dream. It had hardened into tangible certainty.

7h ago