গ্রিসে পোলিশ নারী নিখোঁজ, সন্দেহভাজন বাংলাদেশি গ্রেপ্তার

নিখোঁজ আনাস্তাসিয়া-প্যাট্রিসিয়া রুবিনস্কা। ছবি: সংগৃহীত

গ্রিসের কোস দ্বীপ থেকে ২৭ বছর বয়সী এক পোলিশ নারী নিখোঁজ হয়েছেন। এ ঘটনায় প্রধান সন্দেহভাজন হিসেবে ৩২ বছর বয়সী এক বাংলাদেশিকে গ্রেপ্তার করেছে স্থানীয় পুলিশ। তবে গ্রেপ্তারকৃতের পরিচয় প্রকাশ করা হয়নি।

পোলিশ নারী আনাস্তাসিয়া-প্যাট্রিসিয়া রুবিনস্কা গত ১২ জুন থেকে নিখোঁজ আছেন। এ ঘটনায় ওই বাংলাদেশি নাগরিক ছাড়াও এক পাকিস্তানি যুবককে সন্দেহভাজন হিসেবে চিহ্নিত করেছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী।

আনাস্তাসিয়া কোস দ্বীপের একটি হোটেলে কাজ করতেন বলে জানা গেছে। 

পাশের আবাসনের নিরাপত্তা ক্যামেরার ফুটেজে দেখা গেছে, বাংলাদেশি যুবকের সঙ্গে তিনি তার বাড়িতে প্রবেশ করছেন।

স্থানীয় সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত তথ্য অনুযায়ী, সাক্ষীদের বক্তব্য এবং এলাকার নিরাপত্তা ক্যামেরা থেকে ভিডিও সংগ্রহের পর বাংলাদেশিকে শনাক্ত করে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

রাষ্ট্রীয় সম্প্রচারকারী ইআরটি'র তথ্য অনুযায়ী, গ্রেপ্তার বাংলাদেশি ঘটনার পর দ্বীপ ছেড়ে ইতালি যাওয়ার জন্য টিকিট কিনেছিলেন। এতে কর্তৃপক্ষের সন্দেহ তৈরি হয়।

পুলিশ সূত্রের বরাত দিয়ে স্থানীয় একটি পত্রিকার প্রতিবেদনে বলা হয়, পাকিস্তান ও বাংলাদেশের ৫ জনকে প্রাথমিকভাবে আটক করা হয়।

জিজ্ঞাসাবাদের পর ৪ জনকে ছেড়ে দিয়ে বাংলাদেশিকে আটক রাখা হয়।

আনাস্তাসিয়া নিখোঁজ হওয়ার বিষয়টি তার এক বন্ধু কর্তৃপক্ষকে জানায়। কর্তৃপক্ষকে বলা হয়, ওই রাতে সাড়ে ১০টার দিকে দুজনের ফোনে যোগাযোগ হয়েছিল।

তারপর আনাস্তাসিয়া বন্ধুকে তার অবস্থান পাঠান, যেন তাকে সেখান থেকে নিয়ে যেতে পারে। কিন্তু, বন্ধুটি ওই এলাকায় গিয়ে তাকে খুঁজে পায়নি। সে সময় আনাস্তাসিয়ার মোবাইল ফোনও বন্ধ পান তিনি।

পুলিশ, গোয়েন্দা সংস্থা, ফায়ার সার্ভিস এবং স্বেচ্ছাসেবক দল যৌথভাবে আনাস্তাসিয়া-প্যাট্রিসিয়ার অনুসন্ধান চালাচ্ছে, এমনকি ড্রোন ব্যবহার করেও তাকে খোঁজা হচ্ছে।

আরেকটি পত্রিকায় প্রকাশিত প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়, ৩২ বছর বয়সী বাংলাদেশির শরীরে আঁচড়ের দাগ পাওয়া গেছে। তার কাছে ইতালির টিকিট পাওয়া গেছে, যা আনাস্তাসিয়া নিখোঁজের পরদিন বুকিং দেওয়া হয়েছিল। 

ইতালি যাওয়ার বিষয়টি তিনি কাউকে জানাননি, এমনকি তার রুমমেটকেও নয়।

Comments

The Daily Star  | English

'Shoot directly': Hasina’s order and deadly aftermath

Months-long investigation by The Daily Star indicates state forces increased deployment of lethal weapons after the ousted PM authorised their use

1d ago