‘বেজবাবা’ নামের ইতিহাস শোনাবেন সুমন
বাংলাদেশের ব্যান্ডসংগীতে সাইদুস সালেহীন খালেদ সুমন এক পরিচিত নাম। সংগীতাঙ্গনে তিনি পরিচিত 'বেজবাবা সুমন' নামে। 'অর্থহীন' ব্যান্ডের প্রতিষ্ঠাতা, প্রধান কণ্ঠশিল্পী ও বেজ গিটারিস্ট হিসেবে দীর্ঘ পথচলায় তিনি তৈরি করেছেন আলাদা অবস্থান, যা বরাবরই শ্রোতাদের কৌতূহলী করে রেখেছে।
সুমনের সংগীতযাত্রার শুরু স্কুলজীবনে। তখনই নিজের একটি ব্যান্ড গড়ে তোলেন তিনি। মাধ্যমিক পরীক্ষা শেষ হওয়ার পর বেজ গিটারিস্ট হিসেবে যুক্ত হন 'ফিলিংস' ব্যান্ডে।
পরবর্তীতে আরও কয়েকটি ব্যান্ডে বেজ গিটারিস্ট হিসেবে ছিলেন। ১৯৯৭ সালে জনপ্রিয় ব্যান্ড 'ওয়ারফেজে' যোগ দেন সুমন। ওই বছরই প্রকাশিত হয় তার একক অ্যালবাম 'সুমন ও অর্থহীন', যা মুক্তির পরপরই শ্রোতামহলে আলোচনার জন্ম দেয়।
এরপর ১৯৯৯ সালে 'ওয়ারফেজ' ছাড়ার সিদ্ধান্ত নিয়ে সুমন গড়ে তোলেন 'অর্থহীন' ব্যান্ড। অল্প সময়ের মধ্যেই ব্যান্ডটি দেশের ব্যান্ড সংগীতে শক্ত অবস্থান তৈরি করে।
অর্থহীনের চারটি অ্যালবাম ছাড়াও একক ও দ্বৈত অ্যালবামের মাধ্যমে সুমন অর্জন করেন ব্যাপক জনপ্রিয়তা। বেজ গিটারিস্ট হিসেবে তিনি তারকাখ্যাতি অর্জন করেন।
তবে সুমনের জীবন কেবল সংগীতের গল্পে সীমাবদ্ধ নয়। ২০১১ সালে তার পাকস্থলীতে ক্যানসার শনাক্ত হয়। দীর্ঘ চিকিৎসা শেষে তিনি সেই কঠিন লড়াই জয় করে আবারও ফিরে আসেন সংগীতাঙ্গনে।
এরপরও থেমে থাকেনি দুর্ভোগ। সড়ক দুর্ঘটনায় গুরুতর আহত হন সুমন। শরীরে মোট ৩৬ বার অস্ত্রোপচারের মধ্য দিয়ে যেতে হয় তাকে। তবু সব প্রতিকূলতা উপেক্ষা করে তিনি বারবার ফিরে এসেছেন গানের মঞ্চে।
সম্প্রতি মাছরাঙা টেলিভিশনের অনুষ্ঠান 'নাইনটিজ মিউজিক স্টোরি'-তে অংশ নিয়ে নিজের দীর্ঘ সংগীত জীবনের নানা অজানা অভিজ্ঞতা তুলে ধরেন সুমন। বিভিন্ন ব্যান্ডে বাজানোর স্মৃতি, ফিতার ক্যাসেটের যুগ, এলিফ্যান্ট রোডের আড্ডা, দাঁত দিয়ে গিটার বাজানোর গল্প এবং 'বেজবাবা' নামটি কীভাবে এলো—এসব নিয়েই কথা বলেন তিনি।
রিয়াদ শিমুলের গ্রন্থনায় এবং এস এম হুমায়ুন কবিরের প্রযোজনায় নির্মিত এই অনুষ্ঠানটি আজ রাত ১২টায় মাছরাঙা টেলিভিশনে প্রচারিত হবে।


Comments