চট্টগ্রাম

কাপড়ের ঐতিহ্যবাহী বাণিজ্যকেন্দ্র টেরিবাজার

বন্দরনগরী, টেরিবাজার, আন্দরকিল্লা, ইসলামপুর,
আন্দরকিল্লা থেকে প্রায় ১০০ গজ দূরে বন্দরনগরীর কেন্দ্রস্থলে অবস্থিত টেরিবাজার। ছবি: রাজীব রায়হান/স্টার

বন্দরনগরী চট্টগ্রামের প্রাণকেন্দ্রে অবস্থিত কাপড়ের ঐতিহ্যবাহী বাণিজ্যকেন্দ্র টেরিবাজার। ইতোমধ্যে এ বাজারটি ক্রেতাদের নির্ভরতার আস্থা অর্জন করেছে।

এটি আন্দরকিল্লা থেকে প্রায় ১০০ গজ দূরে বন্দরনগরীর কেন্দ্রস্থলে অবস্থিত। বাণিজ্যকেন্দ্র টেরিবাজারে  প্রায় ২ হাজার ৫০০ দোকান এবং ৮২টি শপিংমল আছে। শুধু খুচরা গ্রাহকই নয়, জেলার বিভিন্ন উপজেলার ব্যবসায়ীরাও এখান থেকে পাইকারি কাপড় কেনাকাটা করেন।

ব্যবসায়ীদের মতে, ঢাকার ইসলামপুরের পরে এটিই দেশের পাইকারি কাপড়ের দ্বিতীয় বৃহত্তম কেন্দ্র।

ঐতিহ্যবাহী এই বাণিজ্যকেন্দ্রে প্রায় ৮০ বছর ধরে কাপড় বিক্রি হচ্ছে বলে জানিয়েছেন টেরিবাজার বণিক সমিতির সাবেক সাধারণ সম্পাদক আবদুল মান্নান।

কাপড়ের ঐতিহ্যবাহী বাণিজ্যকেন্দ্র টেরিবাজার
ঐতিহ্যবাহী এই বাণিজ্যকেন্দ্রে প্রায় ৮০ বছর ধরে কাপড় বিক্রি হচ্ছে। ছবি: রাজীব রায়হান/স্টার

তিনি দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, 'আমি টেরিবাজার সংলগ্ন ঘাট ফরহাদবেগ অঞ্চলে বড় হয়েছি এবং শৈশবকাল থেকেই দেখছি যে প্রত্যন্ত অঞ্চল থেকে মানুষ এখানে কেনাকাটা করেন। বিভিন্ন উপজেলার ব্যবসায়ীরাও এখানে পাইকারি দামে কাপড় কিনতে আসতেন এবং এই ধারা এখনো অব্যাহত আছে।'

সূত্র জানায়, ২০০০ সাল থেকে এখানে একের পর ওয়ান-স্টপ মল গড়ে উঠেছে, যেখানে সব বয়সের মানুষের জন্য তৈরি পোশাক একই ছাদের নীচে পাওয়া যায়।

মলগুলোর একটি মেগামার্ট। এটি টেরিবাজারে ইব্রাহিম ম্যানশনের দ্বিতীয়, তৃতীয় ও চতুর্থ তলায় অবস্থিত। গত সপ্তাহে সরেজমিনে টেরিবাজারে গিয়ে দেখা যায় শপিংমলে ক্রেতাদের যথেষ্ট ভিড়।

কেনাকাটার করতে সন্তানদের নিয়ে এসেছিলেন তামান্না বিনতে রাশেদ। তিনি ডেইলি স্টারকে বলেন, 'ওয়ান স্টপ মলে কেনাকাটা করার সুবিধা হলো এখানে পরিবারের সবার জন্য একই ছাদের নীচে সব ধরনের পোশাক পাওয়া যায়। পোশাক কেনার জন্য আমাকে এক দোকান থেকে অন্য দোকানে যেতে হবে না এবং দামও যুক্তিসঙ্গত।'

কাপড়ের ঐতিহ্যবাহী বাণিজ্যকেন্দ্র টেরিবাজার
বাণিজ্যকেন্দ্র টেরিবাজারে প্রায় ২ হাজার ৫০০ দোকান এবং ৮২টি শপিংমল আছে। ছবি: রাজীব রায়হান/স্টার

ওয়ান স্টপ শপিংমল ছাড়াও টেরিবাজারে প্রায় ২ হাজার দোকানে কাপড় বিক্রি করা হয়।

এ বাজারের ক্রেতাদের মধ্যে স্থানীয় কাপড়ের চাহিদার পাশাপাশি আমদানি করা কাপড়ের চাহিদা ক্রমে বাড়ছে।

ব্যবসায়ীরা বলছেন, ঈদ-উল-ফিতর উপলক্ষে ক্রেতাদের চাহিদা মাথায় রেখে এখন তারা কাতান, লিনেন, জামদানি, সুতি, নেট, জর্জেট, শিফন এবং প্রিন্ট কাপড়সহ সব ধরনের কাপড় আমদানি করছেন।

আদ্রিকা ফ্যাশনের স্বত্বাধিকারী গৌতম চৌধুরী ডেইলি স্টারকে বলেন, 'আমদানি করা কাপড়ের চাহিদা স্থানীয় কাপড়ের চাহিদাকে ছাপিয়ে যাচ্ছে। আমার দোকানের ক্রেতাদের চাহিদার শীর্ষে রয়েছে ভারতীয় ও চীনা কাপড়।'

যোগাযোগ করা হলে টেরিবাজার বণিক সমিতির সভাপতি আমিনুল হক ডেইলি স্টারকে বলেন, 'এই বাণিজ্যকেন্দ্রে আধুনিক সুযোগ-সুবিধা বাড়াতে তারা বিভিন্ন ধরনের ব্যবস্থা নিচ্ছেন। এতে গ্রাহকদের জন্য আরও পছন্দের জায়গা হয়ে উঠবে।'

Comments

The Daily Star  | English

BNP sticks to demand for polls by December

In a meeting with Chief Adviser Prof Muhammad Yunus last night, the BNP restated its demands that the next general election be held by December and the government immediately announce a roadmap to that end.

1h ago