হালাল পণ্যের বাজার সম্প্রসারণে একসঙ্গে কাজ করবে এফবিসিসিআই-আইওএফএস

ইসলামিক অর্গানাইজেশন ফর ফুড সিকিউরিটি (আইওএফএস) ও এফবিসিসিআইয়ের মধ্যে আলোচনা সভা। ছবি: সংগৃহীত

হালাল পণ্যের বাজার সম্প্রসারণ ও বৈশ্বিক হালাল পণ্যের বাজারে বাংলাদেশের অংশীদারত্ব বাড়াতে একসঙ্গে কাজ করবে ইসলামিক অর্গানাইজেশন ফর ফুড সিকিউরিটি (আইওএফএস) ও দেশের শীর্ষ বাণিজ্য সংগঠন এফবিসিসিআই।

সোমবার ঢাকায় আইওএফএস ও এফবিসিসিআইয়ের এর মধ্যে অনুষ্ঠিত এক আলোচনা সভায় আন্তর্জাতিক বাজারে হালাল পণ্যের ক্রমবর্ধমান চাহিদার কথা মাথায় রেখে এই আশা প্রকাশ করা হয়।

সভায় এফবিসিসিআই সভাপতি মাহবুবুল আলম জানান, মুসলিম এবং অমুসলিম উভয় দেশে হালাল পণ্যের বাজার সম্প্রসারিত হচ্ছে। এই বাজারের একটি উল্লেখযোগ্য অংশ ওআইসির সদস্য দেশ থেকে আসে। 

তিনি জানান, ২০২০ সালে হালাল পণ্যের বৈশ্বিক আকার ছিল ৩ দশমিক ৭ ট্রিলিয়ন মার্কিন ডলার। ২০২২-২০২৩ অর্থবছরে বাংলাদেশ থেকে ৮৪৩ মিলিয়ন ডলার মূল্যের হালাল পণ্য রপ্তানি করা হয়। এর মধ্যে ৭০ শতাংশ হালাল পণ্য গেছে মুসলিম দেশগুলোতে।

আইওএফএসের মহাপরিচালক অধ্যাপক ইয়ারলান বাইদুলেট বলেন, 'বাংলাদেশের মতো সদস্য দেশ পেয়ে আমরা গর্বিত। আমরা কৃষি এবং খাদ্য প্রক্রিয়াকরণের ক্ষেত্রে এখানকার বেসরকারি খাতের সাথে একটি শক্তিশালী অংশীদারত্ব গড়ে তুলতে আগ্রহী।'

বিশ্বব্যাপী হালাল পণ্যের বাজারের বিপুল সম্ভাবনার তথ্য তুলে ধরে তিনি বলেন, 'এই বাজারের বড় অংশই অমুসলিম দেশগুলোর দখলে।'

মুসলিম দেশগুলোতে হালাল পণ্যের বাজার ধরতে পণ্য সরবরাহ জোরদারে বাংলাদেশসহ মুসলিম দেশগুলোকে এগিয়ে আসার আহ্বান জানান তিনি। 

এদিকে ইন্টারন্যাশনাল ইসলামিক ফুড প্রসেসিং অ্যাসোসিয়েশন (আইএফপিএ) ও এফবিসিসিআইয়ের মধ্যে একটি চুক্তি সই হয়েছে। 
চুক্তির অধীনে আইএফপিএর সদস্য হিসেবে অন্তর্ভুক্ত হওয়ার পাশাপাশি বেশকিছু সহযোগিতা পাবে এফবিসিসিআই। এর মধ্যে আইএফপিএর বিভিন্ন প্রকাশনায় অংশগ্রহণ, আইএফপিএ আয়োজিত বিভিন্ন অনুষ্ঠানে আমন্ত্রণ, ওআইসিভুক্ত দেশগুলোর বেসরকারি খাতের সঙ্গে ব্যবসায়ী পর্যায়ে (বিটুবি) সহযোগিতার সম্পর্ক স্থাপনের সুযোগ থাকবে।
 

Comments

The Daily Star  | English

Bangladesh-US tariff talks underway in Washington

Based on progress made so far, Bangladesh hopes for a positive outcome

8h ago