‘পুরোনো প্রযুক্তির ইকুইপমেন্টের’ ফাইভ-জি প্রকল্প বাতিলের দাবি

ফাইভ জি
‘অনিয়মে’ অভিযুক্ত বিটিসিএলের ফাইভ-জি প্রকল্প বাতিলের দাবিতে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে বাংলাদেশ মুঠোফোন গ্রাহক এসোসিয়েশনের মানববন্ধন। ছবি: সংগৃহীত

'পুরোনো প্রযুক্তির ইকুইপমেন্ট' দিয়ে ফাইভ-জি বাস্তবায়ন সম্ভব নয় উল্লেখ করে 'অনিয়মে' অভিযুক্ত বিটিসিএলের প্রকল্পটি বাতিলের দাবি জানিয়েছে বাংলাদেশ মুঠোফোন গ্রাহক এসোসিয়েশন।

আজ শনিবার সকালে রাজধানীতে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে সংগঠনটির মানববন্ধনে এই দাবি জানানো হয়।

বাংলাদেশ মুঠোফোন গ্রাহক এসোসিয়েশনের সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, সংগঠনটির সভাপতি মহিউদ্দিন আহমেদের সভাপতিত্বে মানববন্ধনে উপস্থিত ছিলেন বাজার বিশ্লেষক ও ভোক্তা প্রতিনিধি কাজী আব্দুল হান্নান, অনলাইন অ্যাক্টিভিস্ট ফোরামের সভাপতি কবীর চৌধুরী তন্ময়, জাতীয় তরুণ সংঘের সভাপতি ফজলুল হক, গ্রীন পার্টির সভাপতি রাজু আহমেদ খান প্রমুখ।

মানববন্ধনে বাজার বিশ্লেষক ও ভোক্তা প্রতিনিধি কাজী আব্দুল হান্নান বলেন, '২০১৬ সালে বিটিসিএল সি ব্যান্ডের ইকুইপমেন্ট দিয়ে ডিডব্লিউডিএম নেটওয়ার্ক কিনেছে। তখন তাদের বিবেচনায় ছিল থ্রি-জি। বর্তমানে ফাইভ-জি বিবেচনায় নিয়ে তারা কোনোভাবেই সি ব্যান্ড কিনতে পারে না।'

তিনি আরও বলেন, 'সি ব্যান্ডের ডিডব্লিউডিএম নেটওয়ার্ক বর্তমানে বিটিসিএলে থাকতে আরেকটি একই প্রযুক্তির ডিডব্লিউডিএম কেনা শুধুই সরকারের অর্থের অপচয়।'

সভাপতির বক্তব্যে মহিউদ্দিন আহমেদ বলেন, 'চতুর্থ শিল্পবিপ্লব মোকাবেলার জন্য চাই দ্রুতগতির ফাইভ-জি। যে প্রকল্প জনগণের অর্থে করা হচ্ছে সেই প্রকল্প দিয়ে যদি ফাইভ-জি না চলে তাহলে চতুর্থ শিল্পবিপ্লব মোকাবিলা করা সম্ভব নয়।'

'২০১৬ সালে জনগণের টাকায় যে ইকুইপমেন্ট কেনা হয়েছে সেই ইকুইপমেন্ট ব্যবহারের জন্য আবার জনগণের টাকা নিয়ে কেউ লুটপাট করবে তা আমরা কোনোভাবেই হতে দিতে পারি না।'

সংবাদ বিজ্ঞপ্তি অনুসারে—প্রকল্পের সার্বিক ত্রুটির দিকগুলো তুলে মহিউদ্দিন আহমেদ আরও বলেন, '২০২২ সালের জানুয়ারি থেকে ২০২৪ সালের ডিসেম্বর মেয়াদে সারা দেশে বিটিসিএলের প্রকল্পটি বাস্তবায়নের কথা থাকলেও সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ এখনো ভেন্ডর নিয়োগ দিতে পারেনি। অথচ প্রকল্পের শুরুতেই ইকুইপমেন্ট কেনায় ব্যাপক দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে।'

তার মতে, 'প্রকল্প সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা নিজেরা লাভবান হওয়ার উদ্দেশ্যে কমদামি ইকুইপমেন্ট কেনাসহ কারিগরি বিনির্দেশ সঠিকভাবে তৈরি না করায় এই প্রকল্পের উদ্দেশ্য ব্যাহত হতে যাচ্ছে। বরাদ্দকৃত টাকা লুটপাট হওয়ার আশঙ্কা সৃষ্টি হয়েছে।'

তার অভিযোগ, 'পরামর্শক নিয়োগ না করে তাড়াহুড়ো করে একটি বিশেষ প্রতিষ্ঠানের প্রস্তুত করা নিম্নমানের ও পুরোনো প্রযুক্তি দিয়ে কারিগরি বিনির্দেশ দিয়ে দরপত্র আহবান করা হয়েছে।'

মানববন্ধনে অন্যান্য বক্তারা জানান, স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণে এই প্রকল্প বাতিল করে আগামীতে নতুন সরকার গঠনের পর বিশেষজ্ঞ কমিটি ও স্টেক হোল্ডারদের পরামর্শ এবং বিধি মোতাবেক প্রকল্প বাস্তবায়ন করা প্রয়োজন।

Comments

The Daily Star  | English
foreign travel rules for government officials Bangladesh

Advisers, secretaries flouting foreign travel rules

CA upset over repeated violations; officials urged to follow directives ahead of election

59m ago