আরও সয়াবিন আমদানি ট্রাম্প-শুল্কের ‘যন্ত্রণা’ কমাতে পারে

কেভিন রুপকে। ছবি: সংগৃহীত

সয়াবিন আমদানি বাড়ানো হলে ঢাকা ও ওয়াশিংটনের মধ্যে বাণিজ্য ব্যবধান কমিয়ে আনা সম্ভব হবে বলে মনে করছে এক মার্কিন শিল্পগোষ্ঠী।

ইউএস সয়াবিন এক্সপোর্ট কাউন্সিলের (ইউএসএসইসি) দক্ষিণ এশিয়া ও সাব-সাহারান আফ্রিকার আঞ্চলিক পরিচালক কেভিন রুপকে দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, 'এর ফলে যুক্তরাষ্ট্রে বাংলাদেশি পণ্যের ওপর ৩৫ শতাংশ বাড়তি শুল্ক কমানো সম্ভব হবে।'

যুক্তরাষ্ট্র-বাংলাদেশ বিজনেস কাউন্সিলের বোর্ডে থাকা রুপকে জানান, যুক্তরাষ্ট্র একদিকে বাংলাদেশে সবচেয়ে বড় বিদেশি বিনিয়োগকারী। অন্যদিকে, বাংলাদেশের তৈরি পোশাক রপ্তানির শীর্ষ গন্তব্য। কিন্তু, কৃষি বাণিজ্য কম।

তিনি এক সাক্ষাত্কারে দ্য ডেইলি স্টারকে জানান, দেশ দুইটির মধ্যে ছয় বিলিয়ন ডলারের বাণিজ্য ব্যবধান কমাতে সয়াবিন ও সয়াবিন মিলকে ব্যবহার করা যেতে পারে। তার মতে, শুধু সয়াবিন ও সয়াবিন মিল দিয়েই বছরে এক বিলিয়ন ডলারের বাণিজ্য করা যেতে পারে।

বর্তমানে দুবাইয়ে থাকা রুপকে গত সপ্তাহে ঢাকায় এসেছিলেন সয়াবিন ক্র্যাশিং মিল পরিদর্শন করতে। কারখানা মালিক, আমদানিকারক ও ব্যবসায়ীদের সঙ্গে দেখা করেন। কারণ, মার্কিন সয়া পণ্যের আমদানি বাড়ছে।

এ বছর যুক্তরাষ্ট্র থেকে সয়াবিন ও সয়া মিল আমদানি ইতোমধ্যে ৪৫০ মিলিয়ন ডলার ছাড়িয়েছে। ২০২৪ সালে তা ছিল ৩৪৮ দশমিক নয় মিলিয়ন ডলার।

রুপকের মতে, বাংলাদেশের ব্যবসায়ীরা প্রতিযোগিতামূলক দাম ও ভালো মানের কারণে মার্কিন সয়াবিনকে পছন্দ করছেন। তারপরও তিনি মনে করেন, বাণিজ্য বাড়ানোর সুযোগ আছে।

বাংলাদেশে সয়াবিনের বাজার দুই বিলিয়ন ডলারের বেশি। ২০২৪ সালে ব্যবসায়ীরা যুক্তরাষ্ট্র থেকে সাত লাখ টন সয়াবিন ও দেড় লাখ টন সয়া মিল আমদানি করেছেন।

ভবিষ্যতে রপ্তানি বাড়াতে ইউএসএসইসি কর্মকর্তা চলমান বাণিজ্য আলোচনায় বেসরকারি খাতকে আরও সক্রিয় ভূমিকা পালনের আহ্বান জানান। নীতিনির্ধারকদের দুই দেশের মধ্যে বাণিজ্য ভারসাম্য বজায় রাখতে সয়াবিনকে কৌশলগত পণ্য হিসেবে বিবেচনার আহ্বানও জানান তিনি।

রোপকে আরও জানান যে, আফ্রিকান গ্রোথ অ্যান্ড অপরচুনিটি অ্যাক্ট (এজিওএ) এর অধীনে মহাদেশটির ৩৯টি দেশের পণ্যকে যুক্তরাষ্ট্র শুল্কমুক্ত প্রবেশাধিকার দেয়। যদিও অনেক দেশ এর পূর্ণ ব্যবহার করতে পারেনি। তিনি মনে করেন, বাংলাদেশের সেই সক্ষমতা আছে। এখন সেই সুযোগকে কাজে পরিণত করাই মূল চ্যালেঞ্জ।

Comments

The Daily Star  | English

Airport fire exposes costly state negligence

The blaze that gutted the uninsured cargo complex of Dhaka airport on Saturday has laid bare a deep and dangerous negligence in risk management across government installations.

5h ago