অ্যাডভার্টাইজিং এজেন্সিস অ্যাসোসিয়েশনের নতুন নির্বাহী পরিষদ

ছবি: সংগৃহীত

অ্যাডভার্টাইজিং এজেন্সিস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (এএএবি) সাত সদস্য বিশিষ্ট নতুন কমিটি গঠন হয়েছে।

কমিটির সভাপতি সানাউল আরেফিন এবং সৈয়দ আহসানুল আপন সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হয়েছেন।

এ ছাড়া, নতুন কমিটিতে সহসভাপতি নাজিম ফারহান চৌধুরী, কোষাধ্যক্ষ সারাহ আলি, সহসাধারণ সম্পাদক এম এ মারুফ এবং সদস্য নির্বাচিত হয়েছেন মেহেরুন নেসা ইসলাম ও ড. মুহম্মদ রিসালাত সিদ্দীক।

রাজধানীর বনানীতে সদ্য সমাপ্ত এএএবির বার্ষিক সাধারণ সভায় নিয়মিত আলোচনার পাশাপাশি নতুন কমিটি গঠনের প্রস্তাব সর্বসম্মতিক্রমে গৃহীত হয়।

সভায় সভাপতিত্ব করেন এএএবির সভাপতি রামেন্দু মজুমদার এবং পরিচালনা করেন সাধারণ সম্পাদক মুনির আহমেদ খান।

এ সময় বিজ্ঞাপন জগতের অগ্রজ গীতি আরা সাফিয়া চৌধুরী, সারা যাকের, কাজী ওয়াহিদুল আলম, ইউসুফ হাসান এবং অ্যাডভারটাইজিং ফ্র্যাটারনিটির প্রায় ৬০টি নতুন ও পুরাতন প্রতিষ্ঠানের কর্ণধার উপস্থিত ছিলেন।

অনুষ্ঠানের শুরুতে বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে নিহতদের প্রতি এবং বিজ্ঞাপন জগতের কিংবদন্তি আলী যাকের ও রেজা আলীর স্মরণে এক মিনিট নীরবতা পালন করা হয়।

নতুন কমিটির পক্ষ থেকে জানানো হয়, সদস্য পদের সংখ্যা বাড়ানো, সাংগঠনিক কাঠামো সংস্কার এবং পুরো শিল্পকে অন্তর্ভুক্ত করে বিজ্ঞাপনের পরিসর আরও বিস্তৃত করা হবে কমিটির প্রধান লক্ষ্য।

যুগের সঙ্গে তাল মিলিয়ে স্বাধীনতাত্তোর বাংলাদেশে বিজ্ঞাপনশিল্প নানাভাবে বিকশিত ও পরিবর্ধিত হয়েছে এবং প্রতিনিয়ত হচ্ছে। দেশের অনেক বিজ্ঞাপনী সংস্থা পৃথিবীর নানা দেশে পণ্য ও সেবার বিজ্ঞাপন করে থাকে, বিশেষত ডিজিটাল মিডিয়া। বিজ্ঞাপন জগতে নতুন চিন্তাধারা নিয়ে নতুন প্রজন্ম যেভাবে কাজ করছে, সেগুলো মাথায় নিয়ে বিজ্ঞাপনী সংস্থাগুলোকে আরও বেশি সম্পৃক্ত করা, সংগঠনকে আরও শক্তিশালী করা, সরকারের দায়িত্বশীল ব্যক্তিদের সঙ্গে বিজ্ঞাপনী সংস্থাগুলোর স্বার্থসংশ্লিষ্ট বিষয়ে আলোচনাকে আরও গতিশীল করা এবং দেশের বিজ্ঞাপনী সংস্থাগুলো যেন বিশ্বের অন্যান্য দেশেও কাজ করে বৈদেশিক মুদ্রা অর্জন করতে পারে সেসব বিষয়কে আরও ত্বরান্বিত করতে অ্যাডভার্টাইজিং এজেন্সিস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (এএএবি) নতুন কমিটি কাজ করবে।

উল্লেখ্য, ১৯৭৮ সালে অ্যাডভার্টাইজিং এজেন্সিস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (এএএবি) যাত্রা শুরু হয়। বাংলাদেশে যেসব প্রতিষ্ঠান নিয়মতান্ত্রিকভাবে টেলিভিশন, খবরের কাগজ, ডিজিটাল, ইভেন্ট, আউটডোর ও অ্যাকটিভেশনের মাধ্যমে যে কমিউনিকেশন ব্যবসা করছেন, তাদের পরিচালক পর্ষদ (স্বত্বাধিকারী) থেকে একজন তার প্রতিষ্ঠানের পক্ষে এএএবির সদস্য হতে পারেন।

Comments

The Daily Star  | English

The untold history of why Khaleda Zia entered politics

Why did Khaleda Zia, a typical housewife who had become widow at a critical age in terms of Bangladesh's culture, join politics?

1h ago