গ্যাস-বিদ্যুতের মূল্যবৃদ্ধিতে ওষুধ উৎপাদন খরচ বাড়তে পারে ২৫ শতাংশ

ফাইল ছবি: সংগৃহীত

গ্যাস ও বিদ্যুতের মূল্যবৃদ্ধির কারণে ওষুধ উৎপাদন খরচ অন্তত ২৫ শতাংশ বৃদ্ধি পাবে বলে উৎপাদনকারীরা মনে করছেন। এতে করে সার্বিকভাবে চিকিৎসা খরচও বাড়বে।

গত বৃহস্পতিবার জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিভাগ বড় শিল্পের জন্য গ্যাসের ইউনিট মূল্য ১১ টাকা ৯৮ পয়সা থেকে বাড়িয়ে ৩০ টাকা করেছে।

বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব ফার্মাসিউটিক্যাল ইন্ডাস্ট্রিজের (বাপি) মহাসচিব এস এম শফিউজ্জামান বলেন, 'সরকার ও উদ্যোক্তাদের প্রচেষ্টা স্থানীয় ওষুধ শিল্পকে এমন একটি পর্যায়ে নিয়ে এসেছে, যা দেশে ও বিদেশে ইতিবাচক প্রভাব তৈরি করছে। তবে, গ্যাসের দাম বৃদ্ধি এবং মার্কিন ডলার সংকট এই খাতে চ্যালেঞ্জ তৈরি করেছে।'

শফিউজ্জামান জানান, সাম্প্রতিক প্রতিবন্ধকতাগুলো এমন সময়ে তৈরি হয়েছে, যখন স্বল্পোন্নত দেশ থেকে উন্নীত হওয়ার সম্ভাব্য চ্যালেঞ্জ নিয়ে ইতোমধ্যেই এই খাতের ব্যবসায়ীরা উদ্বিগ্ন।

মার্কিন ডলারের ঘাটতির কারণে উৎপাদন খরচ প্রায় ২২ শতাংশ বেড়েছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, 'ফার্মাসিউটিক্যাল কোম্পানিগুলো সেই অনুযায়ী ওষুধের দাম সমন্বয় করবে।'

'কাজেই জনস্বাস্থ্যের বৃহত্তর স্বার্থে এই খাতকে বাঁচানোর জন্য সরকারকে দ্রুত ব্যবস্থা নিতে তাদের সঙ্গে (ফার্মাসিউটিক্যাল কোম্পানি) বসতে হবে,' যোগ করেন শফিউজ্জামান।

বাংলাদেশ ইনভেস্টমেন্ট ডেভেলপমেন্ট অথরিটির বাজার বিশ্লেষণ অনুযায়ী, বাংলাদেশিরা দেশের জিডিপির অন্তত ২ শতাংশ চিকিৎসায় ব্যয় করে।

শফিউজ্জামান বলেন, 'ওষুধের অভ্যন্তরীণ বাজার এখন প্রায় ৩৫ হাজার কোটি টাকায় পৌঁছেছে, যেখানে ২০১৯ সালে এর মূল্য ছিল প্রায় ২৫ হাজার কোটি টাকা।'

প্রায় ২৫০টি স্থানীয় ওষুধ প্রস্তুতকারকদের প্ল্যাটফর্ম বাপির একটি বিশ্লেষণের কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, 'গত ৩ দশক ধরে ফার্মাসিউটিক্যাল শিল্প উচ্চ পর্যায়ের উৎপাদন প্রযুক্তি গ্রহণ করেছে। এখন, এই খাতটি দেশের জিডিপিতে ১ দশমিক ৮৩ শতাংশ অবদান রাখছে এবং ওষুধের অভ্যন্তরীণ চাহিদার প্রায় ৯৮ শতাংশ পূরণ করে।'

বাংলাদেশ প্রায় ১৫০টি দেশে ওষুধ রপ্তানি করে। তবে চলমান বিশ্ব অর্থনৈতিক সংকটের কারণে সম্প্রতি রপ্তানি কিছুটা কমেছে।

শফিউজ্জামান বলেন, 'বাংলাদেশের শীর্ষস্থানীয় ৫০টি ফার্মাসিউটিক্যাল কোম্পানি মুন্সীগঞ্জের অ্যাক্টিভ ফার্মাসিউটিক্যাল ইনগ্রেডিয়েন্ট ইন্ডাস্ট্রিয়াল পার্কে কারখানা স্থাপন করছে, কিন্তু গ্যাসের সংকটের কারণে উৎপাদনে যেতে পারছে না। ফলে লোকসানের আশঙ্কায় রয়েছেন বিনিয়োগকারীরা।'

Comments

The Daily Star  | English

Ducsu AGS candidates: Rights, safety, reforms their top agendas

A total of 25 candidates are contesting for the post of assistant general secretary (AGS) in this year's Dhaka University Central Students' Union (Ducsu) election, scheduled for September 9.

14h ago