২৭ অক্টোবর পায়রা বন্দরের উন্নয়ন কাজ উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী

ইতোমধ্যে পায়রা বন্দরে ২৩৬টি সমুদ্রগামী জাহাজ আগমন করেছে। এর মাধ্যমে আয় হয়েছে প্রায় ৫৪৮ কোটি টাকা রাজস্ব। ছবি: সংগৃহীত

আগামী ২৭ অক্টোবর পায়রা বন্দরের বিভিন্ন উন্নয়নমূলক কাজের উদ্বোধন ও ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ওইদিন গণভবন থেকে ভার্চুয়ালি যুক্ত থাকবেন তিনি।

আজ সোমবার পটুয়াখালীর কলাপাড়া উপজেলার পায়রা বন্দরের সভাকক্ষে বন্দরের উন্নয়নমূলক কাজের উদ্বোধন ও ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন উপলক্ষে আয়োজিত এক প্রস্তুতিমূলক সভায় এ তথ্য জানান নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী।

প্রতিমন্ত্রী জানান, প্রধানমন্ত্রী পায়রা বন্দরের ক্যাপিটাল ড্রেজিং কাজ, ৮টি জাহাজ, প্রথম টার্মিনাল, ৬-লেন সংযোগ সড়ক উদ্বোধন করবেন এবং সেতু নির্মাণ কাজের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করবেন।

প্রতিমন্ত্রী আরও জানান, এসব উন্নয়নমূলক কাজের ফলে বন্দরটি পরিপূর্ণ সক্ষমতার সঙ্গে কাজ করতে পারবে এবং দেশের বৈদেশিক বাণিজ্যে নতুন মাত্রা যোগ করবে। ইতোমধ্যে বন্দরটিতে ২৩৬টি সমুদ্রগামী জাহাজ আগমন করেছে। এর মাধ্যমে আয় হয়েছে প্রায় ৫৪৮ কোটি টাকা রাজস্ব।

বৈঠকে সংসদ সদস্য মহিবুর রহমান মুহিব,পায়রা বন্দরের চেয়ারম্যান রিয়ার এডমিরাল এম সোহায়েল, নৌ-পরিবহন মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম সচিব ড. মো. রফিকুল ইসলাম খান, পায়রা বন্দরের সদস্যত্রয় কমডোর মামুনুর রশীদ, কমডোর রাজীব ত্রিপুরা ও ক্যাপ্টেন এম মনিরুজ্জামান প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী বলেন, 'পায়রা বন্দর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার স্বপ্নের প্রকল্প। দক্ষিণাঞ্চলের অবহেলিত জায়গা তুলে আনা ও মানুষের জীবনমান উন্নয়নের লক্ষ্যে প্রধানমন্ত্রী পায়রা বন্দর নির্মাণ করেন। পায়রা বন্দরের রাবনাবাদ চ্যানেলের ক্যাপিটাল ড্রেজিংয়ের ফলে বন্দর থেকে সাগরের মধ্যে ৭৫ কিলোমিটার দীর্ঘ, ১০০-১২৫ মিটার প্রশস্ত ও ১০ দশমিক ৫ মিটার গভীরতার একটি চ্যানেল সৃষ্টি হবে।'

'এতে করে বন্দরে ৪০ হাজার টন কার্গো বা ৩ হাজার কন্টেইনারবাহী জাহাজ ভিড়ানোর সক্ষমতা তৈরি হবে। ক্যাপিটাল ড্রেজিংয়ের জন্য ব্যয় হবে ৪ হাজার ৯৫০ কোটি টাকা। বিশ্বখ্যাত বেলজিয়ামভিত্তিক ড্রেজিং কোম্পানি জান ডি নুল ড্রেজিং কাজটি করবে', যোগ করেন তিনি।

পায়রা বন্দরের জন্য নির্মিত ৮টি জাহাজের মাধ্যমে পায়রা বন্দর দেশি-বিদেশি বাণিজ্যিক জাহাজের আগমন-বহির্গমন ও চ্যানেলের সংরক্ষণ কাজ সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন করতে পারবে। ৮টি জাহাজের মধ্যে ২টি পাইলট ভেসেল, ২টি হেভি ডিউটি স্পিডবোট, একটি বয়া লেইং ভেসেল, একটি সার্ভে বোট এবং ২টি টাগবোট।

পায়রা বন্দরের প্রথম টার্মিনাল, ৬-লেন সংযোগ সড়ক এবং সেতু নির্মাণ সম্পন্ন হলে টার্মিনালটির ৩টি জেটিতে একসঙ্গে ৩টি বিদেশি কন্টেইনার বা বাল্ক কার্গোবাহী জাহাজ ভিড়তে সক্ষম হবে। বন্দরের প্রথম টার্মিনাল নির্মাণে ব্যয় হবে ৪ হাজার ৫১৬ কোটি ৭৫ লাখ টাকা। ২০২৩ সালের ডিসেম্বরের মধ্যে নির্মাণ কাজ শেষ করে অপারেশনাল কাজ শুরু করা হবে।

৬ দশমিক ৩৫ কিলোমিটার দীর্ঘ ৬-লেনের সংযোগ সড়কটি ডিপিপির সংস্থান অনুযায়ী ডিপোজিটরি ওয়ার্কের আওতায় সড়ক ও জনপথ বিভাগ নির্মাণ করছে।

সড়ক ও জনপথ বিভাগের স্থানীয় দরপত্র আহ্বানের মাধ্যমে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান স্পেক্ট্রা ইঞ্জিনিয়ার্স লিমিটেডকে নিয়োগ করা হয়েছে। কাজের চুক্তি মূল্য ৬৫৫ কোটি ৫০ লাখ টাকা। ২০২৩ সালের ডিসেম্বরে কাজটি শেষ হবে। পায়রা বন্দর কর্তৃপক্ষের মালামাল পরিবহনের জন্য আন্ধারমানিক নদীর ওপর ১ হাজার ১৮০ মিটার দীর্ঘ সেতু নির্মাণ করা হবে। কাজের প্রাক্কলিত ব্যয় ৭৪০ কোটি টাকা। সময় লাগবে আনুমানিক ৩০ মাস।

Comments

The Daily Star  | English
Dhaka city urban development problems

Dhaka on a perilous path: Lax rules, weak oversight fuel unplanned expansion

Near-unregulated vertical expansion put immense pressure on utilities and infrastructure, worsened traffic congestion, compromised fire safety

15h ago