বেনাপোলে শুল্ক না নিয়ে আমদানি ছাড়পত্র দেওয়ায় ব্যাংক কর্মকর্তা প্রত্যাহার

স্টার অনলাইন গ্রাফিক্স

যশোরের বেনাপোলে ২ কোটি টাকার শুল্ক না নিয়ে আমদানি চালানের বিপরীতে রাজস্ব পরিশোধের ছাড়পত্র দেওয়ার ঘটনায় সোনালী ব্যাংকের শাখা ব্যবস্থাপক আক্তার ফারুককে প্রত্যাহার করা হয়েছে।

জানা গেছে, বড় ধরনের আর্থিক অনিয়মের বিষয়টি বাংলাদেশ ব্যাংকের নজরে এলে এই ব্যবস্থা নেওয়া হয়।

সোনালী ব্যাংক বেনাপোল শাখা সূত্রে জানা গেছে, সম্প্রতি আমদানিকারক খালিদ এন্টারপ্রাইজ ফল আমদানির করে। কিন্তু, প্রতিষ্ঠানটি সরকারি রাজস্ব ১ কোটি ৯৬ লাখ টাকা পরিশোধ না করলেও ব্যাংক থেকে রাজস্ব পরিশোধের ছাড়পত্র দেওয়া হয়। আমদানিকারকের পক্ষে কাস্টম হাউজে বেনাপোলের সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট আলেয়া এন্টারপ্রাইজের দাখিল করা বিল অব এন্ট্রির ফাইলে আমদানি করা ফলের চালান খালাস নেওয়া হয়। বিষয়টি বাংলাদেশ ব্যাংকের নজরে এলে গত সপ্তাহে একটি তদন্ত দল সোনালী ব্যাংক বেনাপোল শাখায় তদন্ত চালিয়ে অভিযোগের সত্যতা পান। পরে তদন্ত দল আর্থিক অনিয়মের বিষয়টি সোনালী ব্যাংক কর্মকর্তাদের অবহিত করেন।

সোনালী ব্যাংক যশোর করপোরেট শাখার উপমহাব্যবস্থাপক মোস্তাফিজুর রহমান দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, 'রাজস্ব পরিশোধের টাকা জমা না দিয়ে পণ্য খালাস করে প্রতিষ্ঠানটি। পরে আমরা টাকা আদায় করে ব্যাংকে জমা করিয়েছি। শাখা ব্যবস্থাপককে যশোরে বদলি করা হয়েছে।'

অভিযুক্ত ব্যাংক কর্মকর্তা আক্তার ফারুক বলেন, 'খালিদ এন্টারপ্রাইজের কাছ থেকে টাকা বুঝে নিয়ে রাজস্ব পরিশোধ করা হয়েছে। এ কারণে আমাকে যশোর শাখায় বদলি করা হয়েছে।'

বেনাপোল কাস্টম হাউসের যুগ্ম কমিশনার সাফায়েত হোসেন জানান, সোনালী ব্যাংক বেনাপোল শাখায় রাজস্ব টাকা পরিশোধ না করে পণ্য খালাশ নেওয়ার ঘটনা ঘটেছে। বিষয়টির বিস্তারিত জানতে আমরা খোঁজ নিচ্ছি। সংশ্লিষ্ট সিঅ্যান্ডএফের লাইসেন্স বাতিলের প্রক্রিয়া চলছে।

আমদানিকারক প্রতিষ্ঠান ও সিঅ্যান্ডএফ কর্মী শান্ত ইসলাম দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, 'আসলে আমরা কোনো অনিয়ম করিনি। ওই সময়ে আমাদের টাকা না থাকায় ব্যাংকের ম্যানেজারকে বুঝিয়ে পণ্য খালাস করি। কিন্তু, পরে টাকা পরিশোধ করেছি।'

Comments

The Daily Star  | English

Ocean of mourners gather to pay tribute to Khaleda Zia

People from all walks of life arrive by bus, train and other modes of transport

2h ago